দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা ছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা

প্রশ্ন:- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা ছিল?

ভূমিকা :- ভারতের স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু এবং মহাত্মা গান্ধি ইঙ্গিত দেন যে, স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে অবস্থিত কোনো দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন অস্তিত্ব ভারত সরকার মেনে নেবে না।

বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা

স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যের ভারতভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।

কঠোর মনোভাব

ভারতের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে অবস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতে যোগদানে বাধ্য করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কঠোর ও অনমনীয় মনোভাব গ্রহণ করেন।

কূটনৈতিক চাপ

বল্লভভাই প্যাটেল বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে নানা কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেন। তিনি তাঁর সচিব ভি পি মেননকে বলেন যে, আমরা দ্রুততার সঙ্গে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারলে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা দেশীয় রাজ্যগুলির দরজা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।

সামরিক অভিযানের হুমকি

সর্দার প্যাটেল কোনো কোনো দেশীয় রাজ্যকেসামরিক অভিযানের কথা বলে ভারতে যোগদানে বাধ্য করেন।

অভিযান পরিচালনা

সর্দার প্যাটেল শেষপর্যন্ত কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ, জুনাগড় প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর সামরিক অভিযান চালিয়ে রাজ্যগুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেন।

মূল্যায়ণ

দেশীয় রাজাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে যে স্বাধীন ভারত গড়ে ওঠে তাতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অনমনীয় মনোভাব, প্রখর কূটনৈতিক বুদ্ধি, সামরিক অভিযান প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

উপসংহার :- সর্দার প্যাটেলের কঠোর ‘রক্ত ও লৌহ’ নীতির চাপেই বহু রাজ্য ভারতভুক্তির দলিলে সই করতে বাধ্য হয়।ঐতিহাসিক সুমিত সরকারের মতে, “ভারতের দ্রুত ঐক্যসাধন নিঃসন্দেহে সর্দার প্যাটেলেরমহান কৃতিত্ব।”

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment