কোনো আলাপ সমাপ্তির উপায়
কে না জানে, সফল হতে হলে সময়ের সদ্ব্যবহার কত না জরুরি। আর সময়ের সদ্ব্যবহার নির্ভর করে সুষ্ঠু সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। কিন্তু প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজটি করা হয়ে ওঠে না। কারণ আমরা অপ্রয়োজনীয় বা আপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনায় জড়িয়ে পড়ি। আলাপকারী পরিচিত, শুভানুধ্যায়ী, বয়োজ্যেষ্ঠ বা আত্মীয়স্থানীয় হলে অবস্থা হয়ে ওঠে আরও সঙ্গিন। হঠাৎ কথা থামিয়ে দিয়ে বিদায় নিলে অপর ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হবেন আবার রুটিনের কাজটিও পরিকল্পনামাফিক করা দরকার। কীভাবে এই আলাপের একটি সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে নিজের কাজে যেতে পারি আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না। রূঢ় না হয়েও কোনো কথোপকথন কীভাবে শেষ করা যায় সে সম্পর্কে আজ থাকছে কয়েকটি পরামর্শ।
সময় দেখুন
আলাপ দীর্ঘায়িত হয়ে গেলে এবং তা যদি আপনার জন্য প্রয়োজনীয় না হয় তাহলে ভদ্রভাবেই আপনি নিজের ঘড়ি বা মোবাইলে একবার সময় দেখে নিন। তারপর বলুন, ‘ওহ, আমি তো খেয়ালই করিনি যে এত সময় গিয়েছে। আমাকে যেতে হবে, নয়তো দেরি হয়ে যাবে।’
শেষ বাক্যটি উচ্চারণ করুন
কথার পাল্টা কথাতে আলাপ দীর্ঘায়িত হয়। যদি আপনার হাতে সময় না থাকে তাহলে আলাপ আপনার মতের বিরুদ্ধে গেলেও আপাতত তা নিয়ে পাল্টা যুক্তি দেবেন না। তার থেকে বরং বিদায় নেওয়ার শেষ বাক্যটি উচ্চারণ করুন, ‘আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগল। আমাদের অবশ্যই মারে। মাঝে আলাপ-আলোচনার জন্য দেখা-সাক্ষাৎ করা উচিত।’
আপনার পরবর্তী পরিকল্পনাটি তাকে বলুন
যার সঙ্গে কথোপকথনটি চলছে তিনি যদি আপনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হন বা শুভানুধ্যায়ী হন তাহলে তাকে আপনার পরবর্তী পরিকল্পনাটি বলতে পারেন, ‘এই আলাপটি সংক্ষিপ্ত করতে হচ্ছে বলে দুঃখিত। আমার ‘একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। আমাকে যেতে হবে। তিনি যদি সত্যি আপনার শুভানুধ্যায়ী হন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার অপারগতাটি বুঝবেন এবং মনের মধ্যে কোনো বিরাগভাব রাখবেন না।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিসমাপ্তি টানুন
বক্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেও খুব সুন্দরভাবে আলাপের পরিসমাপ্তি টানা যায়। তাকে বলুন, ‘আপনি যে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বললেন সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের মধ্যকার এই কথোপকথন আমি উপভোগ করেছি।’ এই বাক্যটি যেহেতু একটি সমাপ্তিসূচক বাক্য, ফলে তিনি নিজেও মানসিকভাবে বিদায়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন। তারপর করমর্দন করে স্থান ত্যাগ করুন।
ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখুন
সব কথোপকথনই অপ্রয়োজনীয় বা খেজুরে আলাপ হয় না। কিন্তু তারপরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রতি সুবিচার করতে আমাদের এই প্রয়োজনীয় আলাপও সংক্ষিপ্ত করতে হয়। আলাপটি যদি আপনার জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে সেটি ভবিষ্যত-এ সুযোগ অনুযায়ী পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়ে আপাতত বিদায় নিতে পারেন। তাকে বলতে পারেন, আমাদের এই আলাপটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। কিন্তু আমাকে এখন যেতে হবে। পরে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা একটা সময় ঠিক করতে পারি এই আলাপের জন্য, আপনি কী মনে করেন?