মহিয়ষী শান্তিসুধা ঘোষ ছিলেন একজন স্বনামধন্য বিপ্লবী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবিকা। তিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং একই সঙ্গে নারীর শিক্ষা, অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে আজীবন কাজ করেছেন।
বিপ্লবী শান্তিসুধা ঘোষ
ঐতিহাসিক চরিত্র | শান্তিসুধা ঘোষ |
জন্ম | ২৭ জুন ১৯০৭, আলোকানন্দ, বরিশাল |
পিতার নাম | ক্ষেত্রনাথ ঘোষ |
মাতার নাম | অন্নদাসুন্দরী দেবী |
রাজনৈতিক সংগঠন | যুগান্তর দল, শক্তিবাহিনী |
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড | নারী সংগঠন ‘শক্তিবাহিনী’ প্রতিষ্ঠা; স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ |
পেশা | শিক্ষাবিদ, অধ্যাপিকা, কলেজ অধ্যক্ষা |
সাহিত্যকর্ম | ‘১৯৩০ সাল’, ‘নারী’, ‘বীর সংগ্রামী সতীন্দ্রনাথ সেন’, ‘জীবনের রঙ্গমঞ্চে’ (আত্মজীবনী) |
বিশেষ অবদান | নারী শিক্ষা, নারীবাদ, সাহিত্য, স্বাধীনতা আন্দোলন |
মৃত্যু | ৭ মে ১৯৯২, হুগলি |
শান্তিসুধা ঘোষ
ভূমিকা :- শান্তিসুধা ঘোষ ছিলেন একাধারে বাঙালি বিপ্লবী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবিকা। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি। শান্তিসুধা ঘোষের জীবন সংগ্রাম, দেশপ্রেম, সাহিত্য, শিক্ষা এবং নারীবাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
শান্তিসুধা ঘোষের জন্ম
বরিশাল শহরে ১৯০৭ সালের ২৭শে জুন শান্তিসুধা ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বরিশালের গাভা গ্রামে হলেও শান্তিসুধা বরিশাল শহরেই মানুষ হয়ে উঠেছিলেন।
বিপ্লবী শান্তিসুধা ঘোষের পিতামাতা
তাঁর পিতা ক্ষেত্রনাথ ঘোষ ও মাতা অন্নদাসুন্দরী দেবী। স্বনামখ্যাত অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ ঘোষ তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।
শান্তিসুধা ঘোষের শিক্ষা
ছোটবেলা থেকে তিনি যেমনই মেধাবী ছাত্রী তেমনি ছাত্রীজীবনে উচ্চতম বৃত্তির অধিকারী হয়ে তিনি ম্যাট্রিক ও আই এ পাস করেন। অঙ্কে অনার্স নিয়ে তিনি ১৯২৮ সালে বি.এ. পরীক্ষায় ‘ঈশান স্কলার’ হয়ে পুরুষ ও নারী সমাজকে চমৎকৃত করেন। সমস্ত ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সর্বাধিক নম্বর তিনিই পেয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ-এ মিশ্র-গণিত নিয়ে এম.এ. পড়তে যান। ১৯৩০ সালে অসুস্থ শরীরেও পরীক্ষা দিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। বরিশাল বি. এম. কলেজে তিনি এবং আরো তিনটি ছাত্রী সহশিক্ষার প্রথম পথপ্রদর্শক ছিলেন। পরে ঐ কলেজেই শান্তিসুধা ঘোষ অধ্যাপকের পদ লাভ করেছিলেন।
বিপ্লবী শান্তিসুধা ঘোষের রাজনৈতিক চেতনার উদ্বোধন
মহিয়ষী শান্তিসুধা ঘোষ ছাত্রীজীবনে রাজনীতির জটিল পথে নামেন নি। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড-এর পর তাঁর রাজনৈতিক চেতনার উদ্বোধন হয়। ধীরে ধীরে সেটি ক্রমবিকাশ লাভ করে।
শান্তিসুধা ঘোষের জীবনে অরবিন্দের প্রভাব
বিশেষত শ্রীঅরবিন্দ-এর জীবন ও বাণী তাঁকে প্রবুদ্ধ করে। এককথায় মনে হয়, অরবিন্দের সশস্ত্র বিপ্লব ও পূর্ণ আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় তাঁকে আকৃষ্ট করে।
স্থানীয় তরুণসংঘের প্রতি আকৃষ্ট শান্তিসুধা ঘোষ
এম.এ. পাস করার পর যখন বরিশাল ফিরে যান তখন তিনি রাজনৈতিক কাজে যোগদান করেন। তাঁর ছোট ভাই রুণু ও বোন অপরাজিতা ঘোষের মারফত স্থানীয় তরুণসংঘের কর্মীদের তিনি কিছু কিছু সাহায্য করতে থাকেন। সেই সময় বরিশালে যুগান্তর দলের শঙ্করমঠ, তরুণসংঘ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বিপ্লবাত্মক কাজে ব্রতী ছিল। তাদের নীতিনিষ্ঠ আচরণ তাঁকে আকৃষ্ট করে।
বিপ্লবীকর্মে সহযোগী শান্তিসুধা ঘোষ
তরুণসংঘে যোগদানের ফলে শান্তিসুধা ঘোষ, রুণু ও অপরাজিতা একত্রে বিপ্লবীকর্মে সহযোগী হন। বন্দুক, রিভলভার প্রভৃতি নিষিদ্ধ জিনিস রাখার দায়িত্ব নিলেন শান্তিসুধা ও অপরাজিতা ঘোষ।
শান্তিসুধা ঘোষ কর্তৃক শক্তিবাহিনী সংঘ স্থাপন
১৯৩১ সালে শান্তিসুধা ঘোষ বরিশালের মেয়েদের নিয়ে ‘শক্তিবাহিনী’ নামে একটি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। সংঘের কর্মী ছিলেন লীলা চ্যাটার্জী, অনিলা চ্যাটার্জী, মুকুল সেন, নির্মলা ঘোষ, অপরাজিতা ঘোষ প্রমুখ। এখানে লাঠি খেলা, সাইকেল ও নৌ-চালনা শিক্ষা দেওয়া হত। নানাবিধ শরীরচর্চার ব্যবস্থাও ছিল। কাজেই পুলিসের কড়া নজর এসে পড়তে দেরি হল না। শাসানি, ধমকানি ও জুলুম চলে কর্মীদের উপর এবং প্রতিষ্ঠাত্রীর উপর। ছেলে-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে আটক রাখতে থাকে।
বিপ্লবী শান্তিসুধা ঘোষ কর্তৃক হরিজন বিদ্যামন্দির প্রতিষ্ঠা
পুলিসের কড়া দৃষ্টিকে একটু নরম করবার প্রচেষ্টায় তারা নির্দোষ একটি ‘হরিজন বিদ্যামন্দির’ প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন শক্তিসংঘের কার্যকলাপ যথাসম্ভব এই বিদ্য়ামন্দিরের ঘরে বসেই পরিচালিত হত।
স্বাধীনতা সংগ্রামে শান্তিসুধা ঘোষ
১৯৩০ সাল থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে অহিংসপন্থী ও বিপ্লবপন্থী সক্রিয় পুরুষ কর্মীগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করাতে বড় থেকে ছোট পর্যন্ত অধিকাংশই গ্রেপ্তার হয়ে যান। সুতরাং মহিলা কর্মীদের মধ্যে শান্তিসুধা ঘোষ প্রমুখ যাঁরা তখন বাইরে ছিলেন তাঁদের উপরই অনেকখানি কাজের ভার এসে পড়ে। কর্মনিদেশও তাঁরাই দিতেন। নতুন অনেক কর্মী এগিয়ে এলেন। এই ভাবে শান্তিসুধা ঘোষের কিছুদিন বরিশালে কেটে গেল।
মহিলা কর্মীদের একত্রিত করার কাজে শান্তিসুধা ঘোষ
১৯৩২ সালের জুলাই মাসে ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন কলেজের অধ্যাপনার কাজ নিয়ে শান্তিসুধা ঘোষ কলকাতা চলে আসেন। এখানে এসে কল্যাণী দাস-এর সঙ্গে তিনি কাজে যুক্ত হন। তখন দেশের সর্বত্র ব্যাপক গ্রেপ্তারের পর যে মুষ্টিমেয় মহিলা কর্মী পৃথক পৃথক ভাবে কাজ করতে চেষ্টা করছিলেন তাঁদের সকলকে একত্রিত ও সংঘবদ্ধ করতে প্রয়াস পান কল্যাণী দাস ও শান্তিসুধা ঘোষ। একদিকে এই সংযোগের প্রচেষ্টা, অন্যদিকে ছাত্রীসংঘের মারফত মহিলা সংগঠনের কাজ তাঁরা উৎসাহের সঙ্গে পরিচালিত করেন। কল্যাণী দাসের সাহচর্যে শান্তিসুধা ঘোষ গোপনে দীনেশ মজুমদার প্রমুখ বিপ্লবীদের সঙ্গে যুক্ত হন।
গ্রেপ্তার শান্তিসুধা ঘোষ
গ্রীন্ডলে ব্যাঙ্কের টাকা অপসারণ সম্পর্কে সন্দেহক্রমে পুলিস অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৩৩ সালের ১১ই নভেম্বর ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে শান্তিসুধা ঘোষকেও এই সম্পর্কে সন্দেহক্রমে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে মাসখানেক রাখে প্রেসিডেন্সি জেলে। কিন্তু ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য তাঁকে জামীনে খালাস দিতে হয়।
স্বগৃহে অন্তরীণ শান্তিসুধা ঘোষ
১৯৩৪ সালের ২রা মে তাঁকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে বরিশালে ও পুরীতে স্বগৃহে অন্তরীণ করে রাখে। ১৯৩৭ সালে তিনি মুক্তি পান।
অধ্যাপনার কাজে শান্তিসুধা ঘোষ
১৯৩৮ সালের মার্চ মাসে তিনি বরিশাল বি. এম. কলেজের অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন। সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারী থাকায় শান্তিসুধা ঘোষ তখনো বি. এম. কলেজে অধ্যাপনার কাজে যোগ দিতে পারেন নি। ১৯৪৫ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর তিনি পুনরায় ঐ কলেজে প্রবেশ করেন।
বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার শান্তিসুধা ঘোষ
সে সময় সেখানকার জনসাধারণের অনুরোধে তিনি বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৪২ সালের আগস্ট বা ভারত ছাড়ো আন্দোলন-এর সময় তিনি এই পদ ত্যাগ করেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ২৭শে সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ও জেলে নিয়ে যায়।
মন্বন্তরের বিভীষিকায় পীড়িত শান্তিসুধা ঘোষ
কিছুদিন পরে অসুস্থতার দরুন তাঁকে স্বগৃহে অন্তরীণ করা হয়। বছর খানেক পরে তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর চিকিৎসার্থে কলকাতা আসেন। কলকাতায় তখন মন্বন্তরের বিভীষিকা চলছে। সে বীভৎস দৃশ্য তাঁর মনকে পীড়িত করে তোলে।
শান্তিসুধা ঘোষ কর্তৃক মহিলা শিল্পভবন গঠন
তিনি ‘নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন’-এর ভারপ্রাপ্ত সদস্য হয়ে বরিশাল ফিরে গিয়ে প্রথমে একটি সেবাকেন্দ্র গঠন করেন। সেখান থেকে চাল, দুধ ও বস্ত্র বিতরণ করা হত। পরে ওই সেবাকেন্দ্রকে ‘মহিলা শিল্পভবন’ নামে দুঃস্থ মহিলাদের একটি শিল্পকেন্দ্রে পরিণত করা হয়। তার পরিচালিকা ছিলেন ইন্দুপ্রভা মজুমদার।
পশ্চিমবঙ্গে আসেন শান্তিসুধা ঘোষ
১৯৪৭ সালে বাংলা দ্বিখণ্ডিত হয়। শান্তিসুধা ঘোষের পিতামাতার পরলোকগমনের পর তিনি সেখানে প্রায় সম্পূর্ণ একলা হয়ে যান। ১৯৫০ সালে নিরুপায় শান্তিসুধা মাতৃভূমি ও কর্মভূমি বরিশালকে দূরে রেখে বাধ্য হয়ে চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গ-এ।
শান্তিসুধা ঘোষের সাহিত্য়ানুগ
সাহিত্যে তাঁর অনুরাগ সুপরিচিত। তাঁর রচনা প্রকাশিত হয় ‘জয়শ্রী’, ‘মন্দিরা’ ও অন্যান্য পত্রিকাতে। ‘গোলকধাঁধা’, ‘১৯৩০ সাল’, ‘নারী’ প্রভৃতি পুস্তক তিনি প্রকাশিত করেছেন নানা সময়ে।
প্রিন্সিপ্যাল শান্তিসুধা ঘোষ
এরপর শান্তিসুধা ঘোষ হুগলি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল।
দৃষ্টান্ত রুপে শান্তিসুধা ঘোষ
তাঁর রুগ্ন শীর্ণ দেহের উপরে মস্তবড় একটা মাথার নীচে বড় বড় চোখদুটোই কথা বলে। মুখের ভাষা দিয়ে কথা বোঝাবার তাঁর বেশী দরকার হয় না। মুখের চাইতে চোখ যে কত বেশী ভাষা প্রকাশ করতে পারে তার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত শান্তিসুধা ঘোষ।
উপসংহার :- শান্তিসুধা ঘোষের জীবন ও কর্ম বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন, নারী শিক্ষা এবং সমাজ পরিবর্তনের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি শুধু একজন বিপ্লবীই নন, বরং শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবিকা হিসেবেও তার অবদান চিরস্মরণীয়। নারীর আত্মনির্ভরতা, সাহসিকতা এবং স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তিনি যে সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তা আজও অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তার শিক্ষা ও সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য এক শক্তিশালী আদর্শ রেখে গেছেন। শান্তিসুধা ঘোষের আদর্শ, দর্শন ও সংগ্রামী চেতনা আমাদের সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার এবং শিক্ষা বিস্তারের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
(FAQ) বিপ্লবী শান্তিসুধা ঘোষ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য ?
শান্তিসুধা ঘোষ ছিলেন একজন বাঙালি বিপ্লবী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবিকা, যিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং নারী শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ করেন।
তিনি ১৯০৭ সালের ২৭ জুন বরিশালের আলোকানন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। এম.এ. পর্যায়ে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।
তিনি যুগান্তর দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নারীদের জন্য ‘শক্তিবাহিনী’ নামে সংগঠন গড়ে তোলেন। এছাড়া তিনি কয়েকবার গ্রেপ্তার ও অন্তরীণও হন।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: ‘১৯৩০ সাল’, ‘নারী’, ‘বীর সংগ্রামী সতীন্দ্রনাথ সেন’, এবং ‘জীবনের রঙ্গমঞ্চে’ (আত্মজীবনী)।
তিনি ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন কলেজ, আসানসোল মণিমালা গার্লস কলেজ এবং হুগলি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন।
তিনি ১৯৯২ সালের ৭ মে প্রয়াত হন।
দেশপ্রেম, নারী স্বাধীনতা, শিক্ষা ও সাহিত্যচর্চা ছিল শান্তিসুধা ঘোষের জীবনাদর্শের মূল ভিত্তি।