ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারতের উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল অথবা, ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয় তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়

প্রশ্ন:- দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারতের উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল?

অথবা, ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়?

ভূমিকা:- স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতের ভৌগোলিক সীমানায় অন্তত ৫৬৫ টি দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। এইসব রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য ছিল।

জাতীয়তাবাদ

ব্রিটিশ শাসনকালে ব্রিটিশ ভারত এবং দেশীয় রাজ্যগুলির জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ব্রিটিশ বিরোধিতায় শামিল হয়। ভারতের অখণ্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী জাতীয় নেতৃবৃন্দও দেশীয় রাজ্যগুলির জনগণের এই স্বাধীনতার স্পৃহাকে সম্মান করতেন। তাঁরা বিচ্ছিন্ন স্বাধীন ভারতের কথা কল্পনা করতেন না। তাই তাঁরা চেয়েছিলেন দেশীয় রাজ্যগুলি মূল ভারত ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হোক।

ঐতিহ্যের সংকট

ভারতের ভৌগোলিক সীমানায় অবস্থিত ব্রিটিশ-ভারত ও দেশীয় রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরে একই ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। তাই জাতীয় নেতৃবৃন্দ ভেবেছিলেন, দেশীয় রাজ্যগুলি স্বাধীন হলে তা ইতিহাস ও ঐতিহ্য-বিরোধী হবে।

প্রজা আন্দোলন

বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দাবিতে শক্তিশালী প্রজা আন্দোলন শুরু হয়। ফলে দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।

পশ্চাদগামিতা

দেশীয় রাজ্যগুলির অধিকাংশই ছিল পশ্চাদগামি ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। স্বৈরাচারী শাসন ও মধ্যযুগীয় ভাবধারায় আচ্ছন্ন এইসব রাজ্যের মানুষ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পশ্চাদগামিতা থেকে মুক্তি চাইছিল।

উপসংহার:- অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার ফলে একদিকে যেমন ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা পেয়েছে, অন্যদিকে তেমনি ভারতীয়দের মনে ‘ভারতবোধ’-এর চেতনা জেগে উঠেছে।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment