সুবোধিনী পত্রিকা প্রসঙ্গে সুবোধিনী পত্রিকার প্রকাশনা সংবাদ প্রকাশ, সুবোধিনী পত্রিকার প্রথম সংখ্যার বিষয়, সুবোধিনী পত্রিকার সমালোচনা ও সুবোধিনী পত্রিকা সম্বন্ধে অক্ষয়চন্দ্র সরকারের বর্ণনা সম্পর্কে জানবো।
পাক্ষিক সুবোধিনী পত্রিকা প্রসঙ্গে সুবোধিনী পত্রিকার ভাষা, সুবোধিনী পত্রিকার ধরণ, সুবোধিনী পত্রিকার প্রকাশকাল, সুবোধিনী পত্রিকার সম্পাদক, সুবোধিনী পত্রিকার সম্বন্ধে অক্ষয়চন্দ্র সরকারের বর্ণনা ও সুবোধিনী পত্রিকার সমালোচনা সম্পর্কে জানব।
সুবোধিনী পত্রিকা
| ঐতিহাসিক পত্রিকা | সুবোধিনী পত্রিকা |
| ধরণ | পাক্ষিক পত্রিকা |
| ভাষা | বাংলা |
| প্রকাশকাল | ১৩ জানুয়ারি ১৮৫৮ খ্রি |
| সম্পাদক | রামচন্দ্র দিচ্ছিত |
ভূমিকা :- ১৮৫৮ সালের ১৩ই জানুয়ারি (১ মাঘ ১২৬৪) রামচন্দ্র দিচ্ছিতের সম্পাদনায় চুঁচুড়া থেকে প্রকাশিত হয় সুবোধিনী নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা।
সুবোধিনী পত্রিকার প্রকাশনা সংবাদ প্রকাশ
এই পত্রিকার সমালোচনা প্রসঙ্গে ‘এডুকেশন গেজেট ও সাপ্তাহিক বার্তাবহ’ পরবর্তী ২২এ জানুয়ারি লিখেছিল, “চুঁচুড়া নগরে প্রকাশিত সুবোধিনী নাম্নী এক পাক্ষিকী পত্রিকার প্রথম সংখ্যা আমরা প্রাপ্ত হইলাম, বর্ত্তমান মাঘ মাসের প্রথম দিবসে ইহার জন্ম হইয়াছে। সম্পাদকের নাম শ্রীরামচন্দ্র দিচ্ছিত। পত্রিকার মাসিক মূল্য ১ আনা।”
পাক্ষিক সুবোধিনী পত্রিকার প্রথম সংখ্যার বিষয়
এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রকাশিত হয়েছে। যেমন – ঈশ্বর স্তোত্র, পত্রিকা প্রকাশের অভিপ্রায়, সত্যমায়তনং, নীতিসার, শান্তিশতক, গোলেস্তাঁর অনুবাদ, ভারতবর্ষীয় কুটির, মানসের প্রতি হিতোপদেশ।
সুবোধিনী পত্রিকার সমালোচনা
এই পত্রিকার সমালোচনা করে ‘এডুকেশন গেজেট ও সাপ্তাহিক বার্তাবহ’ পরবর্তী ২২এ জানুয়ারি লিখেছিল, “আমরা প্রার্থনা করি এবম্প্রকার পত্র নিকর বাঙ্গলা দেশের নানা স্থানে পদ্মবনবৎ প্রকাশিত হউক। পরন্তু সুবোধিনীর উচিত, জন্মভূমি চুঁচুড়া এবং তদন্তঃপাতি প্রদেশের সমাচার উপহার প্রদান পূর্বক পাঠকগণকে পরিতৃপ্ত করেন, ইহাতে বিশেষ উপকার এই যে সংবাদ লিখনের অভ্যাস সুন্দররূপ হইলে তাহার ভাষার লালিত্য বৃদ্ধি সহ সাধারণের কথঞ্চিৎ উপকার সাধন হইবেক।”
পাক্ষিক সুবোধিনী পত্রিকা সম্বন্ধে অক্ষয়চন্দ্র সরকারের বর্ণনা
এই পত্রিকা সম্বন্ধে অক্ষয়চন্দ্র সরকার “পিতা-পুত্র” প্রবন্ধে যেটুকু সংবাদ দিয়াছেন, তা নিম্নরূপ। –
“সুবোধিনীনামে একখানি সাপ্তাহিক সংবাদ পত্র কলেজের অতি নিকটে চৌমাথা হইতে প্রকাশিত হয়। সম্পাদক রামচন্দ্র দিচ্ছিত – বাঙ্গালার হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণ, ওবারশিয়র পরীক্ষা পাস করা। সংস্কৃত, বাঙ্গালা বেশ জানিতেন। সরল, প্রাঞ্জল, বিশুদ্ধ সাধুভাষায় সুবোধিনী ছাপা হইত। ফুলস্ক্যাপ আকারের কাগজ, দুই স্তম্ভে। যাহারা সাধারণী দেখিয়াছেন, তাহারা এখন সহজেই বুঝিতে পারিবেন যে,সুবোধিনী আকারে প্রকারে সাধারণীর আদর্শ।”
উপসংহার :- সাধারণত তৎকালীন প্রচলিত বিষয়ে মানুষকে অবগত করার উদ্দেশ্যে সুবোধিনী পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয়। পত্রিকাটি সরল, প্রাঞ্জল ও বিশুদ্ধ ভাষায় ছাপা হত।
(FAQ) সুবোধিনী পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
পাক্ষিক পত্রিকা।
রামচন্দ্র দিচ্ছিত।
১৩ জানুয়ারি ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।
