সিভি লেখার সহজ কৌশল

আজ চলো জানি সিভি লেখার সহজ কৌশল -যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ, গোছানো অবজেকটিভক, পেশাগত অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা

সিভি লেখার সহজ কৌশল

চাকরিদাতার কাছে চাকরিপ্রার্থীর প্রথম পরিচয় ঘটে সিভি বা জীবনবৃত্তান্তের মাধ্যমে। সঠিকভাবে লেখা সিভি একজন প্রার্থীকে চাকরির দৌড়ে এগিয়ে রাখে। প্রাসঙ্গিক সিভি প্রস্তুত করতে নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

ছবি হোক প্রফেশনাল

সিভি কোনো ইনফরমাল বিষয় নয়। সিভিতে ফরমাল গেটআপে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড নীল বা সাদা হলে ভালো। সেলফি বা ভ্রমণের সময় তোলা ছবি সিভিতে দেওয়া একেবারে বেমানান।

যোগাযোগের বিস্তারিত দেওয়া

সিভির শীর্ষে নিজের পুরো নাম বড় ফন্টে বোল্ড করে লিখুন। এরপর যথাক্রমে প্রফেশনাল টাইটেল, ই- মেইল, মোবাইল নম্বর, লিংকডইন প্রোফাইল লিংক এবং ঠিকানা উল্লেখ করুন।

গোছানো অবজেকটিভক

ক্যারিয়ার অবজেকটিভ বা সামারি সিভির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আবেদন করা পদের সঙ্গে সম্পর্কিতভাবে এটি সংক্ষেপে লিখুন। একবার সিভি তৈরি করে সব প্রতিষ্ঠানে সেটি পাঠানো উচিত নয়। অবজেকটিভ লেখার সময় আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ও অভিজ্ঞতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন। তবে এটি ১০০ শব্দের মধ্যে রাখুন।

পেশাগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন

আবেদন করা পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আগের কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের মেয়াদকাল এবং পদের নাম পরিষ্কারভাবে লিখুন। সর্বশেষ কাজ করা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রথম কাজ করা প্রতিষ্ঠানের নাম পর্যায়ক্রমে দিন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা

শিক্ষাগত যোগ্যতা পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরুন। সর্বশেষ ডিগ্রি থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে আগের ডিগ্রিগুলোর নাম, সাল, প্রতিষ্ঠান ও ফলাফল উল্লেখ করুন। ফলাফল প্রকাশিত না হলে ‘Appeared’ এবং চলমান থাকলে ‘Pursuing’ লিখতে পারেন।

প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা

ছাত্রজীবনে অর্জিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার অভিজ্ঞতা চাকরির ক্ষেত্রে কাজে লাগে। পদের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ বা কর্মশালার নাম, বিষয়, সময়কাল এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নাম লিখুন।

যোগ্যতা ও দক্ষতা তুলে ধরা

শিক্ষাগত যোগ্যতার বাইরে পদের জন্য প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো যোগ্যতা বা দক্ষতা থাকলে তা উল্লেখ করুন। মাতৃভাষার বাইরে ভিন্ন ভাষা জানলে তা লিখুন এবং ভাষার দক্ষতার কোনো সার্টিফিকেট থাকলে সেটি যোগ করুন। এ ছাড়া কম্পিউটারে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকলে তা উল্লেখ করা যেতে পারে।

রেফারেন্স দেওয়া

সিভিতে দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির রেফারেন্স দিন। একজন একাডেমিক ও একজন পেশাজীবী হতে পারেন। তাঁরা যেন আপনার পরিচিত হন এবং ইতিবাচক ফিডব্যাক দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন।

অঙ্গীকারনামা যুক্ত করা

সিভির সব তথ্য সঠিক, তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারনামা দিন। সবশেষে নিজের স্বাক্ষর যুক্ত করুন। এসব কৌশল অনুসরণ করে একটি নিখুঁত সিভি তৈরি করুন।

Leave a Comment