২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

হরপ্পা সভ্যতার সিলগুলির বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল

বি. এ. জেনারেল (1st Semister) ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়: হরপ্পা সভ্যতা থেকে ৫ নাম্বারের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – হরপ্পা সভ্যতার সিলগুলির বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল তা আলোচনা করা হল।

হরপ্পা সভ্যতার সিলগুলির বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল

প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার সিলগুলির বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল?

সুপ্রাচীন সিন্ধু তথা হরপ্পা সভ্যতার খননকার্যের ফলে আবিষ্কৃত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে সিলমোহরগুলি ছিল অন্যতম। খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত প্রচুর সিলমোহরের অস্তিত্ব থেকে অনুমান করা হয় যে, হরপ্পা সভ্যতায় সিলমোহরের ব্যাপক প্রচলন ছিল। সিলগুলি ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। হরপ্পা সভ্যতার সিলগুলি পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি হত। এগুলিকে দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই করার জন্য আগুনে পুড়িয়ে নেওয়া হত। এ ছাড়াও হাতির দাঁত ও পাথর দিয়েও সিল তৈরি করা হত।

আকারের দিক থেকে সিলগুলি ছিল চারকোণবিশিষ্ট। হরপ্পা সভ্যতায় ব্যবহৃত সিলমোহরগুলিতে বিভিন্ন চিত্র খোদাই করা হয়েছিল। কিছু কিছু সিলে স্বস্তিকা চিহ্ন ও বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি চিত্রিত করা হয়েছিল। এই সিলগুলি থেকে হরপ্পাবাসীদের ধর্মজীবনের পরিচয় পাওয়া যায়। তাছাড়া কিছু সিলে হাতি, গণ্ডার, বৃষ, বাঘ, হরিণ প্রভৃতি পশুর মূর্তি খোদাই করা হয়েছিল। এর থেকে বোঝা যায়, সিন্ধুবাসীরা শিকার প্রবণ ছিল।

হরপ্পায় আবিষ্কৃত পশুপতি শিবের মূর্তিবিশিষ্ট সিন্ধুর সিলটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের অন্যতম পূজনীয় দেবতা যে শিব, তা এই সিল প্রমাণ করে। কয়েকটি সিলে জলযানের চিত্র দেখা গেছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, জলযানে চেপে জিনিসপত্র আদান প্রদান চলত। আবার তারা যে সমুদ্র বাণিজ্যে অংশ নিতেন এবং জলপথে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন, তার প্রমাণও মিলেছে। ঐতিহাসিক বাসামের মতে, “সিন্ধুর ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যের কারণে সিল ব্যবহার করত এবং তারা সিলগুলিতে নির্দিষ্ট ছাপ লাগিয়ে দিত। বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট ছাপ লাগানো সিল ব্যবহার করত।”

অনেক সময় বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রীর ওপর ছাপ দিতে সিল ব্যবহার হত। এই সিলগুলি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হত। সিলগুলিতে বিভিন্ন হরফ ও সংখ্যা ব্যবহার করা হত। এই সংখ্যা ও হরফের ব্যবহার দেখে অনুমান করা যায় যে, সিন্ধুবাসীরা লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল।

Leave a Comment