উপনিবেশিক সমাজে জাতিগত প্রশ্নের প্রভাব প্রসঙ্গে নঞর্থক প্রভাব হিসেবে অমানবিকতা জাতিগত শোষণ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা, শ্রমিক রপ্তানি, বৈষম্য, সদর্থক প্রভাব হিসেবে জ্ঞানের প্রসার পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সান্নিধ্য, শিল্পকলার অগ্রগতি, সংগীতে অগ্রগতি, নৃতত্ব বিজ্ঞানের অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রচার ও নবজাগরণ সম্পর্কে জানবো।
উপনিবেশিক সমাজে জাতিগত প্রশ্নের প্রভাব
ঐতিহাসিক ঘটনা | জাতি-প্রশ্নের প্রভাব |
ফরাসি শিল্পী | পল গঁগ্যা |
স্পেনের চিত্রশিল্পী | পাবলো পিকাসো |
পাশ্চাত্যের সুরকার | ক্লদ দুবুসি |
দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক | কৃষ্ণাঙ্গ শাসিত জাতি |
ভূমিকা :- ঊনবিংশ শতকের বহু আগে থেকেই ইউরোপ-এর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অনগ্রসর দেশে ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য-এ শাসকজাতি শাসিত জাতির বিরুদ্ধে তীব্র জাতিবিদ্বেষ প্রচার করে। বিদেশি ঔপনিবেশিক শাসনাধীনে উপনিবেশের অনগ্রসর জাতিগুলি নানা শোষণ-পীড়ন ও দুর্দশার শিকার হয়। উপনিবেশগুলিতে জাতিগত ব্যবধানের নঞর্থক ও সদর্থক উভয় ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
জাতি প্রশ্নের নঞর্থক প্রভাব
ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যে জাতিগত ব্যবধানের নঞর্থক প্রভাবগুলি হল –
(ক) অমানবিকতা
- (১) ইউরোপের ঔপনিবেশিক শ্বেতাঙ্গ শাসক জাতির দ্বারা এশিয়া ও আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ শাসিত জাতি দীর্ঘকাল ধরে ঘৃণা, বিদ্বেষ, অবহেলা ও অমানবিকতার শিকার হয়। শাসিত কৃষ্ণাঙ্গরা নিজেদের দেশেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত হয়।
- (২) রাস্তাঘাট, পার্ক, হোটেল, রেলগাড়ির কামরা, খেলার মাঠ, সরকারি স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি ইউরোপীয় জাতির জন্য সংরক্ষিত থাকায় দেশীয় জাতিগুলি সেগুলি ব্যবহারের অধিকার হারায়।
- (৩) কোনো দেশীয় – তিনি যতই সম্মানিত ব্যক্তি হোন না কেন, ইউরোপীয় প্রভুদের সামনে তিনি ঘোড়া, হাতি বা পালকি চড়তে পারতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার উপনিবেশে একদা মহাত্মা গান্ধী রেলগাড়িতে উঠলে শ্বেতাঙ্গ যাত্রীরা তাকে ট্রেন থেকে ঠেলে নামিয়ে দেন।
- (৪) ঔপনিবেশিক ভারতের কোনো কোনো ইউরোপীয় ক্লাবে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হত যে, ‘কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।’
(খ) জাতিগত শোষণ
- (১) ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে শাসক ও শাসিতের মধ্যেকার জাতিগত ব্যবধান উপনিবেশের অনগ্রসর মানুষের ওপর তীব্র শোষণ ও অত্যাচারের সূত্রপাত ঘটায়। উপনিবেশের পরাধীন জাতিগুলির ওপর বিপুল পরিমাণ করের বোঝা চাপানো হয়।
- (২) শাসিত জাতিগুলি নিজেদের খাদ্য উৎপাদন বন্ধ রেখে ইউরোপের ঔপনিবেশিক প্রভুদের শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন করতে বাধ্য হয়। দেশীয় কৃষিব্যবস্থা ও কুটিরশিল্প বিদেশি জাতিগুলির শোষণে ধ্বংস হয়। তীব্র আর্থিক শোষণ, খাদ্যাভাব প্রভৃতি ঘটনা পরাধীন জাতিগুলিকে সীমাহীন দুরবস্থায় ফেলে দেয়।
(গ) দেশীয় ঐতিহ্যে আঘাত
- (১) নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে গর্বিত শ্বেতাঙ্গ জাতি এশিয়া ও আফ্রিকার উপনিবেশগুলিতে বিভিন্ন জাতির প্রাচীন ঐতিহ্যে জোর আঘাত হানে। তাদের আঘাতে প্রাচ্যের প্রাচীন বহু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লুপ্ত হতে শুরু করে।
- (২) প্রাচ্যের যা কিছু মহান ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন ছিল সেগুলি ইউরোপীয়রা নিজেদের দেশে পাচার করে তাদের সাংস্কৃতিক ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে। প্রাচ্য ক্রমাগত নিঃস্ব হতে থাকে। ভারতের মতো উপনিবেশে প্রাচীন আরবি, ফারসি ও সংস্কৃত শিক্ষার অস্তিত্ব ব্রিটিশ জাতির আঘাতে লুপ্ত হতে শুরু করে।
(ঘ) শ্রমিক রপ্তানি
- (১) পশ্চিমের শ্বেতাঙ্গ জাতিগুলি প্রথমদিকে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসদের আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশে রপ্তানি করে সেখানকার উৎপাদনমূলক কাজগুলি সচল রাখত। পরবর্তীকালে আফ্রিকায় উপনিবেশের প্রসার ঘটলে ভারত, চিন-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকদের চুক্তির ভিত্তিতে আফ্রিকায় রপ্তানি করত।
- (২) আফ্রিকার মরিশাস, ট্রিনিদাদ, জামাইকা, নাটাল প্রভৃতি উপনিবেশে এসব চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের পাঠানো হত। এসব শ্রমিকরা আখ ও অন্যান্য বাণিজ্য-পণ্য চাষ, খনিজ উত্তোলন, সেচ, অট্টালিকা, সড়ক, রেলপথ নির্মাণের কাজগুলি করত। উপনিবেশের খামারগুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের জীবনে সুখস্বাচ্ছন্দ্য আসত।
(ঙ) বৈষম্য
- (১) উপনিবেশে শাসক শ্বেতাঙ্গ ও শাসিত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তীব্র বৈষম্য বিদ্যমান ছিল। ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গরা উপনিবেশে শাসিত জাতির প্রতি অন্যায় করলেও শাসিতরা এর কোনো সুবিচার পেত না। শ্বেতাঙ্গ বিচারক কৃষ্ণাঙ্গদের বিচার করার অধিকারী হলেও যোগ্য কৃষ্ণাঙ্গ বিচারক কোনো শ্বেতাঙ্গের বিচার করার অধিকার পেত না।
- (২) সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও দেশীয় জাতিগুলি অবহেলার শিকার হয়। সরকারি অফিস, আদালত, সামরিক বাহিনী প্রভৃতির উচ্চপদগুলি ইউরোপের শ্বেতাঙ্গদের জন্য সংরক্ষিত থাকত। দেশীয় মানুষদের যথেষ্ট যোগ্যতা থাকলেও উচ্চপদে তারা নিযুক্ত হতে পারত না। নিম্নপদগুলি পেয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হত।
- (৩) ঐতিহাসিক ড. অমলেশ ত্রিপাঠী দেখিয়েছেন যে, ভারতে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মাসিক পঁচাত্তর টাকা বেতনের ওপর পদের সংখ্যা ছিল ১৩,৪৩১ এবং এর বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত ইংরেজ বা মধ্যবিত্ত ইঙ্গ-ভারতীয়দের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
জাতি প্রশ্নের সদর্থক প্রভাব
ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যে জাতিগত ব্যবধানের সদর্থক প্রভাবগুলি হল –
(ক) জ্ঞানের প্রসার
- (১) ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক জাতিগুলি জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এশিয়া ও আফ্রিকার উপনিবেশগুলির বাসিন্দাদের তুলনায় যথেষ্ট অগ্রণী ছিল – সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অগ্রণী এই জাতিগুলি তাদের শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ভূগোল প্রভৃতি বিষয়ের জ্ঞানভান্ডার এশিয়া ও আফ্রিকার অনগ্রসর জাতিগুলির মধ্যে সঞ্চারিত করে তৃপ্তি বোধ করে।
- (২) এই সুযোগে উপনিবেশের অনগ্রসর জাতিগুলিও এসব জ্ঞান আহরণ করে নিজেদের মানসিক জগতের প্রসার ঘটায়। মিল, বার্ক, মেকলে, বেন্থাম, মিলটন, রুশো, ভলতেয়ার প্রমুখ পাশ্চাত্য দার্শনিকের মতবাদের সঙ্গে প্রাচ্যের মানুষ পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়।
- (৩) আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফলে উপনিবেশগুলিতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি ঘটে এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সমাজসংস্কার আন্দোলন জোরদার হয়।
(খ) পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সান্নিধ্য
- (১) ঔপনিবেশিক শাসনের প্রসারের ফলে প্রাচ্যের শিক্ষা ও সংস্কৃতি পাশ্চাত্যের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পায়। উপনিবেশগুলিতে পাশ্চাত্যের ভাষা প্রসারিত হলে এই ভাষার মাধ্যমে উপনিবেশের বাসিন্দারা বহির্জগতের সংস্কৃতি জানার সুযোগ পায়।
- (২) ইউরোপের খ্রিস্টান মিশনারিরা উপনিবেশগুলিতে অনগ্রসর মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ও অন্যান্য সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্ম চালিয়ে সেখানকার সংস্কৃতিকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেন।
(গ) শিল্পকলার অগ্রগতি
- (১) পাশ্চাত্যের স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্র শিল্পীরা উপনিবেশের নতুন জাতিগুলির সংস্পর্শে এসে তাদের শিল্পসৃষ্টিতে নতুনত্ব আনেন। জেমস জোল মনে করেন যে, আফ্রিকার অভিজ্ঞতা ইউরোপের চিত্রাঙ্কন পদ্ধতিকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল।
- (২) ফরাসি শিল্পী পল গঁগ্যা দক্ষিণ সমুদ্রের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ফরাসি উপনিবেশ তাহিতি-তে বসবাস শুরু করেন। তাঁর আঁকা চিত্রেও এর প্রভাব পড়ে। স্পেন-এর বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো আফ্রিকার চিত্রশিল্পের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই তাঁর বিখ্যাত চিত্রগুলি আঁকেন। পাশ্চাত্যের অন্যান্য শিল্পীর শিল্পচর্চায়ও উপনিবেশের প্রভাব পড়েছিল।
(ঘ) সংগীতে অগ্রগতি
- (১) ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের প্রসারের ফলে পাশ্চাত্যের জাতিগুলি প্রাচ্যের সংগীতচর্চা সম্পর্কে অবহিত হয়। পাশ্চাত্যের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী ক্লদ দুবুসি প্যারিস ইনটারন্যাশনাল এগজিবিশন (১৮৮৯ খ্রি.)-এ প্রাচ্যের সংগীত শোনার সুযোগ পান।
- (২) এরপর থেকে তিনি প্রাচ্যের সংগীতের এতটাই অনুরাগী হয়ে পড়েন যে, প্রাচ্যের সুরের প্রভাবে তিনি বহু পাশ্চাত্য সংগীতে সুরারোপ করেন। অন্যান্য বহু শিল্পীও প্রাচ্যের সংগীতের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে সংগীতচর্চা ও সুর সৃষ্টি করেন।
(ঙ) নৃতত্ব বিজ্ঞানের অগ্রগতি
- (১) ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক জাতিগুলি দূরবর্তী নতুন উপনিবেশে নতুন নতুন জাতির সংস্পর্শে এলে এই জাতিগুলি সম্পর্কে ইউরোপীয়দের কৌতূহল ও আগ্রহ বাড়ে। ইউরোপীয়রা এই উপনিবেশগুলির মানবজাতি ও সমাজ সম্পর্কে গবেষণা বা বিশ্লেষণ শুরু করে।
- (২) এর ফলে নৃতত্ত্ব বিজ্ঞানের গবেষণা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় এবং জীববিদ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে নৃতত্ত্ব বিজ্ঞানের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী মানবজাতিগুলি সম্পর্কে ইউরোপীয়দের পঠনপাঠন ও চর্চা শুরু হলে জাতিতত্ত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন নতুন মতবাদ প্রকাশিত হতে থাকে।
(চ) গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রসার
- (১) ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে প্রাচ্যের জাতিগুলি স্বৈরাচারী রাজতান্ত্রিক শাসনাধীনে বসবাস করত। এই শাসনে নাগরিকরা স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হত।
- (২) ব্রিটিশ চিন্তাবিদ লেনার্ড উলফ মনে করেন যে, ইউরোপীয় সভ্যতাগুলি উপনিবেশে অত্যাচার ও শোষণ চালিয়েছিল ঠিকই, তবে নিজেদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইউরোপের সভ্য জাতিগুলি এশিয়া ও আফ্রিকার কালো মানুষদের সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, মানবিকতা, গণতন্ত্র প্রভৃতি সুমহান আদর্শে দীক্ষিত করেছিল।
(ছ) নবজাগরণ
- (১) ইউরোপের সভ্য জাতিগুলি এশিয়া ও আফ্রিকার পিছিয়ে পড়া মানুষদের মধ্যে আধুনিক গণতান্ত্রিক আদর্শ প্রচারের ফলে উপনিবেশগুলিতে এক ধরনের নবজাগরণের সূচনা হয় বলে লেনার্ড উলফ মনে করেন। এই ধরনের নবজাগরণকে কেউ কেউ ঔপনিবেশিক আধুনিকীকরণ বলে অভিহিত করেছেন।
- (২) উপনিবেশগুলিতে ঘটে যাওয়া এই নবজাগরণ থেকেই জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়। জাতীয়তাবাদে উদবুদ্ধ হয়ে উপনিবেশের মানুষ স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে, সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের বিরুদ্ধে মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলে। এর অনিবার্য পরিণতি ছিল ঔপনিবেশিকতার অবসান ।
সমৃদ্ধ সাম্রাজ্যবাদী দেশ
এশিয়া ও আফ্রিকার পরাধীন উপনিবেশগুলির কাছে সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ ছিল একটি অভিশাপ। উপনিবেশগুলিতে দীর্ঘ শোষণ ও অত্যাচার চালিয়ে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে উপনিবেশগুলি প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হতে থাকে।
ঔপনিবেশিক শাসনের বর্বর নিষ্ঠুরতা
- (১) ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক শাসনকে উপনিবেশের বাসিন্দারা কোনোদিনই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। তাই বিংশ শতকের প্রথমার্ধে পরাধীনতার বন্ধন মুক্ত করতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে উপনিবেশগুলিতে আন্দোলন শুরু হয়।
- (২) সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি এসব মুক্তি আন্দোলন দমন করতে কোনো কোনো উপনিবেশে সীমাহীন বর্বর নিষ্ঠুরতা চালায়। জার্মানরা দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকায়, ইংরেজরা দক্ষিণ আফ্রিকায় যে নৃশংস বর্বর পদ্ধতিতে উপনিবেশের বিদ্রোহীদের দমন করে তা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে শিহরিত করে।
উপসংহার :- ক্রমে চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-এর পরবর্তীকালে এশিয়া ও আফ্রিকার অধিকাংশ উপনিবেশ একে একে স্বাধীন হতে শুরু করে।
(FAQ) উপনিবেশিক সমাজে জাতিগত প্রশ্নের প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
আফ্রিকায়।
কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।
পাবলো পিকাসো।
পল গঁগ্যা।
ক্লদ দুবুসি।