দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সঙ্গে বাংলার বিভাজনে পশ্চিমবঙ্গে কীরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল তা আলোচনা করা হল।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সঙ্গে বাংলার বিভাজনে পশ্চিমবঙ্গে কীরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল
প্রশ্ন:- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সঙ্গে বাংলার বিভাজনে পশ্চিমবঙ্গে কীরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল?
ভূমিকা :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলার এই বিভাজনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
উদ্বাস্তু সমস্যা
পূর্ববঙ্গের লক্ষ লক্ষ হিন্দু উদ্বাস্তু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় গ্রহণ করে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। তাদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়।
শিল্প-কাঁচামালের সংকট
বাংলা বিভাজনের ফলে বাংলার অধিকাংশ শিল্পকারখানা পশ্চিমবঙ্গের ভাগে পড়লেও শিল্পের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাঁচামাল উৎপাদক কৃষিজমিগুলি পূর্ববঙ্গের ভাগে পড়ে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পকারখানাগুলি কাঁচামালের অভাবে ধুঁকতে থাকে।
বেকারত্ব
একদিকে কাঁচামালের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পকারখানাগুলি বন্ধ হয়, অন্যদিকে উদ্বাস্তু আগমনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রাজ্যে বেকারত্ব যথেষ্ট বেড়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের দেশত্যাগ
বাংলা বিভাজনের ফলে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন সংস্কৃতিবান হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে এলে তাঁদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পসংস্কৃতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে। আবার পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রতিভাবান মুসলিম পূর্ববঙ্গে চলে গিয়ে সেখানকার সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ঘটাতে সক্ষম হন।
উপসংহার :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা বিভক্ত হয়ে হিন্দু-অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গের সৃষ্টি হলেও পূর্ববঙ্গে বিপুল সংখ্যক হিন্দু থেকে যায়। পরবর্তী প্রায় তিন দশক ধরে তারা স্রোতের মতো পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিলে এই রাজ্যে জনবিস্ফোরণ ঘটে যায়।
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)
৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক
(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভূমিকা কি ছিল?
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা ছিল?
- স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
- দেশীয় রাজ্য জুনাগড় কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
- ভারতের স্বাধীন দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের কী মনোভাব ছিল?
- ভারতে যোগদানের আগে দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল?
- ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়? অথবা,দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারতের উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল?
- ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
- ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়?
- ভারত কবে স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়? এই সময় ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
- স্বাধীন ভারত সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে?
- ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলি কীভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়?
- ভারতীয় ফরাসি ও পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলির ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করো।
- ভারত সরকার কীভাবে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ইউনিয়নে সংযুক্ত করার প্রশ্নটি সমাধান করেছিল?
টুকরো কথা
কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি
- হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়?
- ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর হায়দ্রাবাদ রাজ্যের পরিচয় দাও।
- ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি উল্লেখ করো।
- ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর হায়দ্রাবাদ সম্পর্কে ভারত সরকার ও হায়দ্রাবাদের নিজামের মধ্যে কী ধরনে নীতিগত সম্পর্ক দেখা যায়?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)
৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক
(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
- টীকা লেখো: দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
- উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ? এই সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির কি ভূমিকা ছিল?
- উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়?
- স্বাধীন ভারত সরকার উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের কী ধরনের উদ্যোগ নেয়?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পরবর্তীকালে ভারতে উদ্বাস্তু আগমন সম্পর্কে আলোচনা করো।
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাজনের দিকে যাত্রার কয়েকটি পদক্ষেপ উল্লেখ কর।
- আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
- বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরো।
- এপার বাংলার চলচ্চিত্রে কীভাবে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণা ফুটে উঠেছে?
- একটি বাংলা উপন্যাস বা আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা থেকে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণার চিত্র তুলে ধরো।
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)
৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক
- স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল?
- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
- স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল?
- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিল?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগ ভারতে কী ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল?
(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)
টুকরো কথা
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)
সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)