ব্রিটিশ সরকারের অরণ্য আইন আদিবাসীদের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ব্রিটিশ সরকারের অরণ্য আইন আদিবাসীদের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ব্রিটিশ সরকারের অরণ্য আইন আদিবাসীদের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল

প্রশ্ন:- ব্রিটিশ সরকারের অরণ্য আইন আদিবাসীদের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে?

ভূমিকা :- আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি বড়ো অংশই অরণ্যের কাঠ, ফলমূল ও অন্যান্য বনজ সম্পদ সংগ্রহ, পশুশিকার প্রভৃতির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। ব্রিটিশ সরকার উনিশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে অরণ্য আইন প্রবর্তন করে আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার কেড়ে নিলে আদিবাসীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

সম্পর্কের অবনতি

ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ারপ্রথমদিকে আপাতভাবে আদিবাসীদের সঙ্গে ব্রিটিশদের বিরোধ ছিল না। কিন্তু পরবর্তীকালে সরকার অরণ্যের অধিকার থেকে আদিবাসীদের বঞ্চিত করলে সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

আদিবাসী বসতির পরিবর্তন

ব্রিটিশদের হাতে অরণ্যের অধিকার হারানোর ফলে আদিবাসীদের জীবন-জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটে। ফলে তারা অনেকেই অরণ্য অঞ্চল ছেড়ে অন্য কোনো কাজের উদ্দেশ্যে দূরবর্তী নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

সাঁওতাল বিদ্রোহ

১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহের অন্যতম কারণ ছিল আদিবাসী সাঁওতালদের অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া। সরকার সাঁওতালদের অরণ্যের অধিকার কেড়ে নিলে তারা সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব, বীর সিং, কালো প্রামাণিক, ডোমন মাঝি প্রমুখের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে।

মুন্ডা বিদ্রোহ

আদিবাসী মুন্ডা বিদ্রোহের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া। অরণ্যের অধিকার হারিয়ে মুন্ডারা ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এক শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে, যা ‘উলঘুলান’ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন বিরসা মুন্ডা।

উপসংহার :- অরণ্য ছাড়া আদিবাসী উপজাতিরা ছিল মাতৃহারা শিশুর মতোই অসহায়। তাই আদিবাসী উপজাতিদের থেকে অরণ্যের অধিকার কেড়ে নিলে তারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়। এইসব বিদ্রোহ শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলেও বিদ্রোহগুলি নিঃসন্দেহে কোম্পানি সরকারকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলেছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment