সিংহাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। সিংহাসন করার পদ্ধতি, সিংহাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
সিংহাসন
আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন সিংহাসন করার পদ্ধতি ও সিংহাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।
সিংহাসন করার পদ্ধতি বা প্রণালী
বজ্রাসনে বসে দু’হাঁটু দু’পাশে মেলে দিন। দু’হাত রাখুন হাঁটুর উপরে। পায়ের বুড়ো আঙ্গুল পরস্পর ঠেকে থাকবে এবং গোড়ালি থাকবে পাছার পাশে। শ্বাস গ্রহণের পর চিবুক বুকের কাছাকাছি নিয়ে বড় করে হাঁ করুন। শ্বাস বন্ধ রেখে জিভ যতটা সম্ভব বের করে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর মুখ বন্ধ করুন ও শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস নেওয়া ছাড়া নাক দিয়ে করবেন। এইভাবে ৫/৬ বার অভ্যাস করুন।
উপরোক্ত পদ্ধতিতে কিছুদিন অভ্যাসের পর জিভ বের করে টানা ……. অ্য….. শব্দ করতে করতে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। গলায় একটা কম্পনের মত অনুভূতি হবে। শ্বাস ছাড়া সম্পূর্ণ হলে, মুখ বন্ধ করে আবার নাক দিয়ে শ্বাস নিন। অভ্যাসের সময় গলা বা জিভ শুকিয়ে গেলে কিংবা গলায় অস্বস্তি হলে, ২/১ ঢোক জল খাওয়া যেতে পারে।
সিংহাসন করার উপকারিতা
জিভের জড়তাভাব কেটে যায়। তোতলামি ও গলার স্বরের দোষ ত্রুটি দূর করতে বিশেষ কার্যকরী। কন্ঠস্বর পরিষ্কার ও শ্রুতিমধুর হয়। সঙ্গীত-চর্চাকারীদের পক্ষে অবশ্য করণীয়। নিয়মিত অভ্যাসে হঠাৎ ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। টনসিলের দোষ আরোগ্যে সহায়ক। শ্রবণ যন্ত্রাদি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হাঁপানি রোগীদের পক্ষে উপকারী।