২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

মুদ্রণ বিপ্লব: ছাপাখানার আবিষ্কার

মুদ্রণ বিপ্লব প্রসঙ্গে রাইসের মন্তব্য, ছাপাখানার আবিষ্কার, মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ছাপার কাজে উল্লেখযোগ্য দুই ব্যক্তি, মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ব্লক প্রিন্টিং, মুদ্রণ বিপ্লবের প্রথম সোপান, মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার, কালীর ব্যবহার, মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ধাতব অক্ষরের আবিষ্কার, মেইনজ শহরের অবদান, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য, আবিষ্কারের ক্ষেত্রে মূদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য ও মুদ্রণ বিপ্লবের প্রভাব বিষয়ে মতামত সম্পর্কে জানবো।

ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লব প্রসঙ্গে নবজাগরণের প্রধানতম স্থায়ী দিক মুদ্রণ বিপ্লব, ছাপাখানার আবিষ্কার, মুদ্রণ বিপ্লবের প্রথম সোপান, মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ব্লক প্রিন্টিং, মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার, কালীর ব্যবহার, মুদ্রণ বিপ্লবে মেইনজ শহরের অবদান, মূদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য ও মুদ্রণ বিপ্লবের প্রভাব সম্পর্কে জানব।

Table of Contents

মুদ্রণ বিপ্লব

ঐতিহাসিক ঘটনামুদ্রণ বিপ্লব
মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারজোহানেস গুটেনবার্গ
মুদ্রণ যন্ত্রের স্থাপনমেইনজ শহর
পার্চমেন্টপশুর পাতলা চামড়া
কাগজের ব্যবহারচীন
মুদ্রণ বিপ্লব

ভূমিকা :- রেনেসাঁসের যুগে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার। সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার এক অভূতপূর্ব ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। এর ফলে ইউরোপ-এ মুদ্রণ বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল।

মুদ্রণ বিপ্লব সম্পর্কে রাইসের মন্তব্য

এগুয়েনে রাইস মুদ্রণ বিপ্লব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে উল্লেখ করেন ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ইউরোপ মুদ্রণ শিল্পের মাধ্যমে তার চিন্তাধারাকে নানা জায়গায় রপ্তানি করেছিল।

মুদ্রম বিপ্লবের ক্ষেত্রে ছাপাখানার আবিষ্কার

ছাপাখানার আবিষ্কর্তা হিসেবে যে ব্যক্তির নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় তিনি হলেন জার্মানির মেইনজ শহরের অধিবাসী জোহানেস গুটেনবার্গ। ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ ধাতব টাইপের দ্বারা ছাপার কাজকে তিনি যথাযথ রূপ দিয়েছিলেন।

মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ছাপার কাজে উল্লেখযোগ্য দুই ব্যক্তি

রাইস বলেন যে ছাপার কাজে আরও যে দুজন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জোহানন ফার্স্ট এবং পিটার অফার।

মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ব্লক প্রিন্টিং

রাইসের মতে অষ্টম শতাব্দীতে ব্লক প্রিন্টিং এর কাজ শুরু হয়েছিল। এই ব্লক ছিল কাঠের ব্লক। কাঠের উপর উল্টো করে ছবি এঁকে তারপর চিনের কালিতে ডুবিয়ে প্রিন্ট তৈরি করা হত। চীন থেকে ইউরোপে এই প্রক্রিয়া আসে।

মুদ্রণ বিপ্লবের প্রথম সোপান

ইউরোপে অতঃপর এই অক্ষরের ব্লক তৈরীর কাজ শুরু হয়। রাইসের মতে অক্ষরের ব্লক তৈরি ছিল মুদ্রণ বিপ্লবের প্রথম সোপান। অক্ষরের ব্লক তৈরী করে একেবারে প্রথমদিকে কাগজের বদলে চামড়ার উপর ছাপ মারা হত। এগুলি ছিল পশুর চামড়া। এই ব্যবস্থা বেশিদিন চলেনি।

মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে কাগজের প্রচলন

ইতিমধ্যে কাগজ প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়। চীন কাগজের ব্যবহার শুরু করে। এই কারিগরি জ্ঞান চীন থেকে আরব ঘুরে ইউরোপে কাগজের ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তী দুশো বছর ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডে কাগজের ব্যবহার শুরু হয়। ইউরোপে পুরনো ধাঁচের কাগজকল এই সময় তৈরি হয়। পার্চমেন্টের বদলে কাগজ দিয়ে ছাপার কাজ শুরু হতে থাকে।

মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে কালির ব্যবহার

কাগজের পর আসে কালির কথা। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ক্লেমিশ শিল্পীদের তেল কালির ব্যবহার মানুষকে বিস্মিত করে। মুদ্রণ শিল্পীরা চাইনিজ কালি ছাড়া ছাপার জন্য তেল কালি ব্যবহার করতে শুরু করে।

মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে ধাতব অক্ষরের আবিষ্কার

রাইস বলেছেন এরপর ধাতব অক্ষর তৈরি হল। গুটেনবার্গ, স্কফার এবং ফার্স্ট ধাতব অক্ষর তাঁদের ছাপাখানার সমস্ত ব্যাপারটি সহজ রূপ দিলেন। ধাতব অক্ষরে কালি লাগিয়ে জোরে চাপ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হল। কাগজের কলে ভিজে কাপড় থেকে জল বের করার জন্য যে চাপ দেবার কাঠের যন্ত্র ব্যবহার করা হত সেই ধরণের যন্ত্রই লাগানো হল।

মুদ্রণ বিপ্লবের ক্ষেত্রে মেইনজ শহরের অবদান

  • (১) মেইনজ শহর ছাপার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ১৪৫৫ সালে গুটেনবার্গ তাঁর ছাপাখানা থেকে সম্পূর্ণ বাইবেল ছেপেছিলেন। স্কফার ও ফার্স্ট লাল কালিতে পার্চমেন্টে ছেপে তাদের বই প্রকাশ করেন। প্রথমদিকে অক্ষরগুলি বড় ছিল পরে এগুলি সুন্দর ও ছোট হতে শুরু করে।
  • (২) মুদ্রণ ব্যবস্থা তখনও ধর্মীয় যাজকরাই বেশি কাজে লাগাতেন। সবচেয়ে বেশি ছাপা হত ইনডালজেন্স ফর্ম। এছাড়া বাইবেল, সেন্ট টমাস অ্যাকুইনাসের প্রভাব, বাইবেলের উপর টীকা স্তোত্রগাথা বেশি করে ছাপা হত। প্রথমে ছোট ছোট ছাপাখানা থাকলেও পরে বড় বড় ছাপাখানা স্থাপিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বই-এর চাহিদা বা বাজার তৈরি হয়েছিল।

যৌথভাবে মুদ্রণ বিপ্লব সম্পন্ন

নিঃসন্দেহে বলা যায় ইউরোপীয় চেতনার উন্মেষে মুদ্রণ বিপ্লব যে ভূমিকা নিয়েছিল সাংস্কৃতিক জগতে তার প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট। মুদ্রণ বিপ্লবের ফলে জ্ঞান ভাণ্ডারের দ্বার যেন অনেকটা খুলে গেল। সচল অক্ষর সম্পন্ন ছাপাখানা, আধুনিক কাগজের উৎপাদন, তৈলাক্ত কালি প্রভৃতি প্রযুক্তি যৌথভাবে মুদ্রণ বিপ্লব সম্পন্ন করেছিল।

মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য

ইউরোপের ইতিহাসে মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য ছিল সুদূরপ্রসারী। যেমন –

(ক) সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য

  • (১) মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারের পর বাইবেল থেকে শুরু করে বিশ্বকোষ বীরগাথা সহ প্রাচীন গ্রীক, রোমান গ্রন্থ অনুবাদ জ্যোতিষ প্রভৃতি নানা বিষয়ের উপর বিভিন্ন গ্রন্থ ছাপা হতে থাকে। জ্ঞান ভাণ্ডারের দ্বার খুলে যায়। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে ইউরোপে বহু ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রায় ৬ মিলিয়ন বই ইউরোপে প্রকাশিত হয়ে যায়।
  • (২) এই বই প্রকাশের সাংস্কৃতিক ফলাফল ছিল সুদুরপ্রসারী। লিখিত পাণ্ডুলিপি রাখবার দিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। গড়ে উঠেছিল পুস্তকবিপণী ও লাইব্রেরী। পুরাতন পাণ্ডুলিপিগুলিও প্রকাশিত হতে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলি পরিমার্জিত, পরিবর্ধিত ও সংশোধিত হতে থাকে। কোপারনিকাস প্রমুখের গ্রন্থ পৌঁছে যায় সাধারণ মানুষের হাতে।
  • (৩) New Cambridge Modern History-তে বলা হয়েছে যে ল্যাটিন ও কথ্য ভাষার উন্নতি ছাপাখানা আবিষ্কারের ফলে সম্ভব হয়েছিল। স্থানীয় ভাষায় লিখিত গ্রন্থ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বুদ্ধিজীবিরা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হন। ফলে স্থানীয় ভাষার প্রসার ঘটে এবং সাধারণ মানুষের কাছে নতুন তত্ত্ব ও তথ্যগুলি পৌঁছে যায়।
  • (৪) লুথার, পেত্রার্ক, দান্তে, বোকাচ্চিও, চসার, সার্ভের্থিস কথ্য ভাষাকে সমৃদ্ধ করলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির জগতে ল্যাটিন ভাষার একাধিপত্য নষ্ট হয়ে যায়। শুধু ভাবের আদান প্রদান নয় ভাবধারা প্রচারের কাজটিও সহজতর হয়েছিল। ইরাসমাসের ধর্মীয় চিন্তা বা মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর শিল্পকীর্তি মুদ্রণ যন্ত্রের ফলেই ব্যাপক প্রচার সম্ভব হয়েছিল।
  • (৫) মুদ্রিত পুস্তিকা ও গ্রন্থ ধর্মসংস্কার আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করেছিল। বিরোধী প্রচার পেয়েছিল নতুন মাত্রা। আবার মুদ্রণ রাষ্ট্রীয় প্রচারের এক অনন্য উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মুদ্রিত হয় অসংখ্য পুস্তক।
  • (৬) ধর্ম শাস্ত্রের সংকীর্ণ গণ্ডি অতিক্রম করে অতঃপর গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান, আইন, ইতিহাস, ব্যাকরণ প্রভৃতি এবং অসংখ্য পুস্তক আত্মপ্রকাশ করে। মুদ্রিত পুস্তকের আগমন ইউরোপে সুদুরপ্রসারী পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং অন্যান্য অ-ইউরোপীয় সভ্যতাগুলি থেকে এবং নিজেদের অতীত থেকে ইউরোপের সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে যায়।
  • (৭) মুদ্রণ বিপ্লবের প্রভাব ছিল সুদুরপ্রসারী। শিক্ষার অগ্রগতির সাথে সাথে যেমন বই-এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল ঠিক তেমনি বই-এর বৃদ্ধির সাথে জ্ঞান ও শিক্ষার অগ্রগতি ঘটেছিল।

(খ) মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য সম্পর্কে রাইসের মন্তব্য

রাইস যথার্থই বলেছেন “Printing turned intellectual work as a whole into a co-operative instead of a solitary human activity.”

(গ) বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য

  • (১) মুদ্রণ শিল্পের বিকাশের ফলে মানুষের মধ্যে নতুন ধারণা অনেক ব্যাপক হারে বিকাশলাভ করেছিল। বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয় ব্যাপকভাবে। অবশ্য তার অর্থ এই নয় যে বিজ্ঞানের কিছু জটিল ও উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন বইয়ে সারা বাজার ছেয়ে গিয়েছিল।
  • (২) আসলে বিজ্ঞান নির্ভর বহু বই প্রকাশিত হয়ে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের চর্চা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়। সমাজ কুসংস্কার মুক্ত হয় এবং যুক্তিবাদী চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে। অঙ্কশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যার উপর লেখা বহু বই মুদ্রিত হলে বিজ্ঞান চর্চায় এক স্বতঃস্ফূর্ততা আসে।

(ঘ) আবিষ্কারের ক্ষেত্রে মুদ্রণ বিপ্লবের তাৎপর্য

আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ছাপাখানার প্রভাবকে অস্বীকার করা যায় না। মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারের ফলে অনেক নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে তথ্য সহজেই ছাপানো হত। আবিষ্কারকে প্রচার করাই হল আবিষ্কারকের বড় দায়িত্ব। আর তার সমালোচনাও ছিল জরুরী। এক্ষেত্রে মুদ্রিত আবিষ্কারের তথ্য জনমানসে আসার বড় সুযোগ এসেছিল।

মুদ্রণ বিপ্লবের প্রভাব সম্পর্কে মতামত

  • (১) ছাপাখানার প্রভাব সম্পর্কে ইউয়ান ক্যামেরন বলেছেন যে “The key to the ‘print revolution’ was the combination of accuracy and flexibility” গুটেনবার্গ ছাপাখানার জন্ম দিয়েছিল। Type foundry-র ছাপাখানাকে ঘিরে মেধা ও প্রভাব সম্পর্কে মত মনীষার নতুন বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম হয়েছিল নতুন বৃত্তির। প্রুফ কারেকশন এর সুযোগ পাওয়া যেত ফলে ছাপা হয়ে উঠেছিল নির্ভুল।
  • (২) ইউজেন রাইস তার ‘Foundations of Early Modern Europe‘ গ্রন্থে বলেছেন মুদ্রণ বিপ্লব সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকে বেশী প্রভাবিত করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে হাতের লেখার প্রচলন থাকায় যে সব ভুল তথ্য বহু বছর ধরে চলে আসছিল ছাপাখানা আবিষ্কারের ফলে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর মতে মুদ্রণ শিল্প কম্পিউটার আবিষ্কারের সামিল কেননা এর ফলে মানুষজনের উপর চাপ কমে যায়। কারণ তথ্য সংগ্রহের জন্য মন না হাতড়ে বই ঘাটলেই চলে।

উপসংহার :- পরিশেষে উল্লেখ করতেই হয় যে গুটেনবার্গের ছাপাখানার পদ্ধতি নবজাগরণ বা রেঁনেসাসের আলোক ছড়িয়ে দিয়েছিল। ধর্মসংস্কার আন্দোলনকে করেছিল আরও সমৃদ্ধ। মানুষের জ্ঞানের গভীরতা করেছিল আরও গভীর। এর সাথে ব্যক্তি মানুষে ঘিরে মেধামুগ্ধ মানুষের ভিড় কমে গিয়েছিল। মানুষের হাতে হাতে উঠেছিল মেধার ফসল। বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফসলকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল মুদ্রিত বই। তর্কবিতর্ক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তত্ত্বের আদান প্রদান সব কিছুর সত্যতা যাচাই করার সুযোগ এসেছিল যার পশ্চাতে মুদ্রণ বিপ্লবের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

(FAQ) মুদ্রণ বিপ্লব সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারক কে?

জোহানেস গুটেনবার্গ।

২. গুটেনবার্গ কোন শহরে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন?

জার্মানির মেইনজ শহরে।

৩. পার্চমেন্ট কি?

 ছাপার কাজে কাগজের পরিবর্তে ব্যবহৃত প্রচুর চামড়াকে পার্চমেন্ট বলা হত।

৪. কাগজের ব্যবহার শুরু করে কোন দেশ?

চীন।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

    Leave a Comment