নেতাজির বাণী
ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামের মহান যোদ্ধা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। আত্মবলে বলিয়ান হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেব। জয় হিন্দ-র মতো ধ্বনিও তুলেছিলেন মহান দেশনায়ক নেতাজী সুভাষ। আজ তাঁর ১২৫ তম জন্মদিন। ১৮৯৭-এ আজকের দিনেই কটকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতমাতার এই সুযোগ্য সন্তান। আইসিএস চাকরি ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জডিয়ে পড়া, কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া, মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে মতান্তরে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন; তারপর গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতে ইংরেজের চোখে ধুলো নিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের ময়দানে তাঁর অবতীর্ণ হওয়ার রোমাঞ্চকর কাহিনী সবারই জানা। এখন দেখে নেওয়া যাক তাঁর অবিস্মরণীয়, অমর কিছু উক্তি, যা চিরকাল মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। দেখে নেওয়া যাক তাঁর এমনই কিছু বাণী।
‘কোনও বিশেষ আদর্শের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই আদর্শের মৃত্যু হয় না। সেই আদর্শ একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়’।
‘স্বাধীনতা কেউ দেয় না, ছিনিয়ে নিতে হয়’।
‘সংগ্রাম আর ঝুঁকি যদি না থাকে , তাহলে জীবন বেঁচে থাকাই অনেকটা ফিকে হয়ে যায়’।
‘ইতিহাসে কোনও বাস্তবিক পরিবর্তন আলোচনার মাধ্যমে করা সম্ভব হয়নি’।
‘অরাজকতা বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা বিপ্লবীদের লক্ষ্য নয়। অবশ্য এটা সত্য যে, কখনও কখনও তাঁরা বাস্তবেই সন্ত্রাসের পথ গ্রহণ করে থাকেন…কিন্তু তাঁদের চরম লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদ নয়, বিপ্লব ও বিপ্লবের উদ্দেশ্য একটি জাতীয় সরকার স্থাপন করা’।
‘মানুষ, টাকাকড়ি, বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা ক্রয় যায় না। আমাদের আত্মশক্তিতে বলিয়ান থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে।….. শুধুমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা অর্জন করা যায়। তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’।
‘সত্যান্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা নীরব হয়ে বসে থাকব না, বা থাকা উচিতও নয়’।
‘যে সৈনিক মাতৃভূমির প্রতি বিশ্বস্ত, সে সর্বদাই আত্মবলিদান দিতে প্রস্তুত, সে অজেয়’।
‘মনে রাখবেন সবচেয়ে বড় অপরাধ অন্যায় সহ্য করা এবং ভুলের সঙ্গে সমঝোতা করা’।
“মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত।”
“নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”।
“আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উত্পাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।”
জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ।”
“প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে বির্বাসনের মত, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।”
“জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।”
“ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!..যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।”
“বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
“মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্সাহ দেবে।”
নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।”
“যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
“স্বাধীনতা দেওয়া হয়না, ছিনিয়ে নিতে হয়।”
কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”
“শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন আসল পরিবর্তন সাধিত হয় নি।”
“মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”
“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। শুধুমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা জয়লাভ করা সম্ভব।”
“শুধুমাত্র চিন্তার জন্য কারও মৃত্যু হতে পারে কিন্তু সেই চিন্তা আজীবন অমৃত থাকে। একজন থেকে আরেকজনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সেই চিন্তা।”
“টাকা পয়সা দিয়ে কখনো স্বাধীনতা জয় করা যায়না। স্বাধীনতার জন্য দরকার সাহস, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।”
“ভারত আমাদের ডাকছে, রক্ত দিয়ে রক্তকে ডাকছে, আর সময় নেই অস্ত্র তোলো, ঈশ্বর চাইলে শহিদের মৃত্যু বরণ করে নেব আমরা।”
‘আমাদের দেশের সকলের সমস্যা হল দরিদ্রতা, রোগ, অশিক্ষা, যে দিন মানুষের সামাজিক চেতনা বোধ হবে সেই দিন এই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।’
‘সর্বদা সত্যতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে হবে।”
“নিজের প্রতি সৎ হলে সারা বিশ্বের প্রতি কেউ অসৎ হতে পারবেনা।”
“জীবনে প্রগতির আশা ব্যাক্তিকে যেকোনো প্রকার ভয় এবং সন্দেহ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।”
“কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”
“আমরা যখন দাঁড়াব, আজাদহিন্দ ফৌজকে গ্র্যানাইটের দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা যখন মার্চ করব তখন আজাদহিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলার হতে হবে।”
“যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
“সত্যান্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকব না, বা থাকা উচিত নয়।”
“বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
“স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্তদিয়ে মূল্য প্রদান করা আমাদের কর্তব্য।”
“যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
“নরম মাটিতে জন্ম নিয়েছে বলেই বাঙালীর এমন সরল প্রাণ।”
“মানুষ যতদিন বেপরোয়া ততদিন সে প্রানবন্ত।”
“প্রকৃতির সঙ্গ না পেলে জীবনটাই বৃথা, ঠিক যেন মরুলোকে নির্বাসনের মত।”
“স্বাধীনতা কেউ দেয় না, অর্জন করে নিতে হয়।”
“মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”
“জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ।
“যদি সংগ্রাম না হয়, যদি ভয়ের সম্মুখীন না হতে হয়, তবে জীবনের অর্ধেক স্বাদই নষ্ট হয়ে যায়।”
“মনে রাখবেন, সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে অন্যায়কে সহ্য করা এবং অন্যায়ের সাথে আপোষ করা।”
“মায়ের ভালোবাসা সবচেয়ে গভীর এবং নিঃস্বার্থ। এটা কোনোভাবেই পরিমাপ করা যায় না।”
“আপনার নিজের শক্তিতে বিশ্বাস রাখুন, অন্যের শক্তির উপর ভরসা রাখা সর্বদা বিপদজনক হয়।”
“আমি অনর্থক কাজে সময় নষ্ট করতে পছন্দ করি না।”
“সাময়িকভাবে মাথা নত করতে হলে বীরের মতো মাথা নত করো।”
“জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে কিছু আশার রশ্মি থাকে যা আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।”
“একদিন আমি অবশ্যই জেল থেকে মুক্তি পাবো, কারণ প্রতিটি দুঃখেরই অবসান ঘটে।”
“সংগ্রাম আমাকে মানুষ করেছে। আমি আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি, যা আগে আমার ছিল না।”
“আমার সহজাত প্রতিভা ছিল না, কিন্তু পরিশ্রম এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা আমার কখনই ছিলো না।”
“অকাল পরিপক্কতা ভালো নয়, তা গাছের হোক বা ব্যক্তির। তার ক্ষতি পরবর্তীতে ভোগ করতে হয়।”
“আমি কষ্ট ও বিপর্যয়কে ভয় পাই না। কষ্টের দিন এলেও আমি পালিয়ে যাবো না, বরং কষ্ট সহ্য করে এগিয়ে যাবো।”
“বিশ্বাসের অভাব সকল কষ্ট ও দুঃখের মূল।”
“জীবনের অনিশ্চয়তায় আমি মোটেও ভয় পাই না।”
“আপোষ হল সবচেয়ে বড় অপবিত্র জিনিস।”
“ব্যর্থতা কখনও কখনও সাফল্যের স্তম্ভ হয়।”
“যেখানে মধুর অভাব সেখানে গুড় থেকেই মধু আহরণ করতে হবে।”
“আমাদের অধৈর্য হওয়া উচিত নয়। যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকেই সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তার উত্তর দু-একদিনের মধ্যে পাবো, এমনটাও আশা করা উচিত নয়।”
“অমূল্য জীবনের এতো সময় নষ্ট করলাম, এটা ভেবে খুব খারাপ লাগে। অনেক সময় এই ব্যথা অসহ্য হয়ে যায়। মানুষের জীবন পেয়েও জীবনের মানে বোঝা গেল না। আমি যদি আমার গন্তব্যে না পৌঁছাই তবে এই জীবন অর্থহীন।”
“আমাদের শুধুমাত্র কাজ করার অধিকার আছে। কর্ম আমাদের কর্তব্য। তিনি (প্রভু) কর্মফলের মালিক, আমরা নন।”
“শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনই প্রধান কর্তব্য।”
“কর্মের বন্ধন ছিন্ন করা খুবই কঠিন কাজ।”
“আমি আমার ছোট্ট জীবনের অনেক সময় অযথা নষ্ট করেছি।”
“এই স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মধ্যে কে টিকে থাকবে জানি না। তবে আমি জানি শেষ পর্যন্ত জয় আমাদেরই হবে।”
“যে ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি নেই, সে কখনো মহান হতে পারে না।”
“একজন সৈনিক হিসেবে আপনাকে অবশ্যই সবসময় তিনটি আদর্শ লালন করতে হবে এবং বেঁচে থাকতে হবে – আনুগত্য, কর্তব্য এবং ত্যাগ। যে সৈনিক তার দেশের প্রতি সর্বদা অনুগত, যে সর্বদা নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত সে অজেয়। আপনিও যদি অপরাজেয় হতে চান, তাহলে এই তিনটি আদর্শ আপনার হৃদয়ে ধারণ করুন।”
“একজন সত্যিকারের সৈনিকের সামরিক এবং আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ উভয়ই প্রয়োজন।”
“আমাদের রাস্তা ভয়ঙ্কর এবং পাথুরে হতে পারে, আমাদের যাত্রা যতোই বেদনাদায়ক হোক না কেন, তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সাফল্যের দিন হয়তো অনেক দূরে, কিন্তু তার আগমন অনিবার্য।”
“আমাদের রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার মূল্য পরিশোধ করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা আমরা পাবো, তা রক্ষা করার শক্তি আমাদের থাকতে হবে।”
“স্বাধীনতা অর্জিত হয় না, ছিনিয়ে নিতে হয়।”
“আজ আমাদের একটাই ইচ্ছা থাকা উচিত- মরার ইচ্ছা, যাতে ভারত বাঁচতে পারে। একজন শহীদের মৃত্যু, শহীদের রক্তে যাতে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করা যায় সেজন্য মৃত্যুবরণ করতে ইচ্ছুক।”
“ভালো চিন্তার দ্বারা দুর্বলতা দূর হয়, আমাদের সর্বদা উচ্চ চিন্তা দিয়ে আমাদের আত্মাকে অনুপ্রাণিত করা উচিত।”
“তুমি যা কর না কেন, তা তোমার কর্মফল। এতে কোনো প্রকার বিভাজন নেই। এর ফলও আপনাকে ভোগ করতে হবে।”
“শুধুমাত্র সম্পূর্ণ জাতীয়তাবাদ, সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলা যেতে পারে।”
“স্বাধীনতার মূল্য দিতে পারে একমাত্র রক্ত।”
“নিঃসন্দেহে, শৈশব ও যৌবনে পবিত্রতা এবং সংযম অপরিহার্য।”
“ইতিহাসে কখনোই সুবিবেচনার মাধ্যমে কোনো বাস্তব পরিবর্তন সাধিত হয়নি।”
“ভোরের আগে অন্ধকার সময় আসতে হবে। সাহসী হোন এবং লড়াই চালিয়ে যান, কারণ স্বাধীনতা সন্নিকটে।”
“আমাদের দেশ ভারতে জাতীয়তাবাদ এমন এক শক্তির সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে, যা মানুষের মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে সুপ্ত ছিল।”
“ভারত রক্তকে ডাকছে রক্তকে ডাকছে। উঠুন, আমাদের হারানোর সময় নেই। আপনার অস্ত্র নাও! আমরা শত্রুর র্যাঙ্ক ভেদ করে আমাদের পথ খোদাই করব, নতুবা ঈশ্বর চাইলে আমরা শহীদ হয়ে মরব। এবং আমাদের শেষ ঘুমের মধ্যে আমরা সেই রাস্তাটিকে চুম্বন করব যা আমাদের সেনাবাহিনীকে দিল্লিতে নিয়ে যাবে। দিল্লির রাস্তা স্বাধীনতার রাস্তা। চলো দিল্লি।”
“যখন আমরা দাঁড়াই, আজাদ হিন্দ ফৌজকে গ্রানাইটের দেওয়ালের মতো হতে হবে; আমরা যখন মিছিল করি, তখন আজাদ হিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলারের মতো হতে হবে।”
“আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনো বাস্তব পরিবর্তন কখনোই অর্জিত হয়নি।”
“আজ আমাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত – মরার ইচ্ছা যাতে ভারত বাঁচতে পারে – একজন শহীদের মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যাতে শহীদের রক্তে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করা যায়।”
“রাজনৈতিক দর কষাকষির রহস্য হল আপনি আসলে যা আছেন তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী দেখায়।”
“শুধুমাত্র নিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ এবং নিখুঁত ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই ভারতীয় মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা যেতে পারে।”
“আমাদের স্বাধীনতার মূল্য নিজের রক্ত দিয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। যে স্বাধীনতা আমরা আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করব, তা আমরা নিজেদের শক্তিতে রক্ষা করতে পারব।”
“একজন ব্যক্তি একটি ধারণার জন্য মারা যেতে পারে, কিন্তু সেই ধারণাটি, তার মৃত্যুর পরে, হাজার জীবনে অবতীর্ণ হবে।”
“বাস্তবতা, সর্বোপরি, আমাদের দুর্বল বোঝার জন্য সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য খুব বড়। তবুও, আমাদের জীবন গড়তে হবে সেই তত্ত্বের উপর যার মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ সত্য। আমরা স্থির থাকতে পারি না কারণ আমরা পরম সত্যকে জানি না বা জানি না।”
“প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে নির্বাসনের মত, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।”
জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।”ষ
বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
“মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্সাহ দেবে।”
“মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত।”
“নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”।
“আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উত্পাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।”
“কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”
“শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন আসল পরিবর্তন সাধিত হয়নি।”
“মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”
“নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।”
“যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
“পুরুষ, অর্থ এবং উপকরণ নিজেরাই বিজয় বা স্বাধীনতা আনতে পারে না। আমাদের অবশ্যই সেই উদ্দেশ্য-শক্তি থাকতে হবে যা আমাদের সাহসী কাজ এবং বীরত্বপূর্ণ শোষণে উদ্বুদ্ধ করবে।”
“যখন আমরা দাঁড়াব, আজাদ হিন্দ ফৌজকে গ্রানাইটের প্রাচীরের মতো হতে হবে; আমরা যখন পদযাত্রা করি তখন আজাদ হিন্দ ফৌজকে স্টিম্রোলারের মতো হতে হয়।”
“যদি লড়াই না হয় তবে জীবন তার অর্ধেক আগ্রহ হারাবে – যদি কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয় না।”
আজ আমাদের কেবল একটি ইচ্ছা থাকা উচিত – মরতে ইচ্ছুক যাতে ভারত বাঁচতে পারে – একজন শহীদ মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা যাতে শহীদদের রক্ত দিয়ে মুক্তির পথ সুগম হয়।
এটি একমাত্র রক্ত যা স্বাধীনতার মূল্য দিতে পারে। আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব!
জীবন সংগ্রাম না হলে তার অর্ধেক আগ্রহ হারাবে-যদি কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয় না।
মহাত্মা গান্ধীর এমন কিছু আছে যা ভারতীয় জনগণের কাছে আবেদন করে। অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করা তিনি সম্ভবত একটি পুরোপুরি মিসফিট হতে পারে।
“এটি কেবল অঘোষিত জাতীয়তাবাদ এবং নিখুঁত ন্যায়বিচার এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই যে ভারতীয় মুক্তিবাহিনী গড়ে উঠতে পারে।
রাজনৈতিক দর কষাকষির গোপনীয়তা হ’ল আপনি যা যা করছেন তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী দেখানো। “
“আমাকে রক্ত দিন এবং আমি আপনাকে স্বাধীনতা দেব!”
ভুলে যাবেন না যে গুরুতর অপরাধটি অন্যায় এবং অন্যায়ের সাথে সমঝোতা করা। চিরন্তন আইন মনে রাখবেন: আপনি পেতে চাইলে অবশ্যই দিতে হবে ”
যে সৈন্যরা সর্বদা তাদের জাতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, যারা সর্বদা তাদের জীবন উত্সর্গ করতে প্রস্তুত, তারা অজেয়।
“আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনো আসল পরিবর্তন আর কখনও পাওয়া যায় নি।”
চিরন্তন আইন মনে রাখবেন: আপনি পেতে চাইলে অবশ্যই দিতে হবে।
এটি একমাত্র রক্ত যা স্বাধীনতার মূল্য দিতে পারে। আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব।
আমাদের স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্ত দিয়ে মূল্য প্রদান করা আমাদের কর্তব্য।
এটি কেবল অঘোষিত জাতীয়তাবাদ এবং নিখুঁত ন্যায়বিচার এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই মুক্তি পেতে পারে ভারতীয় মুক্তি বাহিনী
রাজনৈতিক দর কষাকষির গোপনীয়তা হ’ল আপনি যা যা করছেন তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী দেখানো।
সৈনিক হিসাবে, আপনাকে সর্বদা বিশ্বস্ততা, কর্তব্য এবং ত্যাগের তিনটি আদর্শকে লালন করতে হবে এবং বেঁচে থাকতে হবে। যে সৈনিকরা সর্বদা তাদের জাতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, যারা সর্বদা তাদের জীবন উত্সর্গ করতে প্রস্তুত, তারা অজেয়। আপনিও যদি অদম্য হতে চান তবে এই তিনটি আদর্শকে আপনার অন্তরের অন্তঃস্থলটিতে খোদাই করুন।
জাতীয়তাবাদ মানব জাতির সর্বোচ্চ আদর্শ, সত্য [সত্য], শিবম [দেবতা], সূন্দরাম [সুন্দর] দ্বারা অনুপ্রাণিত। ভারতে জাতীয়তাবাদ … এমন ক্রিয়েটিভ অনুষদকে ছড়িয়ে দিয়েছে যা কয়েক শতাব্দী ধরে আমাদের লোকদের মধ্যে সুপ্ত ছিল
আমাদের ইতিহাসের এই অভূতপূর্ব সন্ধিক্ষণে আপনার কাছে আমার একটি কথা আছে। আমাদের অস্থায়ী পরাজয় দেখে হতাশ হবেন না; প্রফুল্ল এবং আশাবাদী হতে। সর্বোপরি, কখনই ভারতের ভাগ্যের প্রতি আপনার বিশ্বাস হারাবেন না। পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নেই যা ভারতকে বন্ধনে রাখতে পারে। ভারত মুক্ত হবে এবং তাও শিগগিরই। জেল-হ্যান্ড!
কমরেড! আপনি স্বেচ্ছায় একটি মিশন গ্রহণ করেছেন যা মানব মন কল্পনা করতে পারে এমন সর্বশ্রেষ্ঠ। এই জাতীয় মিশনের পরিপূর্ণতার জন্য কোনও ত্যাগ তত বড় নয়, এমনকি নিজের জীবনের ত্যাগও নয়। আপনি আজ ভারতের জাতীয় সম্মানের রক্ষক এবং ভারতের আশা ও আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। সুতরাং নিজেকে পরিচালনা করুন যাতে আপনার দেশবাসী আপনাকে আশীর্বাদ করতে পারে এবং উত্তরোত্তর আপনাকে গর্বিত করতে পারে।
আমার মনে সন্দেহ নেই যে দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং রোগ নির্মূল এবং বৈজ্ঞানিক উত্পাদন ও বিতরণ সম্পর্কিত আমাদের প্রধান জাতীয় সমস্যাগুলি কেবলমাত্র সমাজতান্ত্রিক লাইনেই মোকাবেলা করা যেতে পারে। আমাদের ভবিষ্যতের জাতীয় সরকারকে যে প্রথম কাজটি করতে হবে তা হ’ল প্রথম বিষয় হল পুনর্নির্মাণের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা আঁকার জন্য একটি কমিশন গঠন
আপনাদের সবার কাছে আমার বলতে চাই যে এই যুদ্ধ চলাকালীন আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে এবং সাফল্য অর্জন করতে হবে যা একাই আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য একটি জাতীয় traditionতিহ্য গড়ে তুলতে পারে। এমন সেনাবাহিনী যার সাহস, নির্ভীকতা এবং অদম্যতার কোনও .তিহ্য নেই, শক্তিশালী শত্রুর সাথে লড়াইয়ে নিজের ধারণ করতে পারে না।
এখন যে কার্যটি সামনে রয়েছে তার জন্য আপনার কমনকে প্রস্তুত করুন। আমি আপনাকে পুরুষ, অর্থ এবং উপকরণের জন্য জিজ্ঞাসা করেছি। আমি তাদের উদার পরিমাপে পেয়েছি। এখন আমি আপনার আরও দাবি। পুরুষ, অর্থ এবং উপকরণ নিজেরাই বিজয় বা স্বাধীনতা আনতে পারে না। আমাদের অবশ্যই সেই উদ্দেশ্য-শক্তি থাকতে হবে যা সাহসী কাজ এবং বীরত্বপূর্ণ শোষণে অনুপ্রাণিত করবে।
আমি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিই যে আপনার সম্পাদনা করার জন্য দ্বিগুণ কার্য রয়েছে। অস্ত্রের জোর দিয়ে এবং আপনার রক্তের দামে আপনাকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তারপরে, ভারত যখন মুক্ত হবে তখন আপনাকে ফ্রি ইন্ডিয়ার স্থায়ী সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করতে হবে, যার কাজ হবে আমাদের স্বাধীনতা সর্বকালের জন্য রক্ষা করা। আমাদের অবশ্যই এমন এক অদম্য ভিত্তিতে আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে হবে যা আমাদের ইতিহাসে আর কখনও আমাদের স্বাধীনতা হারাবে না।
বর্তমানের জন্য, আমি আপনাকে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, প্রাইভেশন, জোর করে পদযাত্রা ও মৃত্যু ব্যতীত আর কিছুই দিতে পারি না। তবে যদি আপনি আমাকে জীবন ও মৃত্যুতে অনুসরণ করেন তবে আমি যেমন বিশ্বাস করি যে আপনি যাবেন, আমি আপনাকে জয় এবং স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যাব। আমাদের মধ্যে কে ভারতকে মুক্ত দেখতে বাঁচবে তা বিবেচ্য নয়। এটা যথেষ্ট যে ভারত স্বাধীন হবে এবং আমরা আমাদের সবাইকে তাকে মুক্ত করে দেব।
দাসত্বপ্রাপ্ত মানুষের পক্ষে মুক্তিবাহিনীর প্রথম সৈনিক হওয়ার চেয়ে বড় গর্ব, আর কোনও সম্মান আর হতে পারে না।
আমরা স্থির হয়ে বসে থাকতে পারি না কারণ আমরা পরম সত্য জানি না, না পারি।
আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি, যখনই জীবন ঘোরাফেরা করে, কিছু রশ্মি পরাস্ত হয় এবং এটিকে জীবন থেকে দূরে সরে যেতে দেয় না।
যে সৈনিকরা সর্বদা তাদের দেশের প্রতি অনুগত এবং দেশের জন্য সর্বদা ত্যাগ করতে প্রস্তুত তারা কখনই পরাজিত হতে পারে না।
একজন সত্য সৈনিকের সামরিক এবং আধ্যাত্মিকতা উভয়েরই প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
সংঘাত কাউকেই মানুষ করে তোলে। দ্বন্দ্ব আত্মবিশ্বাসের দিকে নিয়ে যায়।
মায়ের ভালবাসা নিঃস্বার্থ ও গভীর। এটি কোনওভাবেই পরিমাপ করা যায় না।
যদি আপনি সাময়িকভাবে মাথা নত করতে হয়, তবুও নায়কদের মতো নত করুন।
কোনও ধারণার জন্য একজন ব্যক্তি মারা যেতে পারেন, তবে এই চিন্তাটি তার মৃত্যুর পরে এক হাজার জীবনে অবতীর্ণ হবে।
সাফল্য সর্বদা ব্যর্থতার স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে।
সুভাষচন্দ্র বসুর অনুপ্রেরণাদায়ক উক্তি সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি জ্যাক মার উক্তি ও বাণী সম্পর্কিত পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
“নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না ।”
“মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত ।”
“নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালীর এমন সরল প্রাণ”।
“জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ”।
প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে বির্বাসনের মত, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।
জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে। ”
ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!….যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।
কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।
মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেবে।
আমরা যখন দাঁড়াব, আজাদহিন্দ ফৌজকে গ্র্যানাইটের দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা যখন মার্চ করব তখন আজাদহিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলার হতে হবে।
যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।
জীবনকে এমন একটি ভাব ধারার মধ্যে তুলে ধরতে হবে, যাতে সত্যতা পূর্ণমাত্রায় থাকে।
সত্যান্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকব না, বা থাকা উচিত নয়।
আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উৎপাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।
বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে
মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত ‘।
মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।’
“স্বাধীনতা দেওয়া হয় না, অর্জন করে নিতে হয়।”
“আমাদের স্বাধীনতার মূল্য নিজের রক্ত দিয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। যে স্বাধীনতা আমরা আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করব, তা আমরা নিজেদের শক্তিতে রক্ষা করতে পারব।”
“জীবন তার অর্ধেক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে যদি কোন সংগ্রাম না থাকে – যদি কোনো ঝুঁকি নেওয়া না হয়।”
“কর্মের বন্ধন ভাঙা খুবই কঠিন কাজ।”
“আমি আমার ছোট্ট জীবনে অনেক সময় বৃথা নষ্ট করেছি।”
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর বিখ্যাত উক্তি
“একজন প্রকৃত সৈনিকের সামরিক এবং আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ উভয়ই প্রয়োজন।”
“জীবনের অনিশ্চয়তাকে আমি মোটেও ভয় পাই না।”
“মনে রাখবেন অন্যায় ও অন্যায়ের সাথে আপস করা উভয়ই সবচেয়ে বড় অপরাধ।”
“যে সৈনিকরা সর্বদা তাদের জাতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, যারা সর্বদা তাদের জীবন উত্সর্গ করতে প্রস্তুত, তারা অজেয়।”
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ।
“ভালো চিন্তার দ্বারা দুর্বলতা দূর হয়, আমাদের সর্বদা উচ্চ চিন্তা দিয়ে আমাদের আত্মাকে অনুপ্রাণিত করা উচিত।”
“চিরন্তন নিয়ম মনে রেখো-: কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে।”
“মায়ের ভালোবাসা সবচেয়ে গভীর ও নিঃস্বার্থ। এটা কোনোভাবেই পরিমাপ করা যাবে না।”
“বিশ্বাসের অভাবই সকল কষ্ট ও দুঃখের মূল।”
“একজন ব্যক্তি একটি ধারণার জন্য মারা যেতে পারে, কিন্তু সেই ধারণাটি, তার মৃত্যুর পরে, হাজার জীবনে অবতীর্ণ হবে।”
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর ইতিবাচক উক্তি
“আমি অনর্থক কাজে সময় নষ্ট করতে পছন্দ করি না।”
“ব্যর্থতা কখনও কখনও সাফল্যের স্তম্ভ হয়।”
“নিঃসন্দেহে, শৈশব ও যৌবনে পবিত্রতা এবং সংযম অপরিহার্য।”
“আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনো বাস্তব পরিবর্তন কখনোই অর্জিত হয়নি।”
“ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ জাতীয়তাবাদ, সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার এবং ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা যেতে পারে।”
শেষ কথা :- নেতাজি আজ আমার মধ্যে বেঁচে নেই স্বশরীরে। কিন্তু তিনি প্রত্যেক বাঙালিদের ও প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে আজ ওমর ও সারাটা জীবন জতদিন এই পৃথিবী থাকবে ততদিন তিনি আমাদের ও সবার মধ্যে বেঁচে থাকবে। অনেকের মতে নেতাজী সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে বন্দী অবস্থায় সাইবেরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন। তবে, এই মহান দেশনায়কের মৃত্যু রহস্য এখনও একটি রহস্যই হয়ে রয়েছে দেশবাসীর কাছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুভাষচন্দ্রকে ‘দেশনায়ক’ আখ্যা দিয়ে ‘তাসের দেশ ‘ নৃত্যনাট্যটি তাঁকে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গপত্রে লেখেন: “স্বদেশের চিত্তে নূতন প্রাণ সঞ্চার করবার পূণ্যব্রত তুমি গ্রহণ করেছ, সেই কথা স্মরণ ক’রে তোমার নামে ‘তাসের দেশ’ নাটিকা উৎসর্গ করলুম।”
Q. নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর জন্ম কবে হয়েছিল?
A. সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত বাংলা প্রদেশের উড়িষ্যা বিভাগের (অধুনা, ভারতের ওড়িশা রাজ্য) কটকে জন্মগ্রহণ করেন।
Q. নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর মৃত্যু কবে হয়েছিল?
A. ১৮ই আগস্ট, ১৯৪৫ সালে জাপান নিয়ন্ত্রিত তাইওয়ানে তার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় তাঁর মৃত্যু ঘটে।
Q. নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এর সেরা শ্লোগান কি ছিল?
“তুমি আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব।”… “জয় হিন্দ”।