চলো জেনে নি পড়ার ঘর যেমন হওয়া উচিত – উপযুক্ত আলো, শান্ত পরিবেশ, অর্গানাইজড আসবাব পত্র, বই রাখার উপযুক্ত স্থান, সঠিক তাপমাত্রা ইলেকট্রনিকসের সঠিক ব্যবস্থাপনা
পড়ার ঘর যেমন হওয়া উচিত
ঘর এমন একটি স্থান হওয়া উচিত যেখানে আপনি মনোযোগ সহকারে কাজ বা অধ্যয়ন করতে পারেন। সঠিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো মাথায় রাখা জরুরি।
আলো
যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলো পড়ার ঘরকে প্রাণবন্ত এবং স্বচ্ছ রাখে। এর পাশাপাশি টেবিল ল্যাম্প বা ফোকাসড লাইটের ব্যবস্থা রাখা উচিত, যাতে রাতেও কাজ করা যায়।
শান্ত পরিবেশ
পড়ার ঘরে কোনো প্রকার শব্দ বা বিঘ্নতা থাকা উচিত নয়। বাইরের শব্দ এড়াতে শব্দ নিরোধক জানালা বা দরজা ব্যবহার করা যেতে পারে।
অর্গানাইজড আসবাব
পড়ার ঘরে একটি মজবুত ডেস্ক এবং আরামদায়ক চেয়ার থাকা উচিত। সঠিক উচ্চতার চেয়ার এবং টেবিল শারীরিক অস্বস্তি কমায়।
বই রাখার স্থান
বই রাখার জন্য একটি বুকশেলফ বা র্যাক থাকা দরকার। এতে প্রয়োজনীয় বইগুলো হাতের নাগালে থাকবে, এবং ঘরটি গুছানোও থাকবে।
রং
পড়ার ঘরের রং নির্ধারণে হালকা এবং শান্ত রং যেমন সাদা, হালকা নীল বা সবুজ বেছে নেওয়া যেতে পারে, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
গাছপালা
ঘরে কিছু ছোট গাছপালা রাখলে তা প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করে এবং মনকে সতেজ রাখে।
সঠিক তাপমাত্রা
পড়ার ঘরে তাপমাত্রা খুব বেশি গরম বা ঠাণ্ডা হওয়া উচিত নয়। আরামদায়ক তাপমাত্রা পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত।
প্রচুর জায়গা
পড়ার ঘরে পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখা উচিত যেন চলাচল করতে সুবিধা হয় এবং ঘরটি সঙ্কুচিত না লাগে।
ইলেকট্রনিকসের সঠিক ব্যবস্থাপনা
ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইন্টারনেটের ব্যবস্থা রাখা উচিত।
দেওয়াল সাজানো
পড়ার ঘরের দেওয়ালে অনুপ্রেরণামূলক ছবি বা উদ্ধৃতি টাঙানো যেতে পারে যা মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
বায়ু চলাচল
ঘরে বায়ু চলাচল যেন ভালো হয়, এ জন্য জানালা রাখা যেতে পারে। তাজা বাতাস ঘরে সজীবতা এনে দেয়।
সংরক্ষণ ব্যবস্থা
পড়ার ঘরে গুরুত্বপূর্ণ নোট, কাগজপত্র বা অন্যান্য সামগ্রী রাখার জন্য ড্রয়ার বা ক্যাবিনেটের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
সম্ভাব্য ফ্লোরিং
পড়ার ঘরে কাঠের ফ্লোরিং বা কার্পেট ফ্লোরিং ব্যবহার করা যেতে পারে যা আরামদায়ক এবং শব্দ কমায়।
টেকনোলজির ব্যবহার
পড়ার ঘরে কম্পিউটার, প্রিন্টার বা স্ক্যানারের মত যন্ত্রপাতি সহজে ব্যবহার করার জন্য যথাযথ জায়গা রাখা উচিত।
ব্যক্তিগত স্পর্শ
পড়ার ঘরকে ব্যক্তিগত এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় রাখতে নিজের পছন্দের কিছু জিনিস রাখুন যেমন প্রিয় বই, ছবি বা স্যুভেনির।
এভাবে পড়ার ঘরটি সঠিকভাবে ডিজাইন করলে তা মনোযোগ এবং পড়ার মানসিকতা উন্নত করবে।