টীকা লেখো: হিন্দুমেলা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে হিন্দুমেলা সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।

Table of Contents

হিন্দুমেলা সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- টীকা লেখো- হিন্দুমেলা।

ভূমিকা :- উনিশ শতকে বাংলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল হিন্দুমেলা।

হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠা

পণ্ডিত রাজনারায়ণ বসুর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে এবং তাঁর সহযোগিতায় নবগোপাল মিত্র ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে চৈত্র সংক্রান্তির দিন কলকাতায় হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য সংগঠনটি ‘চৈত্রমেলা’ নামেও পরিচিত ছিল।

হিন্দুমেলার সম্পাদক ও সহ সম্পাদক

হিন্দুমেলার প্রথম সম্পাদক হন জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সহ-সম্পাদক হন নবগোপাল মিত্র।

হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য

‘হিন্দুমেলা’ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল –

  • (১) সাধারণ মানুষের মধ্যে হিন্দুধর্মের অতীত গৌরবগাথা ছড়িয়ে দেওয়া
  • (২) দেশীয় ভাষা চর্চা করা,
  • (৩) জাতীয় প্রতীকগুলিকে মর্যাদা দেওয়া,
  • (৪) এদেশে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসার প্রতিরোধের চেষ্টা করা,
  • (৫) দেশবাসীর মধ্যে দেশাত্মবোধের চেতনা জাগিয়ে তোলা প্রভৃতি।

হিন্দুমেলার বার্ষিক সম্মেলন

হিন্দুমেলার প্রথম বার্ষিক সভায় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘মলিন মুখচন্দ্র মা ভারত তোমারি’ গানটি গাওয়া হয়। পরবর্তী বার্ষিক সভাগুলিতে জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গাও ভারতের জয়’ গানটি গাওয়া হত। এই গানটি দেশপ্রেমিকদের জাতীয় সংগীত হয়ে ওঠে।

হিন্দুমেলায় রাজনারায়ণ বসুর সভাপতিত্ব

সেই সময়ের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব রাজনারায়ণ বসু ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের বার্ষিক সভায় সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় ১৪ বছরের কিশোর রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা হিন্দুমেলার উপহার’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।

হিন্দুমেলার বিশিষ্ট সদস্য

‘হিন্দুমেলা’র সদস্যদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলেন রাজা কমলকৃষ্ণ বাহাদুর, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, রমানাথ ঠাকুর, পিয়ারি চরণ সরকার, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ।

উপসংহার :- একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে হিন্দুমেলা বা চৈত্রমেলা জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। পাশাপাশি দেশের যুবসম্প্রদায়কে ঐতিহ্যমুখী করে তুলতেও হিন্দু মেলার অবদান অনস্বীকার্য।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment