চাণক্য শ্লোকগুলি জানার পূর্বে চাণক্যের জন্ম, চাণক্যের পিতামাতা, চাণক্যের জন্মস্থান, চাণক্যের অন্যনাম, চাণক্যের উল্লেখযোগ্য কর্ম প্রভৃতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
চাণক্য শ্লোক বা নীতি
প্রথমেই একটি ছকের সাহায্যে চাণক্যের সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি। তারপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নাম | চাণক্য |
জন্ম | খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০ অব্দ |
জন্মস্থান | তক্ষশীলা |
পিতা | ঋষি কনক |
মাতা | চানেশ্বরী |
অন্য নাম | কৌটিল্য, বিষ্ণুগুপ্ত |
পেশা | চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য -এর উপদেষ্টা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | অর্থশাস্ত্র, চাণক্য নীতি রচনা |
মৃত্যু | খ্রিস্টপূর্ব ২৮৩ অব্দ |
পাঞ্জাব রাজ্যের অন্তর্গত তক্ষশীলা নামক একটি স্থানে মহামতি চাণক্য পণ্ডিতের জন্ম হয়। মহামতি চাণক ঋষির ঔরসে চাণক্য সঞ্জাত হওয়ায়, খুব সম্ভবতঃ তাঁর নাম চাণক্য রাখা হয়।
তিনি শুধু নীতিশাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতই ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ কূটনীতিজ্ঞ, তাই তিনি ‘কৌটিল্য’ নামেও বিশেষ পরিচিত।
চাণক্যের রচিত অর্থশান্ত, নীতিশাস্ত্র, লঘু চাণক্য, বৃদ্ধ চাণক্য ও বোধি চাণক্য প্রভৃতি গ্রন্থ জ্ঞানভান্ডারের রত্নরাজি বিশেষ। বিষ্ণু সিদ্ধান্ত নামে চাণক্য একখানি জ্যোতিষ গ্রন্থও রচনা করেন । তৎকালে মগধের সিংহাসনে মহারাজ নন্দ অধিষ্ঠিত ছিলেন। মহারাজ নন্দের পিতা মহাপদ্ম। মুরা নামে মহারাজ মহাপদ্মের এক দাসী ছিল।
মুরার গর্ভে মহারাজ মহাপক্ষের ঔরসে চন্দ্রগুপ্তের জন্ম হয়। মহারাজ মহাপদ্মের মৃত্যুর পর, মহারাজ নন্দ মগধের সিংহাসনে আরোহণ করেন ও চন্দ্রগুপ্তকে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করেন। নন্দ কর্তৃক অপমানিত ও লাঞ্ছিত চাণক্য চন্দ্রগুপ্তের সহযোগিতায় নন্দ বংশকে ধ্বংস করেছিলেন।
চন্দ্রগুপ্তের অভূতপূর্ব সাফল্যের পশ্চাতে যদি কেহ কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন তিনি একমাত্র পণ্ডিত চাণক্য পণ্ডিত চাণক্যের মন্ত্রণাগুণেই মৌর্যবংশের প্রতিষ্ঠা সম্ভব ছিল এবং তাঁর সুমন্ত্রণায় চন্দ্রগুপ্ত প্রাচীন ভারতের একচ্ছত্র সম্রাট হয়েছিলেন।
চাণক্য শ্লোকগুলি দেখার জন্য নিচে চাণক্য শ্লোক বা নীতিতে ক্লিক করুণ
(FAQ) চাণক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
একজন প্রাচীন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজ-উপদেষ্টা এবং অর্থশাস্ত্র নামক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন।
চাণক্যের পিতার নাম ঋষি কনক।
চাণক্যের মাতার নাম চানেশ্বরী।
চাণক্যের শিক্ষায়তনের নাম তক্ষশীলা।
চাণক্যের অন্য নাম বিষ্ণুগুপ্ত ও কৌটিল্য।
চাণক্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত ও তাঁর পুত্র বিন্দুসার উভয়েরই প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
ধননন্দ চাণক্যকে তাঁর কুৎসিত চেহারার জন্য অপমান করেছিলেন।