হিন্দু ধর্মের পুরাণে এক মহান ভক্ত ও ধর্মনিষ্ঠ চরিত্র প্রহ্লাদ, যিনি অসুর বংশে জন্ম নিয়েও পরমেশ্বর বিষ্ণুর প্রতি অটল ভক্তির জন্য পরিচিত। তাঁর জীবননাট্যে বিশ্বাস, সত্য, এবং ন্যায়ের বিজয়ের প্রতীক ফুটে ওঠে। হিরণ্যকশিপুর অত্যাচারের মধ্যেও প্রহ্লাদের অনড় ধর্মবিশ্বাস তাঁকে দেব-অসুর সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরিণত করেছে। তাঁর কাহিনি ভক্তি, সাহস এবং ঈশ্বরের সুরক্ষার এক চিরায়ত বার্তা বহন করে।
ভক্ত প্রহ্লাদ
| ঐতিহাসিক চরিত্র | প্রহ্লাদ |
| পিতামাতা | হিরণ্যকশিপু (অসুর রাজা), কৈকসী |
| পরিচিতি | ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত, অসুর বংশে জন্মানো এক ধর্মনিষ্ঠ চরিত্র |
| শিক্ষা | ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ও সত্যের ওপর স্থির থাকার শক্তি, ভক্তির মাধ্যমে দেবাদেবের সুরক্ষা |
| দেবতা যাঁর প্রতি ভক্ত | ভগবান বিষ্ণু / নারায়ণ |
| প্রধান গ্রন্থ | ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, হরিবংশ প্রভৃতি |
| উল্লেখযোগ্য ঘটনা | হিরণ্যকশিপুর নির্যাতন সত্ত্বেও ভগবান বিষ্ণুর প্রতি অটল ভক্তি; নৃসিংহ অবতারের আবির্ভাব |
| প্রতীক | ভক্তি, সত্য, সাহস, ঈশ্বরনিষ্ঠা |
প্রহ্লাদ
ভূমিকা :- হিন্দু পুরাণের এক অনন্য চরিত্র প্রহ্লাদ, যিনি ভক্তি, সত্য এবং ধর্মের প্রতি অটল নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। অসুর রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি শৈশব থেকেই ভগবান বিষ্ণুর প্রতি গভীর ভক্তি লালন করেছিলেন। তাঁর এই অটল ঈশ্বরবিশ্বাস পিতার অসুর-স্বভাব ও অহংকারের সঙ্গে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে, যার ফলে প্রহ্লাদ নানা নির্যাতন ও বিপদের মুখোমুখি হন। কিন্তু কোন প্রতিবন্ধকতাই তাঁর ভক্তিকে বিচলিত করতে পারেনি। নৃসিংহ অবতারের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে প্রহ্লাদের সত্যনিষ্ঠ বিশ্বাসের বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর কাহিনি আজও ভক্তির শক্তি, নৈতিকতার দৃঢ়তা এবং ঈশ্বররক্ষার চিরন্তন বার্তা হিসেবে স্মরণ করা হয়।
প্রহ্লাদের পিতার কঠোর তপস্যা
ভগবান বরাহ অবতারে হিরণ্যাক্ষকে সংহার করলে, তাঁর সহোদর হিরণ্যকশিপু শোকে ও দুঃখে মগ্ন হয়ে, কঠোর তপস্যা দ্বারা ব্রহ্মার নিকট বর গ্রহণ করলেন।
ভক্ত প্রহ্লাদের পিতার ক্রোধ
দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু ক্রোধে অন্ধ হয়ে দেবদ্বিজে হিংসা করতে লাগলেন। সেই দৈত্যেন্দ্রের আজ্ঞা অনুসারে তাঁর অনুচররা প্রমা-নাশ করতে, প্রবৃত্ত হল। তারা উপজীব্য বৃক্ষ সকল ছেদন ও প্রজাগণের গৃহদাহন করতে লাগল। অসুররাজ ত্রিভুবন অধিকার করে নিলে, দেবতারা স্বর্গত্যাগ করে, অলক্ষিতভাবে পৃথিবীতে পর্যটন করতে লাগলেন।
প্রহ্লাদের জন্ম
এরপর দৈত্যবরের পরম সুন্দর চার সন্তানের জন্ম হল। তন্মধ্যে প্রহ্লাদই শ্রেষ্ঠ। তিনি মহতের উপাসক, সত্যপ্রতিজ্ঞ ও জিতেন্দ্রিয় ছিলেন এবং দাসের ন্যায় নত হয়ে আর্য্যজনের পাদ-পদ্ম সেবা করতেন।
দীনজনের প্রতি প্রহ্লাদের বাৎসল্য় ভাব
তিনি দীনজনের প্রতি সন্তানোচিত বাৎসল্য ভাব প্রকাশ করিতেন; কিন্তু অভিমান ও অহঙ্কার হীন ছিলেন।
অদ্ভুত হরিভক্ত প্রহ্লাদ
তাঁর চিত্ত বিপদে বিচলিত হত না, বালকের চিত্ত বাল্যলীলা পরিহারপূর্বক কেবল ভগবানের প্রতি রত থাকত। ভগবানের চিন্তায় তাঁর চেতনা ক্ষোভিত হলে, তিনি কখনো রোদন করতেন, কখনো বা আহ্লাদিত হয়ে হেসে উঠতেন আবার কখনো গান ও নৃত্য করতেন। কখনও বা পরমানন্দে রোমাঞ্চিত শরীরে নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকতেন। এরকম অদ্ভুত হরিভক্ত বালক পুত্রের প্রতি তাঁর পিতা হিরণ্যকশিপু, ঘোরতর অত্যাচার আরম্ভ করলেন।
অধ্যয়নে রত প্রহ্লাদ
তিনি পুত্রদেরকে অধ্যয়নের জন্য শুক্রাচার্য্যের পুত্র সণ্ডামার্কের কাছে প্রেরণ করেছিলেন। এক দিন হিরণ্যকশিপু, প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “বৎস! বল দেখি এ সংসারে সর্ব্বশ্রেষ্ঠ কি?” তখন প্রহলাদ বললেন, “পিতা! হরিপাদ-পদ্মসেবা করাই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ।”
ক্রুদ্ধ পিতা
প্রহ্লাদের কথায় দানবরাজ ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে কোল থেকে ভূতলে নিক্ষেপ করে অনুচরদেরকে আজ্ঞা দিলেন, ‘আমার শত্রুভক্ত এই বালককে এই দণ্ডে বধ কর।”
শূল দ্বারা বিদ্ধ প্রহ্লাদ
রাজার অনুচররা প্রহ্লাদকে শূলদ্বারা বিদ্ধ করতে লাগল, কিন্তু কোন ফল হল না। কারণ, তখন তিনি ভগবানের পাদপত্রে আত্মসমর্পণ করে রইলেন।
প্রহ্লাদকে বিষ প্রদান
শূলবিদ্ধ হয়ে প্রহ্লাদ মরল না দেখে, দৈত্যপতি তাঁকে বিষ প্রদান করতে আদেশ দিলেন; কিন্তু বিষ পানেও তাঁর প্রাণ বিয়োগ হল না।
মৃত্যুহীন প্রহ্লাদ
তার পর অসুররাজ তাঁকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করলেন, কিন্তু তাতেও তিনি দগ্ধীভূত হলেন না। তখন দৈত্যবর, প্রহ্লাদকে সাগর জলে নিক্ষেপ করলেন, উচ্চপর্বত থেকে ফেলে দিলেন, সিংহ-মুখে ও হস্তীপদতলে নিক্ষেপ করলেন, কিন্তু কিছুতেই তাঁর মৃত্যু হল না।
অধ্যয়নে নিযুক্ত প্রহ্লাদ
এরপর তিনি পুনরায় অধ্যয়নের জন্য প্রহ্লাদকে ষণ্ডামার্কের হাতে সমর্পণ করলেন। প্রহ্লাদ অন্যান্য বালকদের সাথে অধ্যয়নে নিযুক্ত হলেন। যণ্ডামার্কের অনুপস্থিতি কালে প্রহ্লাদ সহপাঠীদেরকে ভাগবতধর্ম্মের উপদেশ প্রদান করতেন।
প্রহ্লাদের উপদেশের সার
তাঁর উপদেশের সার এই মনুষ্য-জন্ম অতি দুর্লভ; তা কদাচ লভ্য হয়ে থাকে, আবার তা নিতান্ত অস্থির।
ভক্ত প্রহ্লাদের নির্দেশ
মানুষের আয়ুঃসংখ্যা শতবৎসর, কিন্তু অজিতাত্মাদিগের কেবল তার অর্ধ মাত্র, যেহেতু তারা নিশাভাগে নিরর্থক শয়ন করে থাকে। সেই অর্দ্ধমাত্র পরমায়ু মধ্যেও আবার বাল্য কৈশোরে ক্রীড়া করতে করতে বিশ বৎসর, এবং বৃদ্ধ অবস্থায় অশক্তিনিবন্ধন আরো বিংশতি বৎসর অতিবাহিত হয়ে যায়। অবশিষ্ট দশবৎসর মাত্র, তা আবার দুঃখপরিপূর্ণ কাম এবং মোহের বশীভূত হয়ে মত্ততা ও বিষয়বাসনায় বিনাশ করে। অতএব ভ্রাতৃগণ! তোমরা এখন থেকেই বিষয়বাসনা পরিত্যাগ করে নারায়ণের শরণাপন্ন হও, নিরন্তর হরিকথা গান কর, আর তাঁর পাদপদ্মের সুধা পান কর।
প্রহ্লাদের কাছে দৈত্য বালকদের প্রশ্ন
দৈত্যবালকেরা প্রহ্লাদের উপদেশ শ্রবণ করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “বয়স্য! তুমি এই সুন্দর উপদেশ কোথায় শিক্ষা লাভ করলে ?”
নারদের কাছে প্রহ্লাদের শিক্ষা
প্রহ্লাদ বললেন, “মহর্ষি নারদ আমার মাতাকে ও আমাকে উদ্দেশ করে আত্মানাত্মবিবেক এই দুই তত্ত্ব উপদেশ দিয়েছিলেন। তা আজও আমার চিত্তে প্রতিভাত রয়েছে। হে বয়স্যগণ, মনুষ্যসকল যে দেহের নিমিত্ত কাম্যকর্ম দ্বারা ভোগ কামনা করে, সেই দেহ কুকুরাদির ভক্ষ্য এবং ক্ষণভঙ্গুর। ফলতঃ কি দান, কি যজ্ঞ, কি শৌচ, কি ব্রত কিছুই ভগবানের প্রীতিজনক নয়। কেবল নির্মূল ভক্তিযোগ দ্বারাই তিনি প্রীত হন।”
রাজ্যে ফিরলেন প্রহ্লাদ
প্রহ্লাদের উপদেশে দৈত্য-বালক সকলেই হরিভক্ত হয়ে উঠল। তাতে যণ্ডামার্ক সবকিছু রাজার কাছে নিবেদন করলেন। দৈত্যরাজ শ্রবণমাত্র ক্রোধে অন্ধ হয়ে উঠলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ প্রহ্লাদকে আহ্বান করলে, প্রহ্লাদ এসে পিতার পদদ্বয় বন্দনা করলেন।
পিতাকে ঈশ্বর সদৃশ ভক্তি প্রহ্লাদের
তখন রাজা তাঁকে সম্বোধন করে বললেন, “রে বালক! তুই বার বার আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিস্ কেন বল্?” তাতে প্রহ্লাদ বিনীতভাবে কর জোড়ে বললেন, “পিতঃ! আমি আপনাকে ঈশ্বর-সদৃশ ভক্তি ও মান্য করি এবং আপনার সকল আজ্ঞাই পালন করি; কেবল সেই সর্ব্বভূতের ঈশ্বর ভগবানকে ভুলতে পারি না।”
ভক্ত প্রহ্লাদের মতে ভগবান সর্বত্র
তখন হিরণ্যকশিপু ক্রোধে অধীর হয়ে বললেন, “তোর ভগবান্ কোথায়?” প্রহ্লাদ বললেন, “তিনি সর্ব্বত্রই বিরাজমান আছেন।” তাতে দানবেন্দ্র বললেন, “তোর ভগবান্ যদি সর্ব্বত্রই বিরাজমান, তবে এই স্তন্তের মধ্যে কেন নেই ?” প্রহ্লাদ বললেন, “ঐ যে আছেন।”
স্তম্ভ থেকে ভগবানের আবির্ভাব
দৈত্যপতি “কৈ কৈ” বলে যেমন রোষভরে বলপূর্ব্বক সেই স্তম্ভে মুষ্ট্যাঘাত করলেন, অমনি স্তম্ভ থেকে অভূতপূর্ব্ব এক মহাভয়ানক শব্দ নির্গত হল এবং ভগবান নরসিংহরূপ ধারণ করে স্তম্ভ থেকে বহির্গত হলেন। তিনি হিরণ্যকশিপুকে ধারণপূর্ব্বক সুতীক্ষ্ণ বিশাল নখাঘাতে বক্ষঃ বিদীর্ণ করে তার প্রাণসংহার করলেন।
ভক্তিভরে আত্মহারা প্রহ্লাদ
এরপর দৈত্যারি হরি, সেই ভয়ঙ্কর মহাতেজোময় নরসিংহবেশে সভাস্থিত সিংহাসনে উপবেশন করলেন। অমনি গন্ধর্ব্বরা দুন্দুভিধ্বনি ও দিব্যাঙ্গনারা পুষ্পবৃষ্টি করতে লাগল এবং ব্রহ্মা, শিব ও ইন্দ্রাদি দেবগণ নরসিংহের স্তবস্তুতি করতে আরম্ভ করলেন। প্রহ্লাদ ভক্তিভরে আত্মহারা হলেন। কিন্তু ভগবান্ নৃসিংহদেবের রোষোদ্দীপ্ত উগ্রমূর্ত্তি দেখে অপর কেউই তাঁর নিকটে যেতে সাহসী হলেন না।
রাজা প্রহ্লাদ
হিরণ্যকশিপুর পর প্রহ্লাদ রাজা হলেন। এখন তিনি আর বালক নন। তাঁর পুত্র বিরোচন ও বিরোচনের পুত্র বলি।
প্রহ্লাদের নির্বাণ লাভ
তিনি পুত্র বলিকে রাজ্যভার দিয়ে তীর্থযাত্রা করেন। অবশেষে তিনি তপস্যাদ্বারা নির্ব্বাণমুক্তি লাভ করেন।
উপসংহার :- প্রহ্লাদের জীবনের কাহিনি হিন্দু পুরাণে ভক্তি, ন্যায় এবং সত্যের চিরন্তন শক্তির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। অসুর বংশে জন্ম নিয়েও তিনি কেবল ধর্মের পথে অটল ছিলেন না, বরং ঈশ্বরের প্রতি একনিষ্ঠ ভক্তির আদর্শ হয়ে ওঠেন। হিরণ্যকশিপুর অহংকার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রহ্লাদের দৃঢ় অবস্থান প্রমাণ করে যে সত্যের পাশে থাকলে ঈশ্বরের সুরক্ষাও অনিবার্য। নৃসিংহ অবতারের আবির্ভাব তাঁর বিশ্বাসেরই মাহাত্ম্য তুলে ধরে এবং দেখায়—ধর্ম ও ভক্তি কখনও পরাজিত হয় না। তাই প্রহ্লাদ কেবল পুরাণ-চরিত্র নন, তিনি ভক্তি ও নৈতিকতার এক চিরকালীন প্রতীক, যাঁর কাহিনি যুগে যুগে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এসেছে।
(FAQ) ভক্ত প্রহ্লাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য ?
প্রহ্লাদ হিন্দু পুরাণের এক বিখ্যাত ভক্ত, যিনি অসুর রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র হয়েও ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ আরাধক ছিলেন।
হিরণ্যকশিপু নিজেকে দেবতার ঊর্ধ্বে মনে করতেন এবং চেয়েছিলেন সবাই তাঁকে পূজা করুক। কিন্তু প্রহ্লাদ শুধুমাত্র ভগবান বিষ্ণুকে পূজা করতেন—এই কারণেই তাঁর পিতা তাঁকে বারবার হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।
প্রতিটি অত্যাচারের সময় ভগবান বিষ্ণু অদৃশ্যভাবে তাঁকে রক্ষা করেছিলেন। বিশ্বাস, সত্য এবং ভক্তির শক্তিই তাঁর জীবনে ঈশ্বরীয় সুরক্ষা এনে দেয়।
হিরণ্যকশিপুকে ধ্বংস করতে এবং প্রহ্লাদকে রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ রূপে আবির্ভূত হন। এই ঘটনাই নৃসিংহ অবতারের মূল উদ্দেশ্য।
প্রহ্লাদের বর্ণনা প্রধানত ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, এবং হরিবংশ প্রভৃতিতে পাওয়া যায়।
প্রহ্লাদের জীবন ভক্তি, সত্য, সাহস এবং নৈতিকতার প্রতীক। তাঁর কাহিনি শেখায় যে—সত্যের প্রতি অটল থাকলে এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি রাখলে কোনও শক্তিই মানুষকে পরাজিত করতে পারে না।
হ্যাঁ, নৃসিংহ অবতারের পর প্রহ্লাদকে পিতার সিংহাসনে বসানো হয় এবং তিনি ধর্মপরায়ণ এক ন্যায়পরায়ণ রাজা হিসেবে পরিচিত হন।