ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির কী অবদান ছিল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির কী অবদান ছিল অথবা, জাতীয়তাবাদের প্রসারে ‘ভারতমাতা’ চিত্রের গুরুত্ব আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির কী অবদান ছিল

প্রশ্ন:- ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির কী অবদান ছিল?

অথবা, জাতীয়তাবাদের প্রসারে ‘ভারতমাতা’ চিত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো।

ভূমিকা :-  উনিশ শতকে ‘লেখা’ অর্থাৎ বিভিন্ন রচনা এবং ‘রেখা’ অর্থাৎ আঁকা ছবি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখে। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ ছবিটি শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

প্রেক্ষাপট

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের সমান্তরালে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই উদ্দেশ্যে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের সময় হিন্দুদের ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে তিনি ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি অংকন করেন।

স্বদেশিয়ানার বিকাশ

অবনীন্দ্রনাথের চতুর্ভুজা ‘ভারতমাতা’র চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শিষ, জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র। এগুলি মূলত ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এর দ্বারা তিনি স্বদেশি আন্দোলনের যুগে দেশবাসীর মনে স্বদেশিয়ানা ও জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।

শান্তির প্রতীক

অবনীননাথের ‘ভারতমাতা’র হাতে কোনো অস্ত্র নেই। এর দ্বারা অবনীন্দ্রনাথ তাঁর স্বদেশি ভাবনায় সশস্ত্র আন্দোলনকে দূরে রেখেছেন।

জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার

বিশ শতকের ব্রিটিশবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে মিছিলের সামনে ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি রাখা হত। নবজাগ্রত ভারতীয় জাতীয়তাবাদ এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনই ছিল ভারতমাতা’ অঙ্কনের অনুপ্রেরণা।

বিতর্ক

‘ভারতমাতা’র চিত্রটির মধ্যে কেউ কেউ হিন্দু স্বাদেশিকতার প্রভাব খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ বাস্তবে হিন্দু স্বাদেশিকতার উগ্র সমর্থক ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় না। ভগিনী নিবেদিতা ‘ভারতমাতা” চিত্রটির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন।

উপসংহার :- ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি ছিল ব্রিটিশ-বিরোধী স্বদেশপ্রেমের প্রতীক। এই চিত্রটির মধ্য দিয়ে অবনীন্দ্রনাথ ভারতবাসীর সামনে অহিংস জাতীয়তাবাদের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment