বি. এ. জেনারেল (1st Semister) ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: প্রস্তর ও তাম্র-প্রস্তর যুগ থেকে ৫ নাম্বারের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – চিত্রিত ধূসর রঙের মৃৎপাত্র সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।
চিত্রিত ধূসর রঙের মৃৎপাত্র সম্পর্কে টীকা
প্রশ্ন:- টীকা লেখ- চিত্রিত ধূসর রঙের মৃৎপাত্র।
উত্তর:- ধূসর রং-এর মৃৎপাত্র নিদর্শন পাওয়া গেছে গাঙ্গেয় উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে। এখানকার মৃৎপাত্রগুলির রঙ ছাই থেকে গাঢ় ধূসর। এই কারণে এই রূপ নামকরণ করা হয়েছে। এই পাত্রগুলি ছিল মসৃণ ও হালকা। এই পাত্র ব্যবহারকারীরা বসবাস করত পাঞ্জাব থেকে উত্তর রাজস্থান এবং গঙ্গা-যুমনা-দোয়ব অঞ্চল পর্যন্ত। এই পাত্রগুলির সঙ্গে লৌহযুগে ব্যবহৃত পাত্রের অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তাই বলা হয় চিত্রিত ধূসর মৃৎপাত্র সংস্কৃতির মানুষরা লোহার ব্যবহার জানত।
ধূসর রং করা মৃৎপাত্র ব্যবহারকারীরা ছিল কৃষিজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে এরা পশুপালনও করত। মৃৎপাত্রগুলির উপর কালো রং দ্বারা চিত্রিত করা হত। এই মৃৎপাত্রগুলির গড়ন ও নকশায় বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। জ্যামিতিক রেখায় এগুলির চিত্রণ বেশ আকর্ষণীয়। মানব-মানবী, এমনকি পশুর মূর্তিও জ্যামিতিক আকারে চিত্রিত করা হত। এই সমস্ত পাত্রগুলি সাধারণত গৃহস্থালীর নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী হিসাবে যেমন ব্যবহৃত হত তেমনি আবার ফসল সঞ্চয় করে রাখার জন্যও পাত্রগুলি ব্যবহার করা হত।
চিত্রিত ধূসর মৃৎপাত্র ব্যবহারকারীরা খুব সম্ভবত আর্যসভ্যতার অন্তর্গত ছিলেন। ঐতিহাসিক বি.বি. লাল-এর মতে যে সমস্ত প্রধান প্রধান শহরের নাম মহাভরতে উল্লেখিত আছে খননকার্যের ফলে সেই অঞ্চল থেকেই চিত্রিত ধূসর পাত্র পাওয়া গেছে, তাই বলা যায় এই সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত ছিল আর্যরা তথা পাণ্ডবরা।
চিত্রিত-ধূসর মৃৎপাত্রের