ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে প্রবর্তিত ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রধান ত্রুটি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়-সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে প্রবর্তিত ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রধান ত্রুটিগুলি আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে প্রবর্তিত ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রধান ত্রুটি

প্রশ্ন:- ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে প্রবর্তিত ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রধান ত্রুটিগুলি কী ছিল?

ভূমিকা :- ব্রিটিশ শাসনকালে উনিশ শতকে বেসরকারি ও সরকারি উদ্যোগে ভারতে ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার ঘটে। কিন্তু এই শিক্ষার বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়।

ভাষা

আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। ফলে সমাজের উচ্চবর্গের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষালাভেরসুযোগ পেলেও ইংরেজি ভাষায় অজ্ঞ বাংলার বৃহত্তর সমাজেরসাধারণ মানুষ এই শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায়নি।

প্রাথমিক শিক্ষায় অবহেলা

এই সময় কলেজ ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।ফলে বাংলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরক্ষরতার হার বৃদ্ধি পায়।

কারিগরি শিক্ষায় অবহেলা

ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের জীবিকা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

নারীশিক্ষার অবহেলা

সরকার পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও নারীশিক্ষার প্রসারে ততটা গুরুত্ব দেয়নি। ফলে নারীসমাজের বৃহত্তর অংশই এই শিক্ষার বাইরে থেকে যায়।

মুসলিম সম্প্রদায়ের উদাসীনতা

সমকালীন মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি যথেষ্ট উদাসীন ছিল। ফলে তাদের বড়ো অংশই এই শিক্ষার বাইরে থেকে যায়।

সীমাবদ্ধতা

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার প্রধানত শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। বাংলার গ্রামগঞ্জে এই শিক্ষার আলো বিশেষ পৌঁছায়নি।

উপসংহার:- বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি সত্ত্বেও একথা বলা যায় যে,পাশ্চাত্য শিক্ষার ফলেই ভারত আধুনিকতার দিকে অগ্ৰসর হয়েছিল। পরবর্তীকালে ভারতীয়দের মধ্যে যে প্রবল জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে তা বহুলাংশে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার ফল বলেই মনে করা হয়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

২.১. উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্যে সমাজের প্রতিফলন

(২.১.ক.) বামাবোধিনী

(২.১.খ.) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

(২.১.গ.) হুতোম প্যাঁচার নকশা

(২.১.ঘ.) নীলদর্পণ

(২.১.ঙ.) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উপরিউক্ত আলোচনার নিরিখে এই প্রসঙ্গগুলির বিশেষ আলোচনা করতে হবে (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

২.২. উনিশ শতকের বাংলা শিক্ষাসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.২.ক.) প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব

(২.২.খ.) ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

(২.২.গ.) নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(২.২.ঘ.) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ

(২.২.ঙ.) রাজা রামমোহন রায়

(২.২.চ.) রাজা রাধাকান্ত দেব

(২.২.ছ.) ডেভিড হেয়ার

(২.২.জ.) জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বীটন বা বেথুন

(২.২.ঝ.) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

(২.২.ঞ.) চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ

(২.২.ট.) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

টুকরো কথা: মধুসূদন গুপ্ত

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৩. উনিশ শতকের বাংলা-সমাজসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৩.ক.) ব্রাহ্মসমাজসমূহের উদ্দোগ

(২.৩.খ.) সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন

(২.৩.গ.) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী

(২.৩.ঘ.) বিধবাবিবাহ আন্দোলন

টুকরো কথা: হাজি মহম্মদ মহসীন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৪. উনিশ শতকের বাংলা-ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.ক.) ব্রাহ্ম আন্দোলন-বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.খ.) রামকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয়’-এর আদর্শ

(২.৪.গ.) স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ

(২.৪.ঘ.) নব্য বেদান্ত-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা: 

লালন ফকির
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৫. “বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র ও পর্যালোচনা,

উনিশ শতকের বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment