তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে উত্তর ভারতের অবস্থা

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে উত্তর ভারতের অবস্থা প্রসঙ্গে শাহী বংশ, কাশ্মীর, কনৌজের প্রতিহার বংশ, গাহড়বাল বংশ, বাংলার পাল বংশ, সেন বংশ, চৌহান বংশ, পরস্পর যুদ্ধ বিগ্ৰহ, প্রাচীন সমর সংগঠন, বিচ্ছিন্নতা, জাতিভেদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বৈষম্য ও ধর্মীয় গোঁড়ামি সম্পর্কে জানব

Table of Contents

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে উত্তর ভারতের অবস্থা

ঐতিহাসিক ঘটনাতুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে উত্তর ভারতের অবস্থা
তুর্কী অভিযানদশম-একাদশ শতক
প্রতিহার বংশকনৌজ
পাল সাম্রাজ্যবাংলা
সেন বংশবাংলা
বাংলা অভিযানবখতিয়ার খলজি
তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে উত্তর ভারতের অবস্থা

ভূমিকা :- দশম শতকের শেষে ও একাদশ শতকের গোড়ায় ভারত-এ প্রথম তুর্কী আক্রমণ হয়। তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কালে উত্তর ভারতে কোন কেন্দ্রীয় শক্তি ছিল না। বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকটি স্থানীয় শক্তি দেশ শাসন করত।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে শাহী বংশ

হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে পাঞ্জাবের চেনাব নদ পর্যন্ত অঞ্চলে রাজপুত শাহী বংশ রাজত্ব করত। যেহেতু তুর্কীরা প্রথমে এই অঞ্চল দিয়ে ভারতে ঢুকে, সেহেতু শাহী রাজ্যকেই ভারতের দ্বার রক্ষার দায়িত্ব নিতে হয়। দশম শতকের শেষ দিকে শাহীরাজা জয়পাল এই অঞ্চল শাসন করতেন। তিনি সাহসী যোদ্ধা রূপে খ্যাতি পেয়েছিলেন।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে কাশ্মীর

এর পরেই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ছিল কাশ্মীর। কাশ্মীরের গৌরব তখন অস্তমিত। কার্কট ও উৎপল বংশের অধীনে কাশ্মীরের যে সাম্রাজ্য একদা বিস্তৃত ছিল, দশম শতকের শেষে তার কিছু অবশিষ্ট ছিল না। শঙ্কর বর্মণ ছিলেন কাশ্মীরের শেষ শ্রেষ্ঠ রাজা। তারপর ক্ষেমগুপ্ত সিংহাসনে বসলেও আসল ক্ষমতা অধিকার করেন তাঁর রাণী দিন্দা। দিদ্দা নিজেই সিংহাসন দখল করেন। এর ফলে কাশ্মীরে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে কনৌজের প্রতিহার বংশ

  • (১) উত্তর ভারতের অন্যতম প্রধান রাজ্য ছিল কনৌজ। পাল প্রতিহার দ্বন্দ্বের শেষে প্রতিহার শক্তিই স্থায়ীভাবে কনৌজ অধিকার করে। ভোজ প্রতিহারের আমলে প্রতিহার শক্তি বিশেষ ক্ষমতাশালী ছিল। কিন্তু ভোজের পর উপযুক্ত শাসকের অভাবে প্রতিহার শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • (২) দশম শতকের শেষদিকে কনৌজের সিংহাসনে ছিলেন রাজ্যপাল প্রতিহার। প্রতিহার সাম্রাজ্যের কিছু কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেই অংশগুলির ওপর চান্দেল্ল, পারমার, চালুক্য প্রভৃতি শক্তির উদ্ভব হয়। কনৌজের সিংহাসনে রাজ্যপাল প্রতিহার কোনরকমে টিকে থাকেন।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতের গাহড়বাল বংশ

  • (১) ১০৯০ খ্রিস্টাব্দে গাহড়বাল বংশীয় চন্দ্রদেব প্রতিহার শক্তিকে উচ্ছেদ করে কনৌজের সিংহাসন অধিকার করেন। চন্দ্রদেব কনৌজ, অযোধ্যা ও বারাণসী অঞ্চল শাসন করতেন। গোবিন্দচন্দ্র গাহড়বাল বিহার ও মধ্যভারত পর্যন্ত তার আধিপত্য বিস্তার করেন। তিনি লাহোরের গজনী সুলতানদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হন।
  • (২) দ্বাদশ শতকে গাহড়বাল রাজারা তুর্কী আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য ‘তুরস্ক দণ্ড’ নামে এক অতিরিক্ত কর সংগ্রহ করে সেনাদল গড়েন। গাহড়বাল বংশ-এর শেষ রাজা ছিলেন জয়চন্দ্র গাহড়বাল। তিনি তুর্কী বিজয়ী মহম্মদ ঘুরীর হাতে পরাজিত ও নিহত হন।

ভরতে তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে বাংলার পাল বংশ

  • (১) পূর্ব ভারতে বাংলার পাল রাজাদের শক্তি ক্ষয় পায়। পালরাজা মহীপালের আমলে দক্ষিণ ভারতের অধিপতি রাজেন্দ্র চোল বাংলা অভিযান করেন। মহীপাল চোল আক্রমণের সময় আত্মরক্ষা ও সামন্তদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই ব্যস্ত থাকেন।
  • (২) তুর্কী আক্রমণের বিরুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা ছিল না। ক্ষীয়মান পাল শক্তি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত হতে সুদূর পূর্ব ভারতের নিরাপদ দূরত্বে বসে আশা করে যে, তুর্কী আক্রমণের ঢেউ বাংলা পর্যন্ত আসবে না।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে বাংলার সেন বংশ

বাংলায় পাল বংশের পরে সেন বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন। এই বংশের রাজা বল্লাল সেন পাল শক্তিকে বিধ্বস্ত করে গৌড় দেশ দখল করেন। ক্রমে বিহার ও পূর্ব বাংলা পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বিস্তৃত হয়। বল্লাল সেনের পর লক্ষ্মণ সেন-এর আমলে বক্তিয়ার খলজির নেতৃত্বে বাংলায় তুর্কী আক্রমণ ঘটে (১২০৫ খ্রি)। বক্তিয়ার খলজি উত্তর ও পশ্চিম বাংলা দখল করেন।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতের চৌহান বংশ

  • (১) তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কালে উত্তর ভারতের সর্বপ্রধান রাজপুত শক্তি ছিল দিল্লী আজমের ও পূর্ব পাঞ্জাবের চৌহান বংশ। চৌহান বা চহমান রাজবংশের প্রথম উল্লেখযোগ্য শাসক ছিলেন অজয় রাজা। তাঁর নাম অনুযায়ী স্থাপিত নগরের নাম হয় অজয় মেরু বা আজমের।
  • (২) এই বংশের চতুর্থ বিগ্রহ রাজা (১১৫৩-৬৩ খ্রি) শতদ্রু থেকে যমুনা পর্যন্ত অঞ্চল জয় করেন। তিনি তোমার রাজপুতদের হাত থেকে দিল্লী দখল করেন। শাহী বংশের পতনের ফলে তুর্কী আক্রমণ থেকে ভারতের রক্ষার প্রধান দায়িত্ব চৌহান রাজাদের ওপর বর্তায়। কারণ পাঞ্জাব-দিল্লীর পথে ভারতে ঢোকার প্রধান প্রবেশ পথ চৌহানদের দখলে ছিল। মুইজুদ্দিন মুহাম্মদ ঘুরীর বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিরোধের দায়িত্ব তৃতীয় পৃথ্বিরাজ চৌহান বহন করেন।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতের চোল, চালুক্য বংশ

দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে এই সময় চোল ও চালুক্য এবং গুজরাটে চালুক্য রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। এছাড়া ছিল মধ্যভারতের চান্দেল্ল রাজবংশ। এই বংশের রাজা পরমার্দ্দিকে তুর্কী সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক পরাস্ত করেন। কলচুরি বংশ মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর অঞ্চলে শাসন করত। মালব বা উজ্জয়িনী অঞ্চলে পারমার রাজবংশ শাসন করত। ১২৩৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লী সুলতান উজ্জয়িনী জয় করেন।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে পরস্পর যুদ্ধবিগ্ৰহ

এই রাজ্যগুলির কোনো সর্বভারতীয় চেতনা ছিল না। প্রতি রাজ্যের রাজা নিজ অঞ্চলের স্বার্থকেই বড় করে দেখতেন। বৈদেশিক আক্রমণের বিরুদ্ধে জোট বাঁধার কোনো চেষ্টা তাদের মধ্যে ছিল না। কেন্দ্রীয় শক্তি না থাকায়, স্থানীয় শক্তিগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহে মত্ত হয়। সমগ্র দেশের কথা তারা চিন্তা করত না।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতের প্রাচীন সমর সংগঠন

  • (১) ভারতীয় রাজারা তাদের প্রাচীন ধরনের সমর সংগঠন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। তারা যুদ্ধে হাতির ব্যবহারের ওপর বেশী জোর নিতেন। ইতিমধ্যে মধ্য এশিয়ায় ও পশ্চিম এশিয়ায় বল্লমধারী অশ্বারোহী বাহিনীর দ্বারা আক্রমণাত্মক যুদ্ধের যে নতুন কৌশল দেখা দেয়, সে সম্পর্কে ভারতীয় রাজাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না।
  • (২) তারা এত গোঁড়া ছিলেন যে, তারা নিজেদের প্রথাকে জগতের শ্রেষ্ঠ প্রথা মনে করত। বিশ্বের অপর সকল জাতি ও তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে হেয় জ্ঞান করতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে পদাতিক সেনা, তরবারির ব্যবহার, আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ কৌশল নিয়ে তারা গঠিত ছিল।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতের সমাজে বিচ্ছিন্নতা

সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যে সংহতি ছিল না। ভারতীয়দের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বদেশের প্রতি অনুরাগ বিশেষ ছিল না। তার কারণ হল যে, ভারতে কোনো কেন্দ্রীয় শাসন না থাকায় প্রতি অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতার ও আঞ্চলিকতার ভাব বড় হয়। প্রতি অঞ্চল নিজেকে অন্য অঞ্চল থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করত। সাহিত্যিকরাও এই সাকীর্ণতা হতে মুক্ত ছিলেন না।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ধনবন্টনের অভাব

সমাজে ধনবণ্টন ছিল না। শাসক শ্রেণী অর্থাৎ উচ্চবর্গের লোকের হাতে জমি ও সম্পদ জমা হয়। বণিকরাও ধনবান ছিল।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতের দরিদ্র শ্রেণির হতাশা

সমাজের খেটে খাওয়া লোকেরা ছিল অবহেলিত ও নির্যাতিত। সামাজিক ন্যায়-বিচার না থাকায় সাধারণ লোকে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

অলবিরুণীর মন্তব্য

অলবিরুণি মন্তব্য করেছেন যে, “হিন্দুদের কোনো ব্যবস্থা যদি দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ত তাকে সংস্কার করে তার পুনর্জীবন দানের কোনো আগ্রহ দেখা যেত না।”

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে জাতিভেদ প্রথার তীব্রতা

সমাজে জাতিভেদ প্রথা তীব্র ছিল। নিম্নবর্ণের লোকেরা ছিল পতিত ও অস্পৃশ্য। চণ্ডাল প্রভৃতিরা গ্রামের বাইরে বসবাস করত। ধর্ম শাস্ত্র পাঠে একমাত্র ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের অধিকার ছিল। বৈশ্যরাও ধর্মশাস্ত্র পড়তে পারত না। অলবিরুণীর মতে, যদি কোনো নিম্নবর্ণের লোক ধর্মশাস্ত্র পড়ার চেষ্টা করত তবে তার জিহ্বা কেটে ফেলা হত।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে কুসংস্কার

  • (১) নারীরা ছিল খুবই অবহেলিত। বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ ও সতী প্রথা বিশেষভাবে চলত। কৌলীন্য প্রথা বাংলায় প্রবর্তিত ছিল। মন্দিরগুলি ছিল ধনরত্নে পূর্ণ। বহু শতক ধরে এই সম্পদ মন্দিরে জমা হয়েছিল। কিন্তু মন্দিরগুলি থেকে কোনো সেবামূলক কাজ করা হত না।
  • (২) বহু মন্দিরের অধীনে দানপ্রাপ্ত বিরাট ভূমিখণ্ড ছিল। এই ভূমি থেকে মন্দিরের আয় হত। সমাজে প্রজাদের তেমন কোনো সম্মান ছিল না। তন্ত্রধর্মের প্রভাবে বৌদ্ধদের জনপ্রিয়তা কমে যায়।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে অর্থনৈতিক বৈষম্য

অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারতে সম্পদ ও দারিদ্র্য দুটিই পাশাপাশি ছিল। ভারতের উর্বরা জমি, শিল্প ও বাণিজ্য থেকে সমাজের উচ্চ শ্রেণী ও বণিকরা বহু বছর ধরে সম্পদ আহরণ করে জমা করে।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে সামাজিক বৈষম্য

অভিজাত ও বণিকরা বিলাস-ব্যসনে দিন কাটাত। মন্দিরগুলিও সোনা ও অর্থে পূর্ণ ছিল। কিন্তু সাধারণ কৃষক, কারিগর শ্রেণী ছিল অবহেলিত। তারা কোনরকমে কায়ক্লেশে দিন চালাত। ভারতের সম্পদের কথা বিদেশী পর্যটকেরা বারে বারে বলেছেন। এই সম্পদের লোভে বিদেশী আক্রমণকারীরা ভারতের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।

তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে ভরতে ধর্মীয় গোঁড়ামি

ধর্মীয় ক্ষেত্রে দশম ও একাদশ শতকে খুবই অবনয়ন ঘটেছিল। হিন্দু ধর্মে প্রচণ্ড গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দেখা দিলে, এই ধর্মের প্রাণশক্তি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দেবদাসী প্রথা, তন্ত্রধর্ম, পঞ্চ “ম” কারের সাধনা প্রভৃতি স্খলন ধর্মের অঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও এই স্খলন হতে মুক্ত ছিলেন না। হিন্দু সমাজে সহজিয়া কাপালিক ও তান্ত্রিকরা অত্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে। লোকে পুরুষাকার হারিয়ে অদৃষ্টবাদী হয়ে পড়ে।

উপসংহার :- জনগন অদৃষ্টবাদী হয়ে পড়লে জ্যোতিষের জনপ্রিয়তা বাড়ে। লোকে সকল কাজে জ্যোতিষের সঙ্গে পরামর্শ করত। ধর্মের নামে ব্যাভিচার চলবার ফলে জনগণের নৈতিক জীবনের মান দ্রুত নেমে যায়।

(FAQ) তুর্কী আক্রমণের প্রাক্কাল্যে উত্তর ভারতের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ভারতে প্রথম তুর্কী আক্রমণ হয় কখন?

দশম-একাদশ শতকে।

২. কাশ্মীরের শেষ শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন?

শঙ্করবর্মন।

৩. কোন রাজার সময় বাংলায় তুর্কী আক্রমণ ঘটে?

লক্ষ্মণ সেন।

৪. কোন তুর্কী সেনাপতি বাংলা অভিযান করেন?

ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি।

Leave a Comment