পদ্মাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। পদ্মাসন করার পদ্ধতি, পদ্মাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
পদ্মাসন
আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন পদ্মাসন করার পদ্ধতি ও পদ্মাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।
পদ্মাসন করার পদ্ধতি
- ১. দু’পা সামনে সোজা মেলে দিয়ে বসুন।
- ২. ডান পা হাঁটু ভেঙ্গে বাঁ উরুর উপর আনুন।
- ৩. অনুরূপভাবে বাঁ পা ডান উরুর উপরে এনে দু’হাত ছবির মত সোজাভাবে হাঁটুর কাছে রাখুন।
এই অবস্থায় দু’হাঁটু মাটিতে ঠেকে থাকবে। মেরুদণ্ড সোজা রেখে বেশ সহজভাবে সামনের দিকে তাকান। চোখ বন্ধ। রেখেও করা যেতে পারে। শ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। ১ মিনিট থেকে পা বদলে (আগে বাঁ পা, তার ওপর ডান পা টেনে) করুন। এভাবে মোট ৪ বার করুন।
পদ্মাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা
- ১. পদ্মাসন নিয়মিত অভ্যাসে মানসিক একাগ্রতা, ধৈর্য, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
- ২. স্নায়বিক উত্তেজনা (Nervous tension) প্রশমিত হয় ও দৈহিক ক্লান্তি দূর হয়।
- ৩. হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস কিছুটা বিশ্রাম পায়।
- ৪. নিয়মিত পদ্মাসন অভ্যাস দীর্ঘজীবন লাভের সহায়ক।
- ৫. মেরুদণ্ড সরল হয়, কুঁজোভাব দূর হয়।
- ৬. হাঁটু, পায়ের ও পাসন্ধির (ankle joint) স্নায়ু-পেশী সবল করে, বাত ভাল হয়।
- ৭. যেসব কাজে অধিক মনঃসংযোগ প্রয়োজন, গুরুর আগে কিছুক্ষণ পদ্মাসন অভ্যাস করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
(FAQ) পদ্মাসন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
যে যোগাসনে পা দুটিকে একটির ওপর অপরটিকে স্থাপন করার ফলে পায়ের অবস্থান পদ্মের পাঁপড়ির মত দেখায়, সেই আসনকেই পদ্মাসন বলে।
পদ্মাসন নয় প্রকার। যথা- (ক) মুক্ত পদ্মাসন, (খ) বীরাসন, (গ) উত্থিত পদ্মাসন, (ঘ) বকাসন, (ঙ) বদ্ধ পদ্মাসন, (চ) কুক্কুটাসন, (ছ) অর্থবদ্ধ পদ্মাসন, (জ) সিদ্ধাসন ও (ঝ) পর্বতাসন।
ধ্যান-ধারণা অভ্যাসে পদ্মাসন অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। পদ্মাসন অভ্যাসে মনের একাগ্রতা
বাড়ে ও দীর্ঘজীবন লাভ করা যায়।