সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা প্রসঙ্গে সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা প্রকাশের খবর, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার পরিচালক, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার আবির্ভাবে জ্ঞানান্বেষণ পত্রিকার লেখনী, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা সম্পর্কে গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার প্রকাশনা স্থান, গোড়ায় সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক, ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকার সম্পাদক শ্রীনাথ রায়ের প্রতি অত্যাচার, ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকার সম্পাদক গৌরীশঙ্কর, অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা সম্বাদ ভাস্কর, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যুক্ত ব্যক্তি ও সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার সম্পাদক ক্ষেত্রমোহন ভট্টাচার্য সম্পর্কে জানবো।
সাপ্তাহিক সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা প্রসঙ্গে সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার ভাষা, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার প্রকাশকাল, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার সম্পাদক, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার প্রকাশনা স্থান, সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক ও সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার পরিচালক সম্পর্কে জানব।
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা
ঐতিহাসিক পত্রিকা | সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা |
ধরণ | সাপ্তাহিক |
ভাষা | বাংলা |
প্রকাশকাল | মার্চ ১৮৩৯ খ্রি |
প্রথম সম্পাদক | অনাথ রায় |
ভূমিকা :- ১৮৩৯ সালের মার্চ মাসে (চৈত্র, ১২৪৫) ‘সম্বাদ ভাস্কর’ নামে সাপ্তাহিক পত্র অনাথ রায়ের সম্পাদকত্বে সিমলা থেকে প্রকাশিত হয়।
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা প্রকাশের খবর
২১ মার্চ ১৮৩৯ তারিখের ‘ফ্রেণ্ড-অব- ইণ্ডিয়া’ পত্রে প্রকাশিত হয়,
Friday, March 15… A fresh Bengali Paper, the Sambad Bhaskar, has just started into existence in Calcutta.
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার পরিচালক
সম্পাদকরূপে শ্রীনাথ রায়ের নাম থাকিলেও প্রকৃতপক্ষে সম্বাদ ভাস্করের পরিচালক ছিলেন গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ (গুড়গুড়ে ভট্টচার্য)।
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার আবির্ভাবে জ্ঞানান্বেষণ পত্রিকার লেখনী
এই পত্রিকার আবির্ভাবে ‘জ্ঞানান্বেষণ’ লিখিয়াছিল, “পূর্বে আমাদের যে পণ্ডিত ছিলেন তিনি ভাস্কর নামক সংবাদ কাগজ প্রকাশ করিয়াছেন ঐ সম্বাদ পত্র অতি উত্তম হইয়াছে…”
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা সম্পর্কে গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য
গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মতে “সিমূলের রাধাকৃষ্ণ নিজের চতুর্থ পুত্র জীবনকৃষ্ণের আনুকূল্যে শ্রীনাথ রায় ‘সম্বাদ ভাস্কর’ প্রকাশ করেন।”
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার প্রকাশনা স্থান
শহর কলকাতার শিমুলিয়ার হেদুয়ার উত্তর বড় রাস্তার ধারে রায়ের পুষ্করিণীর পশ্চিমাংশে শ্রীযুত বাবু আশুতোষ দেব মহাশয়ের বাড়ীতে প্রতি মঙ্গলবারে ভাস্কর যন্ত্রে প্রকাশ হয় সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
গোড়ায় সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক
এই কথা সত্য যে, গোড়া থেকেই আঁদুল-নিবাসী মথুরানাথ মল্লিকের কনিষ্ঠ ভ্রাতা শ্রীনাথ মল্লিক ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৮৪৪ সনের সেপ্টেম্বর মাসে তার মৃত্যু হলে গৌরীশঙ্কর লিখেছিলেন, “… শ্রীনাথ বাবু আমাদেরকে টাকা দিয়ে প্রতিপালন করেছেন, আমাদের সেই প্রতিপালক মিত্ৰ গেলেন।”
‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকার সম্পাদক শ্রীনাথ রায়ের প্রতি অত্যাচার
এই পত্রিকা প্রকাশের অল্প দিন পরে সম্পাদক শ্রীনাথ রায়কে নিয়ে কলকাতায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। ১৮৪০ সালের ৯ই জানুয়ারি প্রাতঃকালে শ্রীনাথ রায় যখন পটলডাঙ্গার চৌমাপার কাছে গাড়ীতে উঠিতে যাইতেছেন, সেই সময় আঁদুলের রাজার কুড়ি পঁচিশ জন সশস্ত্র প্রহরী হঠাৎ তাকে আক্রমণ করে মারপিট করতে করতে আঁদুলে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে অনেক অত্যাচার সহ করতে হয়েছিল।
‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকার সম্পাদক গৌরীশঙ্কর
শ্রীনাথ রায়ের অনুপস্থিতিকালে গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ ‘সম্বাদ ভাস্কর’ সম্পাদনা করেছিলেন। মকদ্দমার পর শ্রীনাথ রায় অল্প দিনই জীবিত ছিলেন। ১৮৪০ সালের অক্টোবর মাসে তার মৃত্যু হয়।
অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা সম্বাদ ভাস্কর
সম্বাদ ভাস্কর প্রথমাবস্থায় সাপ্তাহিক ছিল ১৪ জানুয়ারি ১৮৪৮ (২ মাঘ ১২৫৪ ) থেকে এটি অৰ্দ্ধ-সাপ্তাহিকে পরিণত হয়। পরের বছর ‘সম্বাদ ভাস্কর’ বারত্রয়িক পত্রে পরিণত হয়।
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যুক্ত ব্যক্তি
‘ভদ্রার্জুন’ প্রণেতা তাবাচরণ শিককার ‘সম্বাদ ভাস্করে’র সম্পাদকীয় বিভাগের সাথে যুক্ত ছিলেন, “যিনি আমাদের যন্ত্রালয়ে বঙ্গভাষায় ইংরাজির অনুবাদ করতেন।” ১৮৫২ সালের কিছু পূর্বে তিনি নিজেও ‘বিদ্যারত্ন’ নামে একটি অল্পায়ু পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকার সম্পাদক ক্ষেত্রমোহন
৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৯ (২৪ মাঘ ১২৬৫) তারিখে অপুত্রক গৌরীশঙ্করের মৃত্যু হয়। অতঃপর তাঁর পালিত পুত্র ক্ষেত্রমোহন ভট্টাচার্য্য ‘সম্বাদ ভাস্কর’ প্রকাশ করতে থাকেন
উপসংহার :- গৌরীশঙ্করের সম্পাদনায় ‘সম্বাদ ভাস্কর’ একখানি শ্রেষ্ঠ সমাচারপত্রে পরিণত হয়েছিল। সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়েছিল।
(FAQ) সম্বাদ ভাস্কর পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
সাপ্তাহিক পত্রিকা।
অনাথ রায়।
মার্চ ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে।