২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

বি. এ. জেনারেল (1st Semister) ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: প্রস্তর ও তাম্র-প্রস্তর যুগ থেকে ২ নাম্বারের প্রশ্ন উত্তর

বি. এ. জেনারেল (1st Semister) ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: প্রস্তর ও তাম্র-প্রস্তর যুগ থেকে ২ নাম্বারের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল।

বি. এ. জেনারেল (1st Semister) ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: প্রস্তর ও তাম্র-প্রস্তর যুগ থেকে ২ নাম্বারের প্রশ্ন উত্তর

১। প্রস্তর যুগ বলতে কি বোঝ?

উত্তর:- বৈজ্ঞানিক বিচারে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে বিবর্তনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। মানবজাতির বিবর্তনের নানা পর্বকে নৃতাত্ত্বিকরা পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্যের বিচারে ভাগ করেছেন। প্রায় বানর জাতীয় পর্যায় থেকে তাদের প্রায় সত্য মানুষের পর্যায়ে উত্তরণের সময়টিকে ‘প্রস্তর যুগ’ নামে অভিহিত করা হয়। এই পর্বে মানুষ মূলত টুকরো পাথর বা পাথর দিয়ে তৈরী করা হাতিয়ার ব্যবহার করতে শিখেছিল। তাই বিবর্তনের এই পর্যায়টিকে ‘প্রস্তর যুগ’ বা ‘প্রস্তর-সংস্কৃতি’ নামে অভিহিত করা হয়।

২। প্রস্তর যুগকে কয়ভাগে বিভক্ত করা হয়?

উত্তর:- প্রস্তর যুগকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা – (১) প্রাচীন (পুরা) প্রস্তর যুগ, (২) মধ্য প্রস্তর যুগ, (৩) নব্য প্রস্তর যুগ।

৩। প্রস্তর যুগকে কিসের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে।

উত্তর:- প্রস্তর যুগে মানুষের জীবন ধারা জানার কোনো লিখিত উপাদান নেই। মুদ্রা বা লিপির অস্তিত্বও ছিল না। তাই প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রস্তর যুগের মানুষের হাতিয়ারের ধরন ও জীবনযাপন পদ্ধতির যুগ্ম পরিবর্তনের নিরিখে সেই সময়ের সভ্যতাকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন।

৪। প্রাচীন প্রস্তর যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তর:- আদিম মানুষের ব্যবহৃত হাতিয়ারের ধরন, গঠন ও বিবর্তনের ভিত্তিতে প্রাচীন প্রস্তর যুগকে তিনটি সুক্ষ্মস্তরে ভাগ করা হয়েছে। যথা – (১) নিম্ন-প্রাচীন প্রস্তর (২) মধ্য-প্রাচীন প্রস্তর (৩) উচ্চ-প্রাচীন প্রস্তর যুগ।

৫। প্রাগৈতিহাসিক যুগ কাকে বলে?

উত্তর:- সভ্যতার বিকাশের একেবারে আদিমপর্বের কোনো লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় না। প্রস্তর যুগ থেকে হরপ্পা সংস্কৃতির সূচনা পর্যন্ত সময়ের কোনো লিখিত বিবরণ নেই। এই সময়টিকে ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগ’ বলা হয়।

৬। কোন সময়কে প্রায় ঐতিহাসিক যুগ’ বলা হয়?

উত্তর:- মানব সভ্যতার বিকাশের যে পর্বের লিখিত উপাদান নেই, কিন্তু লিপির আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে অথচ তার পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি, সেই পর্বকে প্রায় ঐতিহাসিক’ যুগ বলা হয়। ভারতবর্ষে হরপ্পা সভ্যতার আমল প্রায় ঐতিহাসিক যুগ বলেই চিহ্নিত হয়।

৭। ঐতিহাসিক যুগ কোন পর্যায়কে বলা হয়?

উত্তর:- নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের প্রধান ভিত্তি হল নির্ভরযোগ্য তথ্য বা উপাদান। মানবসভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনের বিষয়ে যে সময়ের লিখিত তথ্য বা প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য পায়া যায়, সেই সময়কে ঐতিহাসিক যুগ বলে মনে করা হয়। ভারতবর্ষে খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতকের গোড়া থেকে ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

৮। ক্ষুদ্রাস্মীয় আয়ুধ (microlith) কী?

উত্তর:- মধ্যপ্রস্তর যুগের মানুষ ১-৩ সেন্টিমিটার লম্বা সুক্ষ্ম দানা পাথরের হাতিয়ার (আয়ুধ) ব্যবহার করত। এই সব ক্ষুদ্র হাতিয়ার মাইক্রোলিথ বা ক্ষুদ্রাস্মীয় আয়ুধ নামে অভিহিত হয়। এই হাতিয়ার গুলি ছিল গোলাকার, আয়তাকার ও ছুঁচালো। হাত কুঠার, চাঁচনি, বাটালি, তুরপুন ইত্যাদি হাতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

৯। ভীমবেটকা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর:- মধ্যপ্রদেশের ভূপালের কাছে ভীমবেটকাতে মধ্য প্রস্তর যুগের চিত্রকলা চর্চার ইঙ্গিত আবিষ্কৃত হয়েছে। গুহার দেওয়ালের পাত্রে জ্যামিতিক চিহ্ন দ্বারা অঙ্কিত পশু, শিকারী, শিশু ইত্যাদির চিত্র পাওয়া গেছে। রং-এর ব্যবহার এগুলিকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। আদিম মানুষ যে চিত্রাঙ্কন চর্চা করত ভীমবেটকার আবিষ্কার তা প্রমাণ করে।

১০। ‘নব্যপ্রস্তর বিপ্লব’ কী?

উত্তর:- আদিম মানব সমাজের ক্রম বিকাশের ধারায় প্রাচীন ও মধ্য প্রস্তর যুগের তুলনায় নব্য-প্রস্তর যুগে কিছু অভূতপূর্ব উন্নতি দেখা যায়। কৃষি উৎপাদন, উদ্বৃত্ত উৎপাদন, স্থায়ী গ্রাম-সমাজের প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি মানুষের আয়ত্তাধীন হয়। এই ব্যাপক পরিবর্তনকে গর্ডন চাইল্ড ‘নব্যপ্রস্তর যুগের বিপ্লব’ নামে অভিহিত করেছেন।

১১। প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাসের উপাদানগুলি মূলত কী ধরনের? হোমো ইরেক্টাস কথার অর্থ কি?

উত্তর:- প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান।

দণ্ডায়মান মানুষ

১২। আদি মানবগোষ্ঠী কী নামে পরিচিত? এর অর্থ কি?

উত্তর:- হোমো হাবিলিস।

দক্ষ মানুষ

১৩। হোমো সেপিয়েন্স কথাটি কোন্ শব্দ থেকে এসেছে? এর অর্থ কি?

উত্তর:- গ্রিক শব্দ থেকে হোমো সেপিয়েন্স কথাটি উদ্ভূত।

বুদ্ধিমান মানুষ

১৪। ভারতীয় উপমহাদেশে আবিষ্কৃত মানুষের ব্যবহৃত প্রাচীনতম পাথরের হাতিয়ারগুলি কোথায় কোথায় পাওয়া গেছে?

উত্তর:- কাশ্মীর এলাকা ও সোয়ান উপত্যকায়।

১৫। ভারতে পুরাপ্রস্তর যুগের সূচনা কবে হয়েছিল? নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে?

উত্তর:- আনুমানিক ২ লক্ষ ৬০ হাজার বছর পূর্বে।

দক্ষিণ ভারতের গোদাবরী নদীর উপত্যাকায় নেভাসা এবং কৃষ্ণা নদীর উপত্যকায় ইয়েদুর ওয়াড়ি প্রস্তর ক্ষেত্র।

১৬। মানুষের আদিতম বাসস্থান কোথায় ছিল? তাদের প্রথম হাতিয়ার কি ছিল?

উত্তর:- মানুষের আদিতম বাসস্থান ছিল আফ্রিকায়।

পাথরের হাতকুঠার

১৭। নব্য প্রস্তর যুগের বিপ্লব কথাটি কে ব্যবহার করেন? অনেকে বিপ্লব কথার পরিবর্তে কি পরিভাষা ব্যবহার করেছেন?

উত্তর:- পুরাতত্ত্ববিদ গর্ডন চাইল্ড

বিবর্তন

১৮। তাম্র-প্রস্তর যুগ বলতে কি বোঝ?

উত্তর:- ভারতের ক্ষেত্রে নব্য প্রস্তর যুগে পাথরের উপকরণের সঙ্গে ধাতুর ব্যবহার শুরু হয়। যে ধাতুর ব্যবহার মানুষ প্রথম শুরু করেছিল সেটি হল তামা। এই সময় তামার পাশাপাশি পাথরের প্রচলনও ছিল। এই কারণে পুরাবিদ রেমন্ড অলচিন ও ব্রিজেস অলচিন আলোচ্য সময়কে তাম্র প্রস্তর যুগ বা সংস্কৃতি নামে চিহ্নিত করেছেন।

১৯। ভারতে তাম্র-প্রস্তর যুগের প্রথম নিদর্শন কোথায় পাওয়া যায়? এই নিদর্শন কে আবিষ্কার করেন?

উত্তর:- বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত মেহেরগড় অঞ্চলে।

ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্রাঁসোয়া জারিজ

২০. কে কোন গ্ৰন্থে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন?

উত্তর:- চার্লস ডারউইন

‘অরিজিন অফ স্পিসিস’ (Origin of Species)

Leave a Comment