পশ্চিমোত্তানাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। পশ্চিমোত্তানাসন করার পদ্ধতি, পশ্চিমোত্তানাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
পশ্চিমোত্তানাসন
আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন পশ্চিমোত্তানাসন করার পদ্ধতি ও পশ্চিমোত্তানাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।
পশ্চিমোত্তানাসন করার পদ্ধতি বা প্রণালী
দু’পা সামনে সোজা প্রসারিত করে বসুন। সামনে ঝুঁকে দু হাত দিয়ে দু’পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরুন। মাথা হাঁটুতে ও কনুই মাটিতে ঠেকাবার চেষ্টা করুন। পেট ও বুক উরুর সাথে ঠেকে থাকবে। প্রথম দিকে হুবহু ছবির মত না হলেও ক্ষতি নেই; যতটা পারা যায় সামনে ঝুঁকে ঐ অবস্থায় থেমে থাকতে হবে। প্রয়োজনে প্রথমে দিকে হাঁটু ভেঙ্গে করা যেতে পারে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে ৩০/৪০ সে. করে ৪/৫ বার করুন।
পশ্চিমোত্তানাসন করার উপকারিতা
মেরুদন্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। পেট ও তলপেটের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে দেহকে সুঠাম ও সুশ্রী করে। যাঁদের পাতলা পায়খানা (ডায়ারিয়া) হয়, কিছুদিন অভ্যাসে উপকার পাবেন। পাকস্থলী, লিভার, প্লীহা প্রভৃতির কাজ ভাল হয়, হজম ক্ষমতা বাড়ে। আমাশয় রোগীদের পক্ষে উপকারী। মূত্রগ্রন্থির কাজ ভাল হয়। সায়াটিক নার্ভে টান পড়ায় ঐ নার্ভের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
নিষেধ – অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও হার্নিয়া রোগীদের এবং যাঁদের লিভার বেড়েছে, তাঁদের পক্ষে পশ্চিমোত্তানাসন করা উচিৎ নয়।