চাণক্যের বাণী নীতি উক্তি

চাণক্যের বাণী নীতি উক্তি

ভারতের ইতিহাসে চাণক্য এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন প্রতিভাশালী মানুষ। তার পরামর্শে চন্দ্রগুপ্ত দীর্ঘদিন ধরে ভারতের এক বিশাল ভূখণ্ডকে শাসন করেছিলেন। চাণক্যের জীবন শুরু হয় সাধারণ ভাবে। অসম্ভব বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন তিনি। নিজের উপর ছিল অসীম আস্থা। তাই শেষ পর্যন্ত এতো বড়ো পদে আসীন হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট প্রবন্ধকার। তাঁর লেখা ‘ অর্থশাস্ত্র ‘ বইটি আমরা আগ্রহের সঙ্গে পাঠ করে থাকি। ৩৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চাণক্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতা – ঋষি চনক, মাতা – চানিন চ্যানেশ্বরী, গোল্লা বিষয়ার চানক গ্রামে তার জন্ম। তার মৃত্যু হয় ২৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। তিনি প্রায় ৭৭ বছর জীবন অতিবাহিত করেন।

মানুষ চেনার উপায় চাণক্য নীতি

চাণক্য নীতি বাংলা pdf

চাণক্য নীতি রাজনীতি

চাণক্য নীতি শত্রু দমন

আচার্য চাণক্য নীতি

চাণক্য নীতি বাণী বাংলা

চাণক্য নীতি কথা

চাণক্য নীতি কথা বাংলায় pdf

চাণক্য নীতি বাংলা বই ডাউনলোড

চাণক্য নীতি কথা বাংলায়

চাণক্য নীতি বই pdf download

চাণক্য নীতি বাংলা বই pdf download

চাণক্য নীতি বাংলা বই

একজন শিক্ষার্থীর কখনই কোনো মূর্খ ব্যাক্তির সাথে বেশি কথা বার্তা বলা উচিত নয়। কারণ একজন মূর্খ ব্যাক্তির জ্ঞান খুবই সামান্য থাকে একজন বিদ্বান ব্যাক্তির তুলনায়।

একবার কিছু করতে শুরু করলে অসফলতার ভয়ে ভীত হয়না,আর ছেড়েও যেওনা ,কারণ যারা নিস্বার্থভাবে কাজ করে তারা সব থেকে সুখী মানুষ।

মানুষের নিজের কি আছে? জন্ম-অন্যজনে দিয়েছেন, নাম-অন্যজনে দিয়েছে, শিক্ষা-অন্যজনে দিয়েছেন, রোজগার-অন্যজনে দিয়েছেন, এবং স্মশানে-অন্যজনে নিয়ে গিয়েছেন তাহলে অযথা কেন এতো অহংকার।

সাপ যদি ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়,লোকে তাকে লাঠি দিয়ে মারে। আর যদি সাপকে মন্দিরের শিবলিঙ্গের উপরে দেখতে পায়, তখন তাকে পুজো করে দুধ খাওয়ায়। সুতরাং লোকে তোমাকে সন্মান এমনি করবে না, করবে তোমার স্থান আর পরিস্থিতি দেখে।

কাউকে যতই কাছ থেকে চেনো না কেন কখনো সব কথা খুলে বলোনা। মানে রেখো এই জগতে বিশ্বাসের দাম কেউ রাখেন।

কোনও কাজ শুরু করার আগে, নিজেকে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেসা করুন। কেন আমি এটি করছি এর ফলাফল কি হতেপারে এবং আমি সফল হবো। এবান আপনি এই প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পেতে পারেন, তারপর শুধু মাত্র এগিয়ে যান।

একটি চাকরের পরীক্ষা তখনই নেওয়া উচিত, যখন সে তার কর্তব্য পালন না করে। আত্মীয় পরিজনদের চেনা যায় তখনই যখন আপনার চারিদিকে বিপদ ঘনিয়ে আসবে। একজন বন্ধুকে চিনতে পারবেন সেদিনকে। যে দিন আপনি বিপরীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন। আর যখন আপনার সময় ভালো যাবেনা। তখন আপনি আপনার নিজ স্ত্রীকে চিনতে পারবেন।

আপনাকে যদি কোনো অসৎ ব্যাক্তি এবং সাপের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়, তবে সাপটিকে বেছে নিন। কারণ সাপটি আপনাকে কেবল আত্মরক্ষার্থে দংশন করবে। কিন্তু দুষ্টু ব্যক্তি যে কোনো কারণে যে কোনো সময় বা সর্বদা দংশন করবে।

বুদ্বিমান ব্যাক্তির এই ৫টি জায়গায় যাওয়া উচিত নয় -১) যেখানে রোজগারের কোনো সুযোগ নেই। ২) যেখানকার মানুষের মধ্যে কোনো ভয়ডর নেই। ৩) যেখানকার মানুষের মধ্যে কোনো লজ্জাবোধ নেই। ৪) যেখানে কোনো বুদ্ধিমান ব্যাক্তি বসবাস করেনা। ৫) যেখানে মানুষ দান-ধর্মের নামে অনীহা প্রকাশ করে।

যারা পরিশ্রমী তাদের জন্য কোনো কিছুই জয় করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত কোনো ব্যাক্তির জন্য কোনো দেশেই বিদেশ নয়। মিষ্টি ভাষীদের কোনো শত্রু নেই।

জীবনে ধাক্কা খাওয়া ভালো ধাক্কা না খেলে জীবনে এগানো যায়না।

যেমন শিমুল ফুল দেখতে অতি চমৎকার। গন্ধ বিহীন থাকার জন্য তাকে কেউ আদার করেন। সেরূপভাবে উচ্চবংশজাত সুন্দর পুরুষ জ্ঞানহীন হলে তাকে কেউ আদার যত্ন করে না।

বিদ্যান ও রাজা কখনো সমান হয় না। রাজা নিজের দেশে পূজা পান,কিন্তু বিদ্যান সর্বদেশে পূজা পান। তাই রাজা অপেক্ষা বিদ্যানই বড়।

রাত্রির শোভা বর্ধন করে চন্দ্রদেব। রমনীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভূষণ স্বামী। পৃথিবীর অলঙ্কার রাজা কিন্তু বিদ্যা সকলের ভূষণ।

বিদ্বান সকল গুনের আধার অজ্ঞ সকল দোষের আকার। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।

বিদ্যা এমন ধন যা জাতিবর্গ ভাগ নিতে পারেনা। এমনকি এই ধন চোরেও চুরি করে নিতে পারে না। আবার এই ধন দান করলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। তাই পৃথিবীর মধ্যে সকল ধনের শ্রেষ্ঠ ধন বিদ্যারত্ন।

বিদ্যা কামধেনুর মত। সর্বদা ইস্পিত ফল দেন করে। মায়ের মতো বিদ্যা বিদেশে পালন করে। বিদ্যা অতীব গুপ্তধন। কেহ কিন্তু সেই ধনকে চোখে দেখা পায় না।

বিদ্যাহীন জনের জীবনে কোন ফল নেই। মিত্রহীনের পক্ষে সকল দিক শূন্যময়,পুত্রহীনের গৃহ শূন্য আর দরিদ্রজনের পক্ষে হা হুতাশ ও জগৎটাই শূন্য।

দুষ্টু লোক প্রিয় বাক্য বললেও তাকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। কারন সে মুখে মিষ্টিভাষী, কিন্তু তার অন্তর তার অপরের অনিষ্ট চিন্তারূপ বিষে পরিপূর্ণ।

যে যতোই শক্তিশালী হোকনা কেনো,ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কারোর নেই।

নিজেকে কখনো ছোট মনে করবে না। মনে রেখো পায়ের নিচের দূর্বা ঘাসটা ও পুজোতে কাজে লাগে মাথার উপরের তাল গাছটা নয়।

পৃথিবীতে সবাই শুধু স্বার্থ বোঝে। শীতের সময় যে রোদকে মানুষ ভালোবাসে গরমে সেই রোদকেই মানুষ তিরস্কার করে। সুতরাং মানুষের কাছে তোমার মূল্য ততদিন তোমাকে তার প্রয়াজন যতদিন।

শুধু রক্তের সম্পর্ক থাকলেই মানুষ আপন হয়না বিপদের সময় যে পশে থাকে সে হয় আপন।

একজন মানুষ জন্মগত ভাবে নয়। কর্ম দ্বারা মহান হয়।

খাবার যতই দামি হোক, পচে গেলে তার যেমন কোনো দাম থাকেনা, তেমনি একটা মানুষ যতোই শিক্ষিত হোকনা কেন মানুষত্ব না থাকলে তার কোনো দাম নেই।

জীবনের প্রথমে বাল্যকালে বিদ্যা অর্জন না করলে এবং দ্বিতীয় যৌবনকালে অর্থ আয় না করলে ও তৃতীযে প্রৌঢ় কালে পুন্য সঞ্চয় না করলে চাতুর্থে অর্থাৎ বৃদ্ধকালে আর কি করবে। তখন আর কিছুই অর্জন করার আশা থাকে না।

দুষ্টু লোকেদের মনে এক প্রকার ভাব। কথায় অন্যরকম। অতএব তার বিপরীত ভাব দেখা যায়। কিন্তু সাধুদের মনে কথায় ও কার্যে একভাবই দেখা যায়।

যাহারা পিতৃ ভক্ত,তাহারা প্রকৃত পুত্র,সন্তানকে যিনি লালন পালন করেন, তিনিই পিতা। যে স্ত্রীতে শান্তিলাভ করা যায় সেই প্রকৃত ভার্যা।

সবসময় কারোর দোষ খুঁজে বেড়ান উচিত নয়,পারলে তাকে সমাধানের রাস্তাটা দেখিয়ে দাও কারন জগতে কোনো মানুষই ত্রুটিহীন নয়।

একটি মাত্র অক্ষরও যিনি শিক্ষা দেন,পৃথিবীতে এমন কোনো জিনিস নেই যার দ্বারা সেই গুরুর ঋণ শোধ করা যায় অর্থাৎ গুরুর নিকট অঋণী হওয়া যায় না। জীবিত কাল পর্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

সিংহের নিকট এক,বকের কাছে এক,কুকুরের নিকট ছয়,গদ্দভের নিকট তিন,কাকের নিকট পাঁচ আর মোরগের নিকট থেকে চারটি বিষয় শিক্ষা নিতে হবে।

দেহ সকল বিনাশশীল, ধন সম্পত্তি ও নিশ্চিতই চিরস্থায়ী নয়,নিত্যকাল মৃত্যু নিকটবর্তী, সুতরাং ধর্মো উপার্জন করা অবশ্য কর্তব্য।

বিদ্যার সমান চক্ষু নাই,বিদ্যাবলে অপ্রতক্ত্য বিষয় সমূহ অবগত হতে পারা যায়,যত প্রকার তপস্যা আছে তার মধ্যে সত্য পালনই শ্রেষ্ট তপস্যা। বিষয়ে আসক্তির ন্যায় দুঃখ আর নেই। এ সংসারে ত্যাগের তুল্য সুখ নেই।

সন্মান রক্ষা না হলে বেঁচে থাকার চেয়ে মরণ ভালো,মরণে অল্পকালই কষ্ট হয় কিন্তু মান নষ্ট হলে প্রতিদিন অর্থাৎ জীবিত কাল পর্যন্ত দুঃখ হয়ে থাকে।

যার দ্বারা সন্দেহ সকল বিনাশপ্রাপ্ত হয় এবং পরোক্ষ বস্তুর যাতে দর্শন পাওয়া যায়। জ্ঞানী ব্যাক্তির চক্ষু হল একমাত্র শাস্ত্রজ্ঞান যার শাস্ত্রজ্ঞান নেই তাকে বলা হয় অন্ধ।

সূর্য্য যেমন মেঘে আচ্ছাদিত হন, সেরূপ পাপাচারী মূর্খ সমূহের দ্বারা গুণীর গুনসকল আচ্ছাদিত হয়,অর্থাৎ দোষের আড়ালে পড়ে থাকে।

যে স্ত্রীর আচার শুদ্ধ, কার্যে নিপুনতা, যার ধর্মই পতিসেবা,স্বামীর সুখ দুঃখ সমান উপভোগ করে ও সর্বদা প্রিয় বাক্য বলে এরূপ স্ত্রীকে উত্তম ভাৰ্য্যা বলে থাকে।

চোর কখনো ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে পারে না। দুর্জ্জনের কোনো কালে ক্ষমাগুন থাকে না। কৃপণ কখনো দান করতে সক্ষম হয়না। লোভী ব্যাক্তি কখনো সত্য পালনে সমর্থ হয় না।

হাজার হাজার শোকের কারন ও শত শত ভায়ের জন্য প্রত্যহ মূর্খকে অভিহিত করে কিন্তু জ্ঞানী বাক্তিকে বিচলিত করতে সমর্থ হয় না।

সম্যক বিচার করে কথার জবাব দিতে হয় তখন হঠাৎ কিছু বলা উচিত নয়, শত্রু হলেও তার গুণ গ্রহণ করতে হবে। গুরুর দোষ ত্যাগ করবে।

অতি পরিচয়ে দোষ আর ঢাকা থাকে না।

অধমেরা ধন চায়, মধ্যমেরা ধন ও মান চায়। উত্তমেরা শুধু মান চায়। মানই মহতের ধন।

অনেকে চারটি বেদ এবং ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করলেও আত্মাকে জানে না, হাতা যেমন রন্ধন-রস জানে না।

অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না।

অবহেলায় কর্মনাশ হয়, যথেচ্ছ ভোজনে কুলনাশ হয়, যাঞ্চায় সম্মান-নাশ হয়, দারিদ্র্যে বুদ্ধিনাশ হয়।

অভ্যাসহীন বিদ্যা, অজীর্ণে ভোজন, দরিদ্রের সভায় কালক্ষেপ এবং বৃদ্ধের তরুণী ভার্যা বিষতুল্য।

অহংকারের মত শত্রু নেই।

আকাশে উড়ন্ত পাখির গতিও জানা যায়, কিন্তু প্রচ্ছন্নপ্রকৃতি-কর্মীর গতিবিধি জানা সম্ভব নয়।

আদর দেওয়ার অনেক দোষ, শাসন করার অনেক গুণ, তাই পুত্র ও শিষ্যকে শাসন করাই দরকার, আদর দেওয়া নয়।

আপদের নিশ্চিত পথ হল ইন্দ্রিয়গুলির অসংযম, তাদের জয় করা হল সম্পদের পথ, যার যেটি ঈপ্সিত সে সেই পথেই যায়।

আড়ালে কাজের বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু সামনে ভাল কথা বলে, যার উপরে মধু কিন্তু অন্তরে বিষ, তাকে পরিত্যাগ করা উচিত।

ইন্দ্রিয়ের যে অধীন তার চতুরঙ্গ সেনা থাকলেও সে বিনষ্ট হয়।

উপায়জ্ঞ মানুষের কাছে দুঃসাধ্য কাজও সহজসাধ্য।

উৎসবে, বিপদে, দুর্ভিক্ষে, শত্রুর সঙ্গে সংগ্রামকালে, রাজদ্বারে এবং শ্মশানে যে সঙ্গে থাকে, সে-ই প্রকৃত বন্ধু।

ঋণ, অগ্নি ও ব্যাধির শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে।

একটি দোষ বহু গুণকেও গ্রাস করে।

একটি কুবৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয়।

একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়, তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়।

একশত মূর্খ পুত্রের চেয়ে একটি গুণী পুত্র বরং ভাল। একটি চন্দ্রই অন্ধকার দূর করে, সকল তারা মিলেও তা পারে না।

কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর।

খেয়ে যার হজম হয়, ব্যাধি তার দূরে রয়।

গুণবানকে আশ্রয় দিলে নির্গুণও গুণী হয়।

গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়, তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।

গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।

গৃহে যার মা নেই, স্ত্রী যার দুর্মুখ তার বনে যাওয়াই ভাল, কারণ তার কাছে বন আর গৃহে কোনও তফাৎ নেই।

চন্দন তরুকে ছেদন করলেও সে সুগন্ধ ত্যাগ করে না, যন্ত্রে ইক্ষু নিপিষ্ট হলেও মধুরতা ত্যাগ করে না, যে সদ্বংশজাত অবস্থা বিপর্যয়েও সে চরিত্রগুণ ত্যাগ করে না।

তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয়: নিজের পত্নীতে, ভোজনে এবং ধনে। কিন্তু অধ্যয়ন, জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে।

দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন এবং বিপদ- সব কিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল।

দুর্জনের সংসর্গ ত্যাগ করে সজ্জনের সঙ্গ করবে। অহোরাত্র পুণ্য করবে, সর্বদা নশ্বরতার কথা মনে রাখবে।

দুর্বলের বল রাজা, শিশুর বল কান্না, মূর্খের বল নীরবতা, চোরের মিথ্যাই বল।

দুষ্টা স্ত্রী, প্রবঞ্চক বন্ধু, দুর্মুখ ভৃত্য এবং সর্প-গৃহে বাস মৃত্যুর দ্বার, এ-বিষয়ে সংশয় নেই।

ধর্মের চেয়ে ব্যবহারই বড়।

নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না, নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না।

পরস্ত্রীকে যে মায়ের মত দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে এবং সকল জীবকে যে নিজের মত মনে করে, সে-ই যথার্থ জ্ঞানী।

পাপীরা বিক্ষোভের ভয় করে না।

পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে, দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে, ষোল বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মত আচরণ করবে।

পুত্র যদি হয় গুণবান, পিতামাতার কাছে তা স্বর্গ সমান।

পুত্রকে যারা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।

বইয়ে থাকা বিদ্যা, পরের হাতে থাকা ধন একইরকম। প্রয়োজন কালে তা বিদ্যাই নয়, ধনই নয়।

বিদ্বান সকল গুণের আধার, অজ্ঞ সকল দোষের আকর। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।

বিদ্যাবত্তা ও রাজপদ এ-দুটি কখনও সমান হয় না। রাজা কেবল নিজদেশেই সমাদৃত, বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত।

বিদ্যা ব্যতীত জীবন ব্যর্থ, কুকুরের লেজ যেমন ব্যর্থ, তা দিয়ে সে গুহ্য-অঙ্গও গোপন করতে পারে না, মশাও তাড়াতে পারে না।

বিদ্যাভূষিত হলেও দুর্জনকে ত্যাগ করবে, মণিভূষিত হলেও সাপ কি ভয়ঙ্কর নয়?

বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই, ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই। সন্তানের চেয়ে স্নেহপাত্র নাই, দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই।

বিনয়ই সকলের ভূষণ।

বিষ থেকেও অমৃত আহরণ করা চলে, মলাদি থেকেও স্বর্ণ আহরণ করা যায়, নীচজাতি থেকেও বিদ্যা আহরণ করা যায়, নীচকুল থেকেও স্ত্রীরত্ন গ্রহণ করা যায়।

ভোগবাসনায় বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়।

মিত ভোজনেই স্বাস্থ্যলাভ হয়।

যশবানের বিনাশ নেই।

যারা রূপযৌবনসম্পন্ন এবং উচ্চকুলজাত হয়েও বিদ্যাহীন, তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মত বেমানান।

যে অলস, অলব্ধ-লাভ তার হয় না।

যে গাভী দুধ দেয় না, গর্ভ ধারণও করে না, সে গাভী দিয়ে কী হবে! যে বিদ্বান ও ভক্তিমান নয়, সে পুত্র দিয়ে কী হবে!

রাতের ভূষণ চাঁদ, নারীর ভূষণ পতি, পৃথিবীর ভূষণ রাজা, কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ।

শাস্ত্র অনন্ত, বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক। তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত। হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়, তেমনি।

সত্যনিষ্ঠ লোকের অপ্রাপ্য কিছুই নাই।

সত্যবাক্য দুর্লভ, হিতকারী-পুত্র দুর্লভ, সমমনস্কা-পত্নী দুর্লভ, প্রিয়স্বজনও তেমনি দুর্লভ।

সাপ নিষ্ঠুর খলও নিষ্ঠুর, কিন্তু সাপের চেয়ে খল বেশি নিষ্ঠুর। সাপকে মন্ত্র বা ওষধি দিয়ে বশ করা যায়, কিন্তু খলকে কে বশ করতে পারে?

সুবেশভূষিত মূর্খকে দূর থেকেই দেখতে ভাল, যতক্ষণ সে কথা না বলে ততক্ষণই তার শোভা, কথা বললেই মূর্খতা প্রকাশ পায়।

হাতি থেকে একহাজার হাত দূরে, ঘোড়া থেকে একশ হাত দূরে, শৃঙ্গধারী প্রাণী থেকে দশহাত দূরে থাকবে। অনুরূপ দুর্জনের কাছ থেকেও যথাসম্ভব দূরে থাকবে।

গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়,

তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।“-চাণক্য

নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না,

নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না।“

বিদ্বান সকল গুণের আধার,অজ্ঞ সকল দোষের আকর।

তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।“

যেইসব শিক্ষার্থীরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে নষ্ট করে আর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমানো পছন্দ করে, সেইসব শিক্ষার্থীরা জীবনে সফল হতে পারেনা এবং তারা বেশিরভাগ কাজ ঠিক মতো করতে অক্ষম হয়।”

একজন পন্ডিত ব্যক্তিও ঘোর দুঃখ-কষ্টের স্বীকার হতে পারেন যদি সে, একজন মূর্খ ব্যক্তিকে উপদেশ দেন অথবা কোনো দুষ্ট স্ত্রীর ভরন পোষণে লিপ্ত হন কিংবা কোনো দুঃখী ব্যক্তির সাথে দৈনন্দিন সম্পর্ক স্থাপন করেন।“

অলস শিক্ষার্থীরা ঠিক ততটাই জ্ঞান অর্জন করতে পারে, যতটা তাদের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন।“

গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন,তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই,

যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।“

যারা পরিশ্রমী,তাদের জন্যে কোনকিছুই জয় করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত কোন ব্যক্তির জন্যে কোন দেশই বিদেশ নয়।”

সদগুণ সম্পন্ন একজন পুত্র,অযোগ্য শত শত পুত্রের চেয়ে অনেক শ্রেয়। কারণ রাতের আকাশে একটিমাত্র চাঁদই কিন্তু আকাশের সমস্ত অন্ধকারকে দূর করতে পারে।“

দুর্জন ব্যক্তি বিদ্যান হলেও যেকোনো মূল্যে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত,কারন মণিভূষিত বিষাক্ত সাপও অধিক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে।“

বিষের পাত্র থেকে অমৃত,অপবিত্র স্থান থেকে স্বর্ণ,সবচেয়ে নীচ ব্যক্তির কাছ থেকেও জ্ঞান এবং নীচ বংশের পরিবার থেকেও গুণবতী স্ত্রী গ্রহণ করা উচিত।”

সাপ নিষ্ঠুর খলও নিষ্ঠুর,

কিন্তু সাপের চেয়ে খল বেশি নিষ্ঠুর।

সাপকে মন্ত্র বা ওষধি দিয়ে বশ করা যায়,

কিন্তু খলকে কে বশ করতে পারে?”

পুত্রকে যারা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু।

হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না,

সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।“

পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে,

দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে,

ষোল বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মত আচরণ করবে।“

তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয়:নিজের পত্নীতে,ভোজনে এবং ধনে। কিন্তু অধ্যয়ন,জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে।“

বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই, ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই। সন্তানের চেয়ে স্নেহপাত্র নাই, দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই।“

শাস্ত্র অনন্ত,বিদ্যাও প্রচুর।

সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক।

তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত।

হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে

শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়,তেমনি।“

চঞ্চল মন যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার পিছনে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।“

দুর্জনের সঙ্গ ত্যাগ করো, সাধু সঙ্গে ভজন করো। দিনরাত সর্বদা পুণ্য কর্মে লিপ্ত থাকো এবং সর্বদা এই জগতের অনিত্যতাকে স্মরণে রেখো।“

দুষ্টা স্ত্রী,প্রবঞ্চক বন্ধু,

দুর্মুখ ভৃত্য এবং সর্প-গৃহে বাস মৃত্যুর দ্বার,

এ-বিষয়ে সংশয় নেই।“-চাণক্য

একটিমাত্র বৃক্ষে লাগা আগুনের দ্বারা যেমন সম্পূর্ণ বন ভস্মে পরিণত হতে পারে তেমনি একজন কুপুত্রের দ্বারাও সম্পূর্ণ পরিবার ধ্বংস হতে পারে।“

অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না।“

একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়,তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়।“

পরস্ত্রীকে যে মায়ের মত দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে এবং সকল জীবকে যে নিজের মত মনে করে, সেই যথার্থ জ্ঞানী।“-চাণক্য

আড়ালে কাজের বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু সামনে

ভাল কথা বলে, যার উপরে মধু কিন্তু অন্তরে বিষ, তাকে পরিত্যাগ করা উচিত।“

রাতের ভূষণ চাঁদ,

নারীর ভূষণ পতি,

পৃথিবীর ভূষণ রাজা,

কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ।“-চাণক্য

দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন এবং বিপদ- সব কিছুই মানুষ নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল।“

যারা রূপযৌবনসম্পন্ন এবং উচ্চকুলজাত

হয়েও বিদ্যাহীন,তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মত বেমানান।“

”সত্যবাক্য দুর্লভ,

হিতকারী-পুত্র দুর্লভ,

সমমনস্কা-পত্নী দুর্লভ,

প্রিয়স্বজনও তেমনি দুর্লভ।“

বইয়ে থাকা বিদ্যা,

পরের হাতে থাকা ধন একইরকম।

প্রয়োজন কালে তা বিদ্যাই নয়,ধনই নয়।“-চাণক্য

শাস্ত্র অনন্ত,বিদ্যাও প্রচুর।

সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক।

তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত।

হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়, তেমনি।“

স্বভাবত কেউই আমাদের বন্ধু কিংবা শত্রু হয়না, একমাত্র কাজের দ্বারাই মানুষ আমাদের বন্ধু কিংবা শত্রু হয়।“-চাণক্য

বিষের পাত্র থেকে অমৃত,অপবিত্র স্থান থেকে স্বর্ণ,সবচেয়ে নীচ ব্যক্তির কাছ থেকেও জ্ঞান এবং নীচ বংশের পরিবার থেকেও গুণবতী স্ত্রী গ্রহণ করা।“

দুই ধরনের হিংসুক প্রাণী আছে, যথা সাপ ও সাপের মতোই ক্রূর স্বভাব বিশিষ্ট মানুষ। এরমধ্যে সাপের মতো ক্রূর স্বভাব বিশিষ্ট মানুষ অধিক ভয়ানক।“

নখযুক্ত প্রাণী,শিংওয়ালা জন্তু,অস্ত্রধারী ব্যক্তি এবং রাজনীতিবীদকে কখনই বিশ্বাস করতে নেই।“

সাধুগণ সকল জীবকেই তাঁর কৃপা প্রদান করে, এমনকি যাদের সদগুণ নেই তাদেরও। ঠিক যেমন সমাজচ্যুত ব্যক্তির ঘরে আলো বিতরণ করতে চাঁদও বিরত থাকেনা।“

অতিরিক্ত স্নেহ করার ফলে,সন্তানের অনেক দোষ জন্মায়, কিন্তু কঠোরতার দ্বারা তার সুন্দর চরিত্র গড়ে ওঠে। তাই সন্তান ও শিষ্যের প্রতি কমল নয় কঠোর হও।“

মনের বাসনাকে দূরীভূত করা উচিত নয়।

এই বাসনাগুলোকে গানের গুঞ্জনের মতো কাজে লাগানো উচিত।

আপদের নিশ্চিত পথ হল ইন্দ্রিয়গুলির অসংযম, তাদের জয় করা হল সম্পদের পথ, যার যেটি ঈপ্সিত সে সেই পথেই যায়।“

রাজ্যের উন্নতি ইন্দ্রিগুলোর ওপরে বিজয় প্রাপ্ত করার মধ্যে আছে।

অলস ব্যক্তির কিছুই প্রাপ্ত হয় না।“

বিপত্তির সময় স্নেহ প্রদর্শনকারী ব্যক্তিই মিত্র হয়।“

বৃদ্ধি আর বিনাশ নিজের হাতে থাকে!“

ধৈর্যহীন ব্যক্তির বর্তমান আর ভবিষ্যত বলে কিছু থাকে না।“

চঞ্চল চিত্তের ব্যক্তিদের কার্যসিদ্ধি হয় না!“

কঠিন সময়ে বুদ্ধিই পথ দেখায়!“

নিজের দূর্বলতা কাউকে জানাবেন না!“

শলা পরামর্শের সময় কোনো জেদ করা উচিত নয়!“

শত্রু দেশের গুপ্তচরেদের ওপরে সর্বদা দৃষ্টি রাখা উচিত!“

যার ওপরে বিশ্বাস থাকে না…তাকে কখনো বিশ্বাস করা উচিত নয়!“

আত্মরক্ষা হলে তবেই সকলের রক্ষা হয়।“

অহংকারী হলে গোপন রহস্য শত্রু জেনে ফেলে।“

সর্বদা শত্রুর প্রচেষ্টার ওপরে দৃষ্টি রাখুন।“

যে কোনো সম্পর্ক উদ্দেশ্যের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে।“

অল্প ভোজন করাই স্বাস্থ্য লাভ হয়!“

বার্ধক্যে বেড়ে ওঠা ছোট রোগকেও উপেক্ষা করবেন না!“

ভবিষ্যতে বিপদ আসতেই পারে, সেই কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকটা মানুষেরই অর্থ সঞ্চয় করা উচিত।”

যেমন কর্ম করবে তেমন ফল পাবে। কোনো ভগবান তোমার কপালের দুঃখ দূর করতে পারবে না।”

মহান ব্যক্তিরা বিপদের সময় বিহ্বল বা কাতর হয়ে পড়েন না।”

যে ব্যক্তির জন্মের দ্বারা বংশের নাম উজ্জ্বল হয় সেই ব্যক্তির জন্ম সার্থক।”

যে যতোই শক্তিশালী হোক না কেনো, ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কারোর নেই।”

পুত্র যদি হয় গুণবান, পিতামাতার কাছে তা স্বর্গ সমান।

একটি শক্তিশালী মন কে কেউ হারাতে পারেনা।”

ভালো করে চিন্তা করে কথা বলা উচিত। হঠাৎ করেই কিছু বলা ঠিক নয়।”

শত্রুর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করা উচিত নয়। তাকে সর্বদা বিপদজনক মনে করা প্রয়োজন।”

“দুর্মূল্য জিনিস গুলি সাধারণত আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকে। তাই সেগুলি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”

অন্নদানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দান হয়না এবং ভবিষ্যতেও হবে না। বিশ্ব অন্নের দ্বারা পালিত হয়।”

“বালক বলে তার উপদেশ খারাপ এবং বৃদ্ধ বলে তার উপদেশ ভালো এমন ধারণা ঠিক নয়।”

মন খাঁটি হলে পবিত্র স্থানে গমন অর্থহীন।”

স্বভাবত কেউই আমাদের বন্ধু কিংবা শত্রু হয়না, একমাত্র কাজের দ্বারাই মানুষ আমাদের বন্ধু কিংবা শত্রু হয়।”

উৎসবে, বিপদে, দুর্ভিক্ষে, শত্রুর সঙ্গে সংগ্রামকালে, রাজদ্বারে এবং শ্মশানে যে সঙ্গে থাকে, সেই প্রকৃত বন্ধু।”

“একজন মানুষ তার মৃত্যুর দ্বারা মহান হয়, জন্মের দ্বারা নয়।”

“বিপদ আসার আগে বিপদ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করা উচিত। ঘরে আগুন লাগলে কুয়ো খুলে কোনো লাভ হয় না।”

রাতের ভূষণ চাঁদ, নারীর ভূষণ পতি, পৃথিবীর ভূষণ রাজা, কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ।”

চঞ্চল মন যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার পিছনে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।”

ধন দান করলে হ্রাস প্রায় কিন্তু বিদ্যা দান করলে বেড়ে যায়। তাই ধন অপেক্ষা বিদ্যা শ্রেষ্ঠ।”

“যে ক্ষমা করতে পারে তাকে কেউ ক্ষতি করতে পারে না। যেমন- ঘাস বিহীন স্থানে আগুন পড়লে তা এমনিতেই নিভে যায়।”

“মহৎ ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে ভালো জিনিসের সন্ধান পাওয়া যায়। আর অধমের সংস্পর্শে থাকলে কেবল বাজে জিনিস পাওয়া যায়।”

“মনের বাসনাকে দূরীভূত করা উচিত নয়। এই বাসনা গুলোকে গানের গুঞ্জনের মতো কাজে লাগানো উচিত।”

“গুণবানকে আশ্রয় দিলে নির্গুণও গুণী হয়।”

“ঈশ্বর কোনো মূর্তিতে নেই। আপনার অনুভূতি হলো আপনার ঈশ্বর। আর আত্মা হলো আপনার মন্দির।”

একজন মানুষের খুব বেশী সৎ হওয়া উচিত নয়। যেমন- বাগানের সোজা গাছ গুলিকে সবার আগে কাটা হয়, ঠিক তেমনি বেশী সৎ সম্পন্ন মানুষদের বিপদ সবার আগে আসে।”

খেয়ে যার হজম হয়, ব্যাধি তার দূরে রয়।”

যারা রূপ-যৌবন সম্পন্ন এবং উচ্চ-কুলজাত হয়েও বিদ্যাহীন, তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মত বেমানান।”

বিরাট পশুপালের মাঝেও শাবক তার মাকে খুঁজে পায়। অনুরূপ যে কাজ করে অর্থ সবসময় তাকেই অনুসরণ করে।”

সত্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ধর্ম নেই, মিথ্যা অপেক্ষা বড়ো পাপ নেই। ধর্মের অবস্থান সত্যের উপর, তাই সত্যকে ত্যাগ করা উচিত নয়।”

যতক্ষণ আশা আছে ততক্ষণ প্রযন্ত রুগীর চিকিৎসা করে যাওয়া উচিত। কারণ কার ভাগ্যে কি আছে বলা যায় না।”

“যার ভাষা সরস, যার কর্ম শ্রমযুক্ত, যার সম্পদ দান কার্যে নিযুক্ত তার জীবন সফল।”

একটি দোষ বহু গুণকেও গ্রাস করে।”

প্রতিটি বন্ধুত্বের পিছনে কিছু না কিছু স্বার্থ থাকে। স্বার্থ ছাড়া কোনো বন্ধুত্ব হয় না। আর এটি একটি তিক্ত সত্য।”

কৃপণ ব্যক্তি কখনো ধন-সম্পত্তি ভোগ করতে জানে না। কুকুর আকন্ঠ জলে ডুবে থেকেও জিভের দ্বরা চেটে চেটে জল পান করে।”

চাণক্যের উপদেশমূলক নীতি

“দুর্জন ব্যক্তি বিদ্যান হলেও যেকোনো মূল্যে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত। কারন মণিভূষিত বিষাক্ত সাপও অধিক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে।”

সাপ, রাজা, সিংহ, বোলতা, বাচ্চা, অন্যের কুকুর এবং মূর্খ – এই সাত জনকে ঘুম থেকে জাগানো উচিত নয়।”

পরের স্ত্রী, পরের জিনিস, পরনিন্দা, অন্যকে উপহাস এবং গুরুজনের সামনে চপলতা ত্যাগ করবে।”

একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়, তেমনি একটি সু-পুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়।”

বিদ্যাবত্তা ও রাজপদ এ দুটি কখনও সমান হয় না। রাজা কেবল নিজদেশেই সমাদৃত, বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত।”

আদর দেওয়ার অনেক দোষ, শাসন করার অনেক গুণ, তাই পুত্র ও শিষ্যকে শাসন করাই দরকার, আদর দেওয়া নয়।”

যে অলস, অলব্ধ লাভ তার হয় না।”

সুবেশ ভূষিত মূর্খকে দূর থেকেই দেখতে ভালো। যতক্ষণ সে কথা না বলে, ততক্ষণই তার শোভা। কথা বললেই মূর্খতা প্রকাশ পায়।”

কাজের পরিকল্পনা মনে থাকবে তা মুখে যেনো প্রকাশ না পায়। কেননা, যে কাজের কথা অন্য লোক আগে জেনে ফেলে সেই কাজে সাফল্য আসে না।”

গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়, তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।”

বইয়ে থাকা বিদ্যা, পরের হাতে থাকা ধন একইরকম। প্রয়োজন কালে তা বিদ্যাই নয়, ধনই নয়।”

ভয় যতক্ষণ না আসে, ততক্ষণই ভয় পাওয়া উচিত নয়। যদি শেষ পর্যন্ত ভয় এসে যায় তাহলে তার যথাযথ প্রতিকার করা কর্তব্য।”

পাঁচজনের সঙ্গে বাস করা উচিত। পাঁচজনের সঙ্গে হাঁটা উচিত। পাঁচজনের সঙ্গে মিলেমিশে খাওয়া উচিত। পাঁচজনের সাথে থাকলে দুঃখের লাঘব হয়।”

যেখানে আপনার কোনো বন্ধু নেই অথবা যেখান থেকে আপনি কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন না, এইরকম জায়গায় মানুষের একদিনও থাকা উচিত নয়।”

“দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন এবং বিপদ- সব কিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল।”

কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর।”

অধমেরা ধন চায়, মধ্যমেরা ধন ও মান চায়। উত্তমেরা শুধু মান চায়। মানই মহতের ধন।”

উপকারী ব্যক্তির সাথে উপকার, হিংস্য ব্যক্তির সাথে প্রতিহিংসা এবং দুষ্ট ব্যক্তির সাথে দুষ্ট ব্যবহার করা উচিত। এতে কোনো দোষ নেই।”

ধর্মের চেয়ে ব্যবহারই বড়।”

অগ্নি, শত্রু ও রোগ ব্যাধি সম্পূর্ণ নির্মূল করা উচিত। নাহলে অন্যথায় তা বাড়তেই থাকবে।” – চাণক্য

নতুন বস্ত্র, নতুন ছাতা, নতুন গৃহ, নতুন স্ত্রী- সব কিছু নতুন হলে ভালো। কিন্তু চাকর এবং চাল যতো পুরাতন হবে ততোই ভালো।”

গুরুর অপবাদ বা নিন্দা যেখানে হতে থাকে, সেখানে হয় নিজের কান দুটি বন্ধ রাখতে হয় অথবা সেই স্থান পরিত্যাগ করতে হয়।”

“পর স্ত্রীকে যে মায়ের মত দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে এবং সকল জীবকে যে নিজের মতো মনে করে, সেই যথার্থ জ্ঞানী।”

“একজন শিক্ষার্থীর কখনই কোনো মূর্খ ব্যক্তির সাথে বেশি কথা বার্তা বলা উচিত নয়, কারন একজন মূর্খ ব্যক্তির জ্ঞান খুবই সামান্য থাকে একজন বিদ্যান ব্যক্তির তুলনায়।”

“ধন সম্পদ দান করিলে গৌরব পাওয়া যায়, সঞ্চয়ের মাধ্যমে নয়। জলদান কারী মেঘের স্থান হলো উচুঁতে, কিন্তু জলসঞ্চয় কারী সুমুদ্রের স্থান নীচে।”

“বাল বৃদ্ধ যুবা যেই হোক না অতিথি, গুরুজ্ঞানে তারই সেবা গৃহস্থের রীতি।”

“যদি পশ্চিম দিকেও সূর্যোদয় হয়, যদি পর্বত শিখরেও পদ্মফুল ফোটে, যদি মরু পর্বত অন্যত্রও গমন করে, তবুও সৎ ব্যক্তি তার কথার নড়চড় হতে দেন না।”

“গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।”

“আপনার থেকে উচ্চ পর্যায়ের অথবা আপনার থেকে নিম্ন পর্যায়ের লোকেদের সাথে কখনো বন্ধুত্ব করবেন না। কারণ এমন ধরনের বন্ধুত্ব আপনাকে কখনো সুখ দিতে পারবে না।”

“ক্ষমা, দয়া, প্রেম, সরলতা, বিনয় এবং সেবার দ্বারা সমস্ত জগৎ তাকে বশীভূত করবে।”

চাণক্যের শিক্ষামূলক বাণী/উক্তি/নীতি

জীবনের একটি মুহূর্তও যদি বৃথা ব্যয় হয় তাহলে কোটি কোটি সর্ণমুদ্রার বিনিময়েও টা ফিরে পাওয়া যায় না। সুতরাং বৃথা সময় নষ্ট করার থেকে আর বেশী কি ক্ষতি হতে পারে?”

ভালোভাবে দেখে পা ফেলা উচিত। কাপড় দিয়ে ছেঁকে জল প্রাণ করা উচিত। সত্য কথা বলা উচিত। মন যেমন চাইবে তেমন কাজ করা উচিত।”

যার অধিকারে যতটুকু যা আছে, তার সবকিছুই বরং সৎ উদ্দেশ্যে ব্যয় করা উচিত। কারণ মৃত্যুকালে, কেউই তার সম্পদ সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারে না।”

যে ব্যক্তি সাক্ষাতে কাজের কথা বলে কিন্তু অ-সাক্ষাতে কাজের ক্ষতি করে, সেরকম মুখে মধু অন্তরে বিষ বন্ধুকে ত্যাগ করা উচিত।”

যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করা উচিত।”

নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না। নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয়না।”

উত্তম ব্যক্তির সঙ্গ, পণ্ডিতদের সঙ্গে সদ আলোচনা এবং নির্লোভ এর সঙ্গে বন্ধুত্ব যারা করেন, তারা কখনো ক্লান্ত হয় না।”

অবহেলায় কর্মনাশ হয়, যথেচ্ছ ভোজনে কুলনাশ হয়, দারিদ্র্যে বুদ্ধিনাশ হয়।”

গৃহে যার মা নেই, স্ত্রী যার দুর্মুখ তার বনে যাওয়াই ভালো। কারণ তার কাছে বন আর গৃহে কোনও তফাৎ নেই।”

মুক্তি পেতে চাইলে বিষয় বাসনা ত্যাগ করতে হবে। ক্ষমা, সরলতা, দয়া, সুচিন্তা এবং সত্যকে অমৃতের মতো পান করতে হবে।”

ভোগবাসনায় বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়।”

দুই ব্রাহ্মনের মাঝে, প্রভু ও ভৃতের মাঝে, স্বামী স্ত্রীর মাঝে এবং ষাঁড় এবং লাওনের মাঝে কখনই যাওয়া উচিত নয়।”

বন্ধুকে খুব বিশ্বাস করে নিজের দোষ গুলিকে কখনো বলা উচিত নয়। কারণ বন্ধু যদি একবার রেগে যায় তাহলে আপনার দোষ গুলিকে সকলের সামনে প্রকাশ করে দেবে।”

যারা কর্ম করে যায় তাদের কখনো দারিদ্রতা আসেনা। যারা জপতপ করেন তাদের পাপের ভাগী হতে হয় না। যারা চুপচাপ তাদের ঝগড়ার ভয় থাকে না।”

যারা পরিশ্রমী, তাদের জন্যে কোন কিছুই জয় করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত কোন ব্যক্তির জন্যে কোন দেশই বিদেশ নয়। মিষ্টভাষীদের কোন শত্রু নেই।”

শাস্ত্র অনন্ত, বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক। তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত। হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধ টুকুই তুলে নেয়, তেমনি।”

অতিরিক্ত অহংকার, তিক্ত বাণী, অসৎ ব্যাক্তির সঙ্গ লাভ এবং নিন্দনীয় ব্যক্তির সেবা- যে মানুষ নড়ক লাভ করবে এগুলি তার দেহের বা স্বভাবের লক্ষণ।”

এই ব্যাক্তি আমার আপন এই ব্যাক্তি আমার পর- হীনচেতনা ব্যক্তিরা এমনই চিন্তা করে থাকেন। কিন্তু উদারচেতা মানুষের কাছে সমস্ত জগৎটা আত্মীয়।”

পুত্রকে যারা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।”

পরিমিত ভোজনেই স্বাস্থ্যলাভ হয়।”

একজন শিক্ষার্থীর কাম বাসনা থেকে সর্বদা দূরে থাকা উচিত। কারন কামের মায়াজালে জড়িয়ে গেলে শিক্ষার্থী জ্ঞান ও অধ্যয়নের সময় মনোনিবেশ করতে পারেনা এবং মন সর্বদা কাম বাসনার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে।”

অহংকারের মতো শত্রু নেই।”

বিষ থেকে সুধা, নোংরা স্থান থেকে সোনা, নীচ কারোর থেকে জ্ঞান এবং নিচু পরিবার থেকে সুভলক্ষণা স্ত্রী- এসব গ্রহণ করা সঙ্গত।”

লোভীকে টাকা দিয়ে, কুদ্রকে হাত জোড় করে, মূর্খকে তার মন যুগিয়ে এবং পণ্ডিতকে যথার্থ কথা বলে বশীভূত করবে।”

শরীরে তেল লাগানোর পরে, চিতার ধোঁয়া গায়ে লাগার পরে, চুল কাটানোর পরে মানুষ যতক্ষণ না প্রযন্ত স্নান করছে ততক্ষণ প্রযন্ত সে চণ্ডাল থাকে।”

বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই, ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই। সন্তানের চেয়ে স্নেহপাত্র নাই, দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই।”

সাধুব্যক্তির সান্নিধ্যে এলে মানুষের গৌরব অনেক বৃদ্ধি পায়। ঠিক একইভাবে দেবতার সংসর্গে এলে ফুলের সৌন্দর্য সুষমা বুঝি শত গুণে বৃদ্ধি পায়।”

আগুন, গুরু, ব্রাম্ভন, কুমারী কন্যা, বৃদ্ধ এবং বাচ্চা এদেরকে পা দিয়ে স্পর্শ করা উচিত নয়।”

অন্নের থেকে দশ গুন বেশী শক্তি আছে আটার মধ্যে। আটার থেকে দশ গুণ বেশী শক্তি আছে দুধে। দুধের থেকে আট গুণ বেশী শক্তি আছে মাংসে। মাংসের থেকে দশ গুণ বেশী শক্তি আছে ঘি-য়ের মধ্যে।”

বিদ্যার্থীদের পক্ষে এটি অত্যন্ত আবশ্যক যে তারা আটটি জিনিস পরিত্যাগ করবে- কাম, ক্রোধ, লোভ, সুস্বাদু পদার্থের ভক্ষণের ইচ্ছা, শৃঙ্গার, মনোরঞ্জন, বেশী ঘুমানো অথবা কর্তব্য কর্মে অবহেলা করা।”

পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে, দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে, ষোলো বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করবে।”

তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয়: নিজের পত্নীতে, ভোজনে এবং ধনে। কিন্তু অধ্যয়ন, জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে।”

অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না।”

অত্যন্ত অহংকারের ফলে দশানন রাবণের লঙ্কা রাজ্য বিনিষ্ট হয়েছিল। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং অভিমানের জন্য কৌরবগণ ধ্বংস হয়েছিলেন। অতিরিক্ত দানের ফলে বালিরাজ পাতালে বন্দী হয়েছিলেন। যে কোনো জিনিস অতিরিক্ত করলে অবশ্যই অনর্থ ঘটবে।”

অভ্যাসহীন বিদ্যা, অজীর্ণে ভোজন, দরিদ্রের সভায় কালক্ষেপ এবং বৃদ্ধের তরুণী ভার্যা বিষতুল্য।”

একটি কু-বৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয়।”

মানুষ একা জন্ম নেয়, একা একাই তাকে পাপ পুণ্যের ফল ভোগ করতে হয়। সে একা একাই নানা ধরণের কষ্ট ভোগ করে। তাকে একা একাই নরকের অন্ধকারে থেকে দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হয়। আবার একাই তার মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে।”

হাতি থেকে একহাজার হাত দূরে, ঘোড়া থেকে একশ হাত দূরে, শৃঙ্গধারী প্রাণী থেকে দশহাত দূরে থাকবে। অনুরূপ দুর্জনের কাছ থেকেও যথাসম্ভব দূরে থাকবে।”

গাভী দুধ দেয় না, গর্ভ ধারণও করে না, সে গাভী দিয়ে কী হবে! যে বিদ্বান ও ভক্তিমান নয়, সে পুত্র দিয়ে কী হবে।”

একশত মূর্খ পুত্রের চেয়ে একটি গুণী পুত্র বরং ভালো। একটি চন্দ্রই অন্ধকার দূর করে, সকল তারা মিলেও তা পারে না।”

Leave a Comment