টীকা লেখ: কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়-বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল সম্পর্কে টীকা ও কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের উদ্ভব কীভাবে হয় তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের উদ্ভব কীভাবে হয়?

অথবা, টীকা লেখ: কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল।

ভূমিকা:- বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার ব্যাপক প্রসার ঘটে, যার ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল। ইতিহাসের একসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হয় কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল।

প্রতিষ্ঠা

১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩ অক্টোবর বোম্বাইয়ে কংগ্রেস স্যোশালিস্ট পার্টি বা কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের প্রথম সভাপতি ছিলেন আচার্য নরেন্দ্র দেব এবং প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ।

সদস্য

কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের সদস্যদের মধ্যে রাম মনােহর লােহিয়া, অচ্যুত পট্টবর্ধন, মিনু মাসানি প্রমুখ ছিলেন বিশেষ উল্লেখযােগ্য।

প্রতিষ্ঠার কারণ

এই দল প্রতিষ্ঠার পিছনে কতকগুলি কারণ ছিল।যেমন –

  • (১) আইন অমান্য আন্দোলনের ব্যর্থতা,
  • (২) শ্রমিক- কৃষকদের দুর্দশায় কংগেসের উদাসীনতা,
  • (৩) কংগ্রেসের দুই তরুণ নেতা জওহরলাল নেহরু ও সুভাষচন্দ্রের প্রভাব,
  • (৪) রুশ বিপ্লব ও সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার প্রভাব,
  • (৫) কমিউনিস্টদের কার্যকলাপের প্রভাব,
  • (৬) সমাজতন্ত্র সম্বন্ধে গান্ধিজি ও তার অনুগামীদের বিরূপ মন্তব্য,
  • (৭) গান্ধিজির আন্দোলন পদ্ধতি বিষয়ে বামপন্থীদের বিরূপ মনোভাব,
  • (৮) সর্বোপরি ব্রিটিশ সরকারের চরম দমনপীড়ন নীতি প্রভৃতি।

দলের নেতৃবৃন্দ

আচার্য নরেন্দ্র দেব, জয়প্রকাশ নারায়ণ, রামমনোহর লোহিয়া, অচ্যুত পট্টবর্ধন, ইউসুফ মেহরআলি, অরুনা আসফ আলি, মিনু মাসিনি প্রমুখ ছিলেন এই দলের প্রধান নেতা।

কর্মসূচি

এই দলের প্রধান কর্মসূচি গুলি হল –

  • (১) কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী শক্তিকে সুসংহত করা,
  • (২) ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ঐতিহ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনা করা,
  • (৩) জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ও শ্রমিক বিরোধী আইন বাতিল করা,
  • (৪) দেশের সকল উপনিবেশ বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা,
  • (৫) শিক্ষার বিস্তার ও বেকারত্ব দূর করা,
  • (৬) দেশিয় রাজতন্ত্র, জমিদারি ও তালুকদারী প্রথার অবসান ঘটানো,
  • (৭) কৃষকদের মধ্যে জমি বণ্টন, কৃষি ঋণ মকুব, ন্যায্য মজুরি, শিল্প- বাণিজ্যের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

গুরুত্ব

কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কংগ্রেস সমাজতন্ত্রীদলের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যেমন –

  • (১) এই দলের প্রভাবে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে কংগ্রেস সাফল্য লাভ করে,
  • (২) এই দলের চাপে কংগ্রেস কৃষি ও ভূমি সংস্কারে যত্নবান হয়,
  • (৩) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হলে গোপনে সমাজতন্ত্রীরাই আন্দোলন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

উপসংহার :- সমাজতন্ত্রীদের আন্তরিক প্রচেষ্টাতেই গান্ধিজির প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে সুভাষচন্দ্র ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরি অধিবেশনে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। এই দলের প্রচেষ্টাতেই পরবর্তীকালে ভারতভূমিতে গড়ে ওঠে সক্রিয় বামপন্থী আন্দোলন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (ষষ্ঠ অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস ষষ্ঠ অধ্যায়- বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

৬.১. বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.১.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.১.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.১.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.১.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.১.ঙ.) একা আন্দোলন

(৬.১.চ.) বারদৌলি সত্যাগ্রহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.২. বিশ শতকে ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.২.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.২.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.২.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.২.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.২.ঙ.) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.৩. বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী রাজনীতির অংশগ্রহণের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা

মানবেন্দ্রনাথ রায় ও ভারতের বামপন্থী আন্দোলন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment