কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি

কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি (Nari Satyagraha Samiti) ১৯২৯–৩০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়, মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালি নারীকে প্রকাশ্যে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিবাদে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করা

Table of Contents

নারী সত্যাগ্রহ সমিতি

ঐতিহাসিক ঘটনা বা গল্পকলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি
প্রতিষ্ঠা সাল১৯২৯–১৯৩০
প্রতিষ্ঠা স্থানকলকাতা, ব্রিটিশ ভারত
প্রধান উদ্দেশ্যনারীদের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা
প্রধান নেতৃত্বউর্মিলা দেবী, জ্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলী, বিমলপ্রতিভা দেবী
অন্যান্য সদস্যইন্দুমতী গোয়েঙ্কা, শোভরাণী দত্ত, আভা দে প্রমুখ
মূল কার্যক্রমবিদেশি পণ্যের বর্জন, পিকেটিং, লবণ আইন অমান্য, সভা আয়োজন
গুরুত্বপূর্ণ স্থানবড়বাজার, টালটুলি, পচা গলি, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক
রাজনৈতিক সংযোগভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস; নেহরুর সংবর্ধনার আয়োজন
আন্দোলনের ধরনঅহিংস অসহযোগ, সত্যাগ্রহ
সাফল্য/প্রভাবনারীর রাজনৈতিক জাগরণ, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ভাঙা, জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ
ঐতিহাসিক গুরুত্বনারীর প্রথম প্রকাশ্য রাজনৈতিক ভূমিকা ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান

কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি

ভূমিকা :- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নারীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক। এই আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি। ১৯২৯–৩০ সালে গঠিত এই সংগঠনটি মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি নারীদেরকে ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। তখনকার সমাজে নারীরা মূলত গৃহবন্দি, পর্দানশীন ও সামাজিকভাবে অন্তরালেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে এই সমিতি নারীদের ঘরের বাইরে এনে রাজনৈতিক প্রতিবাদের অগ্রভাগে দাঁড় করায়।

স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীর সীমাবদ্ধ অংশগ্রহণ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রথমদিকে খুব সীমাবদ্ধ হলেও, সংগ্রাম যতই জনগণের মধ্যে প্রসার লাভ করে ততই অধিক সংখ্যায় তাঁরা সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসছিলেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের সময়ে প্রথম অগ্নিযুগের এবং ১৯১৪ সালের দ্বিতীয় অগ্নিযুগের বজ্রসাধনায় অতি অল্পসংখ্যক নারী সহায়তা করলেও তার প্রভাব কম ছিল না।

দেশসেবায় প্রস্তুত বহু নারী

১৯২১ সালের অসহযোগ আন্দোলনে যখন বাসন্তী দেবী, উমিলা দেবী প্রমুখের প্রেরণায় নারী বাইরে এসে আন্দোলনে যোগদান করেন তখন দেখা গেল এই অপেক্ষাকৃত সরল পথে দেশসেবা করতে অনেক নারী সহজেই প্রস্তুত।

বেগবান নারীজাগরণ

ধীরে ধীরে নারীজাগরণ বেগবান হতে থাকে। ১৯৩০ এবং ১৯৩২ সালে এই জাগরণের বন্যা কূল ছাপিয়ে ক্রমশঃই উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। গান্ধীজীর আহ্বানে সাধারণ নারী কাতারে কাতারে বেরিয়ে এসে আন্দোলনে যোগদান করেন।

ভারতের নারী সমাজের প্রতি গান্ধীজির মনোভাব

১৯৩০ সালে গান্ধীজী নারীকে অহিংস আন্দোলনে পুরুষের অপেক্ষা অধিক যোগ্য বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁদের তিনি বিদেশী বস্ত্রের দোকানে পিকেটিং করতে এবং আইন অমান্য় করতে আহ্বান করেছিলেন। ভারতের নারী শত শত বছরের জড়তা কাটিয়ে জেগে উঠলেন। যেখানেই সুবিধা পেয়েছেন সেখানেই তাঁরা সত্যাগ্রহ করে কারাবরণ করেছেন।

নারী সত্যাগ্রহ সমিতি প্রতিষ্ঠা

১৯৩০ সালের ১৩ই মার্চ বাংলাদেশ-এর কয়েকজন কংগ্রেসকর্মী এবং কংগ্রেস নেত্রী কলিকাতায় ‘নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’ নামে একটি সমিতি গঠন করেন। এই সমিতি কংগ্রেসের বাইরে ছিল।

বাংলার নারী সত্যাগ্রহ সমিতির সম্পাদিকা ও সভানেত্রী

এই সমিতির সভানেত্রী ছিলেন উর্মিলা দেবী; সহকারী সভানেত্রী মোহিনী দেবী, জ্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলী, নিস্তারিণী দেবী, অশোকলতা দাস এবং হেমপ্রভা দাশগুপ্ত; যুগ্ম সম্পাদিকা শান্তি দাস (কবীর) এবং বিমলপ্রতিভা দেবী; সমিতির সদস্যা ইন্দুমতী গোয়েঙ্কা, সরলাবালা সরকার, অম্বালিকা দেবী, জ্যোৎস্না মিত্র, সজ্জন দেবী, মানসনলিনী দেবী, প্রীতি দাস, সুষমা দাশগুপ্ত প্রমুখ।

নারী সত্যাগ্রহ সমিতির সদস্যাদের সত্যাগ্রহ

সমিতিতে যোগদান করে বহু বাঙালী, গুজরাটী, মারোয়াড়ী, পাঞ্জাবী, উত্তরপ্রদেশী, বিহারী প্রভৃতি বিভিন্ন প্রদেশীয় মহিলাগণ সত্যাগ্রহ করে বন্দীজীবন যাপন করেন। অবাঙালী মহিলাগণ প্রধানত ছিলেন কলকাতা নিবাসী।

বাংলার নারী সত্যাগ্রহ সমিতির কার্যধারা

এই সমিতির কার্যধারা ছিল সভা ও শোভাযাত্রা পরিচালিত করা, বিদেশী বস্ত্রের দোকানে এবং মদের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পিকেটিং করা। বড়বাজারের সদাসুখ কাট্টা, মনোহরদাস কাট্টা, পচাগলি, সুতাপটি, গ্রান্ট স্ট্রীট, চাঁদনী, ক্রস স্ট্রীট, বৌবাজার ও নিউমার্কেট প্রভৃতি স্থানে গিয়ে দোকানের সামনে তাঁরা পিকেটিং করতেন।

নারী সত্যাগ্রহ সমিতির সদস্যাদের পিকেটিং

পিকেটিং-এর প্রভাব এত গভীর হয়েছিল যে, বহু দোকানের বিলাতী মাল বিক্রী তখন একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুঁজিপতিদের বিদেশী মালগুলি গুদাম, কুঠী ও গদীতেই বস্তাবন্দী হয়ে রইল। বড়বাজারের বিলাতী বাজার পুলিস এবং মিলিটারীর ছাউনীতে পরিণত হল। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিসের কড়া দৃষ্টির সামনে মহিলাগণ পিকেটিং করতেন।

মরিয়া নারী সমাজ

পুলিস তাঁদের দলে দলে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে যেতো। পুলিসের ভ্যান সব সময় বড়বাজারে মজুত থাকত গ্রেপ্তার করবার জন্য। কিন্তু পুলিস ও মিলিটারী ভয় দেখিয়ে নারীদের নিরস্ত করতে পারেনি। পুলিস যতই কঠিন শাস্তি দিতে গেছে, নারী ততই মরিয়া হয়ে আরো দলে দলে এগিয়ে এসেছেন।

নারী সত্যাগ্রহ সমিতির শোভাযাত্রা

  • (১) শোভাযাত্রার একদিনের ঘটনা এখানে উল্লেখযোগ্য। ১৯৩০ সালের ২২শে জুন দেশবন্ধুর বার্ষিক শ্রাদ্ধতিথি দিবসে সমস্ত কলকাতা শহরে ১৪৪ ধারা জারী ছিল। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে ‘নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’ সেদিন শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে।
  • (২) শোভাযাত্রা চলেছিল কলেজ স্ট্রীট থেকে দেশবন্ধু পার্ক পর্যন্ত। অসংখ্য পুলিস, সার্জেন্ট ও ঘোড়সওয়ার বেষ্টিত বিরাট শোভাযাত্রা সেদিন রণাঙ্গনের সৃষ্টি করেছিল। কলিকাতা শহরের বুকের উপর নারী তখন রণরঙ্গিণী মূর্তি ধারণ করে সত্যাগ্রহীদের পদদলিত করতে উদ্যত ঘোড়াকে রুখেছেন তার লাগাম ধরে ঝুলে পড়ে; আলুথালু কেশ তাঁদের খুলে পড়েছে, দেহমনের অসীম শক্তি যেন ফেটে বেরিয়ে আসছে।
  • (৩) পুলিসের নির্মম অত্যাচার থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করতে সবিক্রমে আটকাচ্ছেন তাঁরা পুলিসের লাঠিকে, ঘোড়াকে ও বেটনকে। ঘোড়সওয়ার পুলিস ও সার্জেন্ট তখন অত্যাচারের নির্মমতা সম্বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। সেদিনের দৃশ্য বর্ণনার বাইরে শুধু যে দেখেছে সেই জানে।
  • (৪) ক্রমে শোভাযাত্রা এসে পৌঁছাল দেশবন্ধু পার্কে। সেখানেও পার্ক ঘেরাও করে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশ শক্তি। জীবন তুচ্ছ করে অগণিত নরনারী ১৪৪ ধারা ভেঙে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলেন জলস্রোতের মতো। সার্জেন্ট, ঘোড়সওয়ার ও পুলিস ঝাঁপিয়ে পড়ল তাঁদের উপর। নারী সেদিন অকুতোভয়ে কখনো ঘোড়ার পদতলে পিষ্ট হচ্ছেন, কখনো শুয়ে পড়ে ঘোড়ার অগ্রগতি ব্যর্থ করছেন, কখনো পুলিসের বেটনে আহত হচ্ছেন।

সভানেত্রী উর্মিলা দেবীর ভাষণ

এইভাবে উত্তেজিত ও উদ্বেলিত জনসমুদ্রের সামনে বক্তাগণ বক্তৃতা দিতে থাকেন। সভানেত্রী উর্মিলা দেবী তাঁর ভাষণে দেশবন্ধুর জীবনের আদর্শ ব্যক্ত করেন। অবশেষে যুগ্ম-সম্পাদিকা শান্তি দাস (কবীর) ও বিমলপ্রতিভা দেবীর সঙ্গে বিশাল জনতা বন্দেমাতরম ধ্বনি দিয়ে গগন বিদীর্ণ করেন ও সভা ভঙ্গ হয়।

মনুমেন্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

  • (১) ১৯৩১ সালের ২৬শে জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষ্যে, যে ঘটনা ঘটেছিল তাও অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতা দিবসের দু-তিন দিন আগেই বহু নেতাকে ইংরেজ সরকার গ্রেপ্তার করে। ২৬শে জানুয়ারি প্রাতে কলকাতার সমস্ত বড় বড় পার্ক এবং অক্টারলোনী মনুমেন্ট অজস্র পুলিস এবং ঘোড়সওয়ার ঘিরে রাখে যাতে সেখানে গিয়ে কেউ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে না পারে।
  • (২) কিন্তু পুলিস ও ঘোড়সওয়ার বাহিনী অগ্রাহ্য করে, তাদের ব্যূহ ভেদ করে শত শত মেয়েরা মনুমেন্টের তলায় পৌঁছবার জন্য অগ্রসর হন। পুলিসের লাঠিচার্জের আঘাতে, ঘোড়ার পদতলে বহু নারী আহত ও পিষ্ট হয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু ওরই ভিতর থেকে দু-চারজন নারী মাটিতে পড়ে আহত হয়েও আবার উঠে দৌড়ে গিয়ে মনুমেন্টের তলায় পৌঁছেই উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের জাতীয় পতাকা, ঘোষণা করেছেন স্বাধীন ভারতের জয়ধ্বনি।

ভারতের অপরাজেয় নারী শক্তি

তারপর শুরু হয় দলে দলে নারী পুরুষের গ্রেপ্তার। পতাকা উত্তোলন করতে চলেছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁকে পথে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী রোড পার হতেই গ্রেপ্তার করে সর্বাগ্রে। সেদিন যদি মহিলাগণ পুলিসের নির্মম নির্যাতনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তারই ভিতর থেকে ছুটে গিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করতেন তবে স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের পরাজয়েরই সূচনা করত। কিন্তু ভারতের নারী অপরাজেয় শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের আপন শক্তি স্ফূরণের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় শক্তি জাগরিত হয়েছে।

মতিলাল নেহেরু প্রশংসা

উপরের ঘটনাটি যখন কংগ্রেসের ডিক্টেটার পণ্ডিত মতিলাল নেহেরুকে জানানো হল, তিনি বলে উঠলেন, “সাবাস! তোমাদের কাছে এই আশাই তো করেছিলাম।”

নারী সত্যাগ্রহ সমিতির ঐতিহাসিক গুরুত্ব

(১) নারীর প্রকাশ্য রাজনৈতিক অংশগ্রহণ

প্রথাগতভাবে পর্দায় আবদ্ধ মাঝবিত্ত নারী প্রথমবারের মতো স্বচ্ছন্দে ও সাহসের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিবাদে অংশ নেন, যা সামাজিক অনুভূতিতে একটি বিশাল পরিবর্তন এনে দেয় ।

(২) ভাবমূর্তি পরিবর্তন

উর্মিলা দেবী ও অন্যান্য নেত্রীর সংগ্রাম সমাজে নারীর রাজনৈতিক সচেতনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

(৩) অনুপ্রেরণা

পরবর্তী নারী আন্দোলনের জন্য এই সমিতি প্রগতিশীল বীজ রোপণ করে—নারীর মর্যাদা, সমান অধিকার ও রাষ্ট্রনেতৃত্বে তারা সক্ষম, সে বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

    উপসংহার :- কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি ছিল এক সাহসী পদক্ষেপ যা মধ্যবিত্ত বাঙালি নারীদের ঘরে থেকে পথের এনে দিল, এবং ব্রিটিশ বিরোধী অহিংস আন্দোলনে তাঁদের অবিচ্ছেদ্য মনোভাব প্রতিষ্ঠা করল। এটি ভারতীয় নারী আন্দোলনের একটি স্মরণীয় অধ্যায়, যা পরবর্তী মেয়েদের পথ দেখায়।

    (FAQ) কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য ?

    ১. কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

    কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতি ১৯২৯–১৯৩০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ২. নারী সত্যাগ্রহ সমিতির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?

    নারীদের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা এবং অহিংস সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।

    ৩. নারী সত্যাগ্রহ সমিতির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে কারা ছিলেন?

    উর্মিলা দেবী, জ্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলী, বিমলপ্রতিভা দেবী, ইন্দুমতী গোয়েঙ্কা প্রমুখ।

    ৪. কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতির প্রধান কার্যকলাপ কী ছিল?

    বিদেশি পণ্যের বিরুদ্ধে পিকেটিং, সভা আয়োজন, লবণ আইন অমান্য, বিদেশি কাপড় ও মদের দোকানে প্রতিবাদ।

    ৫. কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারী সত্যাগ্রহ সমিতির আন্দোলন সংঘটিত হয়?

    বড়বাজার, পচা গলি, টালটুলি, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক (বর্তমানে গ্রিন উদ্যান)।

    ৬. নারী সত্যাগ্রহ সমিতির সদস্যরা কী ধরনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন?

    তাঁরা গ্রেপ্তার, পুলিশি নিপীড়ন ও সামাজিক প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে আন্দোলনে অংশ নেন।

    ৭. কলকাতা নারী সত্যাগ্রহ সমিতির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী?

    নারী সত্যাগ্রহ সমিতি নারীদের ঘর থেকে বের করে এনে রাজনৈতিক সংগ্রামে নেতৃত্বদানের সুযোগ তৈরি করে এবং পরবর্তীকালে নারী আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

    ৮. নারী সত্যাগ্রহ সমিতির সঙ্গে কংগ্রেসের কী সম্পর্ক ছিল?

    নারী সত্যাগ্রহ সমিতি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল এবং নেতাজী ও নেহরুর মতো নেতাদের সংবর্ধনা দেয়।

    ৯. এই সমিতির আন্দোলন কোন বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ ছিল?

    অসহযোগ আন্দোলন ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমিতি কাজ করেছিল।

    ১০. সমিতির প্রভাব আজকের সমাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

    এটি ভারতীয় নারীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জাগরণের এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয়।

    Leave a Comment