২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন যেভাবে

আপনি প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন যেভাবে

বলা হয়ে থাকে, যার আজকের দিনটি গতকালের থেকে উত্তম হলো না তার ধ্বংস অনিবার্য। এ কথার অন্তর্নিহিত অর্থ হলো, মানুষকে প্রতিদিন আত্মোন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। আর এই প্রতিযোগিতা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়, বরং নিজের সঙ্গে। চেষ্টা করতে হবে নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। এর জন্য চাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু কৌশল অনুশীলন করা। আর নতুন কিছু করার জন্য বছরের প্রথম দিনটির থেকে ভালো সময় হতেই পারে না। প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কয়েকটি অনুশীলন নিয়েই আজকের এই প্রবন্ধ।

নিজের কাজের তদারকি

প্রত্যেকের নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে হলে প্রথমে যেটি দরকার তা হলো, নিজের কাজের নিয়মিত তদারকি। প্রতিদিন যদি নিজের কাজের একটি তালিকা থাকে তবেই সেই তালিকাকে অতিক্রম করা সম্ভব হবে। নিজের কাজে তদারকি করার জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সারা দিনে কী করলেন তা স্মরণ করুন। চাইলে একটি খাতায় বা ডায়েরিতে লিখতে পারেন। এরপর কোন কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে আর কোন কাজটি আরও ভালোভাবে করা প্রয়োজন তা লিখুন। এই কাজগুলো পরে যে সময় করবেন তখন কীভাবে আরও ভালোভাবে করা সম্ভব সে উপায় খুঁজে বের করুন। এই কৌশলগুলো কাজে লাগালেই গত দিনের থেকে আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন কাজগুলো। আর তাতেই গত দিনের থেকে উত্তম হয়ে যাবেন আপনি। এই প্রক্রিয়াকে আত্মসমালোচনাও বলা যায়। আত্মসমালোচনার সময় আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সারা দিনে এমন কোনো কাজও কি করেছেন যেটি অনুচিত মনে হয়েছে পরে? তাহলে সেই কাজটি আর কখনো করবেন না প্রতিজ্ঞা করুন।

প্রতিদিন বই পড়ুন

বই জ্ঞানের আধার। বইয়ে লিপিবদ্ধ থাকে মনীষীদের চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা। তারা শারীরিকভাবে এ পৃথিবীতে না বাস করলেও তাদের চিন্তা বেঁচে থাকে বইয়ের মাধ্যমে। এই চিন্তা আমাদের দিকনির্দেশনা দেয়। তাই বই পড়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন কোনো না কোনো বই নিয়ে বসুন। কমপক্ষে একটি অধ্যায় পড়ুন। এর ফলে আপনি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাবেন। আরেকটি ভালো অভ্যাস হলো, বেশ আগে পড়া বই পরে আরেকবার চোখ বুলানো। অনেক সময় প্রথম পড়াতে আমরা কিছু জিনিস হয়তো লক্ষ্য করি না। দ্বিতীয়বার পড়ার সময় তাই অনেক নতুন উপলব্ধি হয়, যা জীবনকে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

রাত ১০ টার পরে ডিভাইস ব্যবহার নয়

দিনে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার জন্য দরকার শারীরিক ও মানসিক সতেজ ভাব। আর রাতের পূর্ণ বিশ্রামই পারে এই ক্লান্তিহীন সতেজভাব এনে দিতে। কিন্তু অনেকেই রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়া সার্ফিং করতে অভ্যস্ত। এর ফলে মস্তিষ্ক উত্তপ্ত থাকে। ঘুম আসতে দেরি হয়। সে জন্য সকালে উঠতে দেরি হয়। দিনটিই শুরু হয় তাড়াহুড়ো দিয়ে। তাই যদি রুটিন অনুসরণ করতে হয় তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। আর তার জন্য চাই রাত ১০ টার পরে ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করা। ন্তর

নতুন কিছু শিখতে হবে প্রতিদিন

কবি সুনির্মল বসু বলেছেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র’। সত্যিই এই পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে আছে জ্ঞানভান্ডার। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত বিশ্বের চারদিকে নানা পরিবর্তন হচ্ছে। নিয়ত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শেখার চেষ্টা করতে প্রতিদিন শিখতে হবে চারপাশ থেকে। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। সেটা হতে পারে পেশাগত কোনো দক্ষতার একটি কৌশল বা সামাজিক জীবনের কোনো রীতি।

নিজের জন্য একটু সময়

চারপাশের ভিড়ের মাঝে কোলাহলে আমরা নিজেকে হারিয়ে ফেলি। হৃদয়ের গুঞ্জরিত অস্ফুট বাণী শুনতে পাই না এই কোলাহলে। নিজেই যেন নিজের থেকে দূরে সরে যেতে থাকি। এর ফলে আত্মতৃপ্তি কমে যায়। সাফল্যে শোকর করতে ভুলে যায়। শুরু হয় অশান্তি। এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে কোলাহল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয় কিছুটা সময়ের জন্য। যেন নিজের মনের গভীরের অব্যক্ত কথাটি শোনার জন্য তৈরি হয় নিস্তব্ধতা। প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা নিজের জন্য সময় রাখা তাই ভীষণ জরুরি।

দিনের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন প্রতিদিন

নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে প্রতিদিন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এই লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য আগের দিনের আত্মসমালোচনামূলক লেখাটিতে চোখ বুলিয়ে নিন। এরপর নির্ধারণ করুন দিনের লক্ষ্য। চেষ্টা করুন তা অর্জন করতে। আপনি প্রতিদিন এগিয়ে যাবেন।

সমমনা মানুষের সঙ্গে মিশুন

যাদের সঙ্গে পেশার ও জীবনের লক্ষ্যের মিল আছে তাদের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করতে চেষ্টা করুন। আপনাদের লক্ষ্য এক, সমস্যা এক। এর সমাধানও বের করতে হবে সবাই মিলে। নিজেদের চিন্তা একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করুন। অন্যের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করুন। নিজের লক্ষ্য অর্জনও সহজ হয়ে যাবে।

নিজেকে পুরস্কৃত করুন

প্রতিটি কাজ শুরুর আগে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। কাজটি সম্পন্ন হলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন। এর ফলে আপনি আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করবেন। কাজে আনন্দ খুঁজে পাবেন।

Leave a Comment