২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়?

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয় তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়

প্রশ্ন:- উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়?

ভূমিকা :- দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে আসা অবিরাম উদ্বাস্তু স্রোত স্বাধীন ভারতের কাছে একটি বড়ো সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধানে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে এক্ষেত্রে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

ভারতের অভিযোগ

দেশভাগের পর বিপুল সংখ্যক উদবাস্তু ভারতে প্রবেশ করতে থাকলে ভারত সরকার অভিযোগ করে যে, পাকিস্তান সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের দেশত্যাগে বাধ্য করছে।

নেহরু-লিয়াক‍ৎ চুক্তি

উদ্বাস্তু স্রোত প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খাঁ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা ‘নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি’ বা ‘দিল্লি চুক্তি’ নাম পরিচিত। কিন্তু এর পরও ভারতে উদবাস্তু স্রোত বন্ধ হয়নি।

সম্পত্তি বিনিময়

কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাব ও পশ্চিম পাকিস্তানের দেশত্যাগীদের মধ্যে সম্পত্তি ও জনবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় পাঞ্জাব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দ্রুত উদবাস্তু বিনিময় ঘটে যায়। কিন্তু সরকার বাংলার উদ্বাস্তুদের এই বিনিময়ের সুযোগ না দিলে পশ্চিমবঙ্গে উদবাস্তুদের নানা সমস্যা দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে।

ত্রাণ পুনর্বাসন

পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের উদ্বাস্তুদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করে বলে অনেকে অভিযোগ করে থাকেন। পাঞ্জাবের উদবাস্তুদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলেও বাংলার উদ্বাস্তুদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা ছিল খুবই সামান্য।

দূরে পুনর্বাসন

বাংলার বহু দলিত উদবাস্তু পরিবারকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু দূরে দণ্ডকারণ্য, আন্দামান প্রভৃতি স্থানে পুনর্বাসনে পাঠানো হয়। ফলে তারা বাংলার পরিবেশ, ভাষা, সংস্কৃতি প্রভৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের এরূপ পুনর্বাসন নীতির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী দলগুলি তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে।

উপসংহার :- বাঙালি উদ্বাস্তুরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনেকটা বিমাতৃসুলভ আচরণ পেলেও দীর্ঘ জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। আজকের পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতিতে বাঙালি উদ্বাস্তুদের অবদান অসীম।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment