২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

উনিশ শতকে বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: সংস্কারঃ- বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে উনিশ শতকে বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

উনিশ শতকে বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- উনিশ শতকে বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা :- পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে উনিশ শতকে বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায় তাকে কেউ কেউ ‘নবজাগরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে এই অগ্রগতিকে প্রকৃত অর্থে ‘নবজাগরণ’ বলে অভিহিত করা যায় কি না তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক আছে।

‘নবজাগরণ’ অভিধার পক্ষে যুক্তি

ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার, সুশোভন সরকার প্রমুখ উনিশ শতকের অগ্রগতিকে ‘নবজাগরণ’ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য হল –

(১) যদুনাথ সরকারের মন্তব্য

স্যার যদুনাথ সরকার তাঁর ‘হিস্ট্রি অব বেঙ্গল’ গ্রন্থে উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতিকে দ্বিধাহীনভাবে ‘নবজাগরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “ইংরেজদের দেওয়া সব থেকে বড়ো উপহার আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ। এটি যথার্থই একটি নবজাগৃতি। কনস্ট্যান্টিনোপলের পতনের পর ইউরোপে যে নবজাগরণ দেখা দেয়, উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ছিল তার চেয়ে অধিক ব্যাপক ও বৈপ্লবিক।”

(২) সুশোভন সরকারের মন্তব্য

অধ্যাপক সুশোভন সরকার মনে করেন যে, পঞ্চদশ শতকে ইউরোপের নবজাগরণে ইতালির যেরূপ ভূমিকা ছিল ঊনবিংশ শতকে ভারতের নবজাগরণে বাংলার অনুরূপ ভূমিকা ছিল।

‘নবজাগরণ’ অভিধার বিপক্ষে যুক্তি

অশোক মিত্র, বিনয় ঘোষ, সুপ্রকাশ রায়, ড. বরুণ দে, ড. সুমিত সরকার প্রমুখ উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতিকে ‘নবজাগরণ’ বলে স্বীকার করেন না।এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য হল –

(১) তথাকথিত নবজাগরণ

সেন্সাস কমিশনার অশোক মিত্র ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের সেন্সাস রিপোর্টে উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে ‘তথাকথিত নবজাগরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এই জাগরণ ছিল শহরকেন্দ্রিক এবং এটি সীমাবদ্ধ ছিল পরজীবী ভূস্বামীশ্রেণির মধ্যে।

(২) ঐতিহাসিক প্রবঞ্চনা

খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ বিনয় ঘোষ মনে করেন যে, উনিশ শতকে বাংলার জাগরণ ছিল একটি ‘ঐতিহাসিক প্রবঞ্চনা’।

(৩) ইউরোপের বিপরীতধর্মী

সুপ্রকাশ রায় মনে করেন যে, “বাংলার জাগরণ আন্দোলন ইউরোপীয় নবজাগরণ আন্দোলনের বিপরীতধর্মী।”

উপসংহার :- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার মনে করেন যে, উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ মধ্যযুগের ‘অন্ধকারের’ অবসান ঘটিয়ে ইংরেজ শাসিত ভারতীয় সমাজ এক ‘আলোর রাজ্যে’ যাত্রা শুরু করেছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

২.১. উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্যে সমাজের প্রতিফলন

(২.১.ক.) বামাবোধিনী

(২.১.খ.) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

(২.১.গ.) হুতোম প্যাঁচার নকশা

(২.১.ঘ.) নীলদর্পণ

(২.১.ঙ.) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উপরিউক্ত আলোচনার নিরিখে এই প্রসঙ্গগুলির বিশেষ আলোচনা করতে হবে (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

২.২. উনিশ শতকের বাংলা শিক্ষাসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.২.ক.) প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব

(২.২.খ.) ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

(২.২.গ.) নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(২.২.ঘ.) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ

(২.২.ঙ.) রাজা রামমোহন রায়

(২.২.চ.) রাজা রাধাকান্ত দেব

(২.২.ছ.) ডেভিড হেয়ার

(২.২.জ.) জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বীটন বা বেথুন

(২.২.ঝ.) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

(২.২.ঞ.) চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ

(২.২.ট.) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

টুকরো কথা: মধুসূদন গুপ্ত

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৩. উনিশ শতকের বাংলা-সমাজসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৩.ক.) ব্রাহ্মসমাজসমূহের উদ্দোগ

(২.৩.খ.) সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন

(২.৩.গ.) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী

(২.৩.ঘ.) বিধবাবিবাহ আন্দোলন

টুকরো কথা: হাজি মহম্মদ মহসীন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৪. উনিশ শতকের বাংলা-ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.ক.) ব্রাহ্ম আন্দোলন-বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.খ.) রামকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয়’-এর আদর্শ

(২.৪.গ.) স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ

(২.৪.ঘ.) নব্য বেদান্ত-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা: 

লালন ফকির
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৫. “বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র ও পর্যালোচনা,

উনিশ শতকের বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment