ঔপনিবেশিক আমলে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে ঔপনিবেশিক আমলে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ঔপনিবেশিক আমলে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- ঔপনিবেশিক আমলে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা :- ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বাংলার পাশ্চাত্য ধাঁচের আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার অস্তিত্ব ছিল না। ঊনবিংশ শতক থেকে বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ শুরু হয়।

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার

ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলায় আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এর ফলে বাংলার শিক্ষার্থীরা পাশ্চাত্যের আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি বিদ্যা সম্পর্কে অবহিত হয়। এই ভাবে বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশের পটভূমি তৈরি হয়।

প্রাথমিক উদ্যোগ

বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার প্রথম দিকের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ছিল ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে স্যার উইলিয়াম জোনস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এশিয়াটিক সোসাইটি। এই সোসাইটির পত্রিকায় বিজ্ঞান-বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশিত হত। তাছাড়া রসায়নবিদ জন ম্যাকে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর কলেজে রসায়নশাস্ত্র সম্পর্কে পড়ানো শুরু করেন।

বিজ্ঞান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ সরকার এবং কোনো কোনো বিশিষ্টভারতীয় মনীষীর উদ্যোগে বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এই সব প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স, কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ, বসু বিজ্ঞান মন্দির, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ, বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রভৃতি।

কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বাংলায় বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যেও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (১৮৫৬ খ্রি.), যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (১৯০৬ খ্রি.) প্রভৃতি।

উপসংহার :- ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার যে সুত্রপাত ঘটেছিল তা কিছুকালের মধ্যেই ভারতের অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিত্তির ওপরই স্বাধীন ভারতের বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার পথচলা শুরু হয়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment