রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তর:- ভূমিকা:- স্বাধীনতা লাভের পর দেশীয় রাজ্য গুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু ১৯৫০ এর দশকে রাজ্য পুনর্গঠন সংক্রান্ত সমস্যার উদ্ভব হয়। এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন।

প্রেক্ষাপট

স্বাধীনতা লাভের পূর্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রচার করেছিল যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রতিটি প্রধান ভাষা গোষ্ঠীর জন্য পৃথক পৃথক ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠিত হবে। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর জাতীয় সংহতি ও প্রশাসনিক কারণে কংগ্রেস ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তেলুগু ভাষীদের জন্য তেলুগু অঞ্চলের আন্দোলন শুরু হয় এবং পরিশেষে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠিত হয়।

রাজ্যপুনর্গঠন কমিশন গঠন

এরপর ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি ওঠে। এরই প্রেক্ষাপটে সৈয়দ ফজল আলির নেতৃত্বে ১৯৫৩ সালে গঠিত হয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন।

রাজ্যপুনর্গঠন কমিশনের সদস্য

তিন জন সদস্য নিয়ে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ ফজল আলি। অন্য দু’জন সদস্য ছিলেন কে. এম পানিক্কর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জরু।

রাজ্যপুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশ

এই কমিশন ১৯৫৫ সালে তার রিপোর্টে ভারতকে ১৬ টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সুপারিশ দেন।

উপসংহার:- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশগুলিকে কিছু পরিমার্জন করে ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাশ হয়। এই আইন অনুসারে ভারতকে ১৪ টি রাজ্য ও ৬ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment