স্বদেশী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা প্রসঙ্গে ছাত্রদের পিকেটিং, ছাত্রদের দমনে সরকারের উদ্যোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারী অনুদান বন্ধ, ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান বন্ধ ও ছাত্রদের শাস্তি প্রদান সম্পর্কে জানবো।
স্বদেশী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা
ঐতিহাসিক ঘটনা | স্বদেশী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা |
সূচনাকাল | ১৯০৫ খ্রি: |
কারণ | বঙ্গভঙ্গ |
উদ্যোক্তা | লর্ড কার্জন |
বঙ্গভঙ্গ রদ | ১৯১১ খ্রি: |
ভূমিকা :- স্বদেশী আন্দোলন-এ বাংলার ছাত্রসমাজ একটি মূখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। সম্ভবতঃ স্বদেশী ভাবনা প্রচারে এদেরই দান সর্বাধিক হয়েছিল।
ছাত্রসমাজের পিকেটিং
তারা স্বদেশী প্রচার করত, নিজেরাও স্বদেশী দ্রব্য ব্যবহার করত। বিদেশী বস্ত্র বিক্রয়কারী দোকানগুলিতে পিকেটিং-এর কাজেও এরা অগ্রণী ছিল।
ছাত্রদের দমনে সরকারের উদ্যোগ
সরকার পক্ষ থেকে এই ছাত্রদের দমন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেসব স্কুল বা কলেজের ছাত্রেরা স্বদেশী আন্দোলনে যোগদান করেছিল, সেই স্কুল ও কলেজগুলিকে সরকারী পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা চলেছিল।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারী অনুদান বন্ধ
সরকারী অনুদান বা অন্যান্য সুযোগসুবিধাগুলি থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসমূহকে বঞ্চিত করা হয়েছিল এবং এগুলির স্বীকৃতিও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান বন্ধ
এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রদের সরকারী বৃত্তিদান বন্ধ করা হয়েছিল। এমনকি, এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের সরকারী চাকরি প্রাপ্তিও নিষিদ্ধ হয়েছিল।
ছাত্রদের শাস্তি প্রদান
জাতীয় আন্দোলনে যোগদানকারী ছাত্রদের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিও দেওয়া হয়েছিল। বহু ছাত্রকে জরিমানা দিতে হয়েছিল, বহু ছাত্রকে স্কুল বা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহু ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আবার এদের অনেককে পুলিশ -এর লাঠির আঘাতও খেতে হয়েছিল।
উপসংহার :- প্রচণ্ড নির্যাতনের পরেও ছাত্রসমাজ মোটেই ভীত হয়ে পড়ে নি। তাদের সংগ্রাম ছিল অব্যাহত।
(FAQ) স্বদেশী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
লর্ড কার্জন।
১৬ অক্টোবর, ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।
ছাত্রসমাজের।
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।