হলাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। হলাসন করার পদ্ধতি, হলাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
হলাসন
আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন হলাসন করার পদ্ধতি ও হলাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।
হলাসন করার পদ্ধতি বা প্রণালী
চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাতের চেটোতে ভর দিয়ে দু’পা একসাথে আস্তেআস্তে তুলে মাথার পিছন দিকে যতটা সম্ভব দূরে মাটিতে ঠেকান। পায়ের আঙ্গুল বেশ টানটানভাবে থাকবে; হাঁটু ভাঙ্গবে না। দু’হাত ছবির মত মাটিতে পেতে রাখুন। চিবুক বুকে ঠেকে থাকবে। স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসে ৩০/80 সে করে ৩/৪ বার
হলাসন করার উপকারিতা
টনসিলের দোষ সারাতে হলাসন বিশেষ কার্যকরী। এই আসনে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ ভাল হয়। দেহের পশ্চাৎভাগের পেশী প্রসারিত হয়, মেরুদন্ডের নমনীয়তা বাড়ে। দেহে চটপটেভাব আনে। কাঁধের, ঘাড়ের ও কোমরের স্নায়ু-পেশী বেশ শক্ত সবল হয়। পেটের ভাল ব্যায়াম হয়। প্লীহা ও যকৃতের দোষ দূর করে। পেটের অতিরিক্ত মেদ কমায়। তলপেটের শিথিলতা দূর হয়ে পেশীর গঠন দৃঢ় হয়। উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।