ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়-সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফল কী হয়েছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফল

প্রশ্ন:- ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফল কী হয়েছিল?

ভূমিকা :- অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত বাংলা তথা ভারতে পশ্চাৎপদ দেশীয় শিক্ষা প্রচলিত ছিল। উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে ইংরেজি ও আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফলাফল ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

দুর্বলতা উপলদ্ধি

পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ভারতীয়রা নিজেদের প্রচলিত সমাজ ও সভ্যতার দুর্বলতা ও ত্রুটিবিচ্যুতি গুলি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় এবং এই দুর্বলতা দূর করতে তৎপর হয়ে ওঠে।

কুসংস্কারের অবসান

ইংরেজি ও পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে ভারতীয় সমাজে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রবেশ ঘটে। এর ফলে ভারতীয় সমাজের বহু কুসংস্কার দূর হতে থাকে।

আধুনিক ভাবধারার প্রসার

পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যমে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা, মানবতাবাদ প্রভৃতি ইউরোপেরআধুনিক ভাবধারা বা আদর্শগুলি ভারতীয়দের মনে প্রবেশ করে। এই আদর্শগুলি ভারতীয়দের মধ্যে শীঘ্রই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

জাতীয় ঐক্যের সূচনা

ভারতে ইংরেজি ভাষার প্রসারের ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান দূর হয়। ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান শুরু হয়। এভাবে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে।

সংস্কার আন্দোলনের সূচনা

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সমাজ, শিক্ষা, ধর্ম প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। সাহিত্য, শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রেও অগ্রগতি ঘটতে থাকে।

রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে ভারতবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তারা ধীরে ধীরে নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে এবং তা আদায়ের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়।

উপসংহার:- আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতীয় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটায়। ব্রিটিশ শাসনকালে এই আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের শিক্ষাই ভারতীয়দের মধ্যে পশ্চাৎপদতা দূর করে নবযুগের সূচনা ঘটায়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

২.১. উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্যে সমাজের প্রতিফলন

(২.১.ক.) বামাবোধিনী

(২.১.খ.) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

(২.১.গ.) হুতোম প্যাঁচার নকশা

(২.১.ঘ.) নীলদর্পণ

(২.১.ঙ.) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উপরিউক্ত আলোচনার নিরিখে এই প্রসঙ্গগুলির বিশেষ আলোচনা করতে হবে (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

২.২. উনিশ শতকের বাংলা শিক্ষাসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.২.ক.) প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব

(২.২.খ.) ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

(২.২.গ.) নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(২.২.ঘ.) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ

(২.২.ঙ.) রাজা রামমোহন রায়

(২.২.চ.) রাজা রাধাকান্ত দেব

(২.২.ছ.) ডেভিড হেয়ার

(২.২.জ.) জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বীটন বা বেথুন

(২.২.ঝ.) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

(২.২.ঞ.) চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ

(২.২.ট.) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

টুকরো কথা: মধুসূদন গুপ্ত

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৩. উনিশ শতকের বাংলা-সমাজসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৩.ক.) ব্রাহ্মসমাজসমূহের উদ্দোগ

(২.৩.খ.) সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন

(২.৩.গ.) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী

(২.৩.ঘ.) বিধবাবিবাহ আন্দোলন

টুকরো কথা: হাজি মহম্মদ মহসীন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৪. উনিশ শতকের বাংলা-ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.ক.) ব্রাহ্ম আন্দোলন-বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.খ.) রামকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয়’-এর আদর্শ

(২.৪.গ.) স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ

(২.৪.ঘ.) নব্য বেদান্ত-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা: 

লালন ফকির
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৫. “বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র ও পর্যালোচনা,

উনিশ শতকের বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment