যোগাসন: সর্বাঙ্গাসন

সর্বাঙ্গাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। সর্বাঙ্গাসন করার পদ্ধতি, সর্বাঙ্গাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

সর্বাঙ্গাসন

আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন সর্বাঙ্গাসন করার পদ্ধতি ও সর্বাঙ্গাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।

সর্বাঙ্গাসন করার পদ্ধতি বা প্রণালী

চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। দু’পা জোড়া করে আস্তে আস্তে ওপরের দিকে তুলুন; প্রয়োজনে দু’হাতের সাহায্য নিন। এবার দু’হাত পিঠে রেখে কাঁধ থেকে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল পর্যন্ত এক সরলরেখায় আনুন। চিবুক বুকে লেগে থাকবে। ৩০/৪০ সে. করে ৩/৪ বার করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক। সর্বাঙ্গাসনের পরে দরকার। মৎস্যাসন করা ১২/১৩ বছরের নীচে ছেলে- মেয়েদের সর্বাঙ্গাসন করা উচিৎ নয়।

সর্বাঙ্গাসন করার উপকারিতা

নিয়মিত অভ্যাসে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গলদেশে অবস্থিত থাইরয়েড গ্ল্যান্ড অধিক কর্মক্ষম হওয়ায় থাইরক্সিন রস নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়; ফলে, দেহ নীরোগ থাকে ও হঠাৎ কোনও রোগ-আক্রমণ হতে পারে না। দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টনসিলের দোষ দূর করে। কণ্ঠস্বর পরিস্কার হয়। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির সহায়ক। দেহ বিপরীতমুখী হওয়ায় অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাদির ভাল ব্যায়াম হয়। কোষ্ঠবদ্ধতা সেরে যায়। স্নায়ুদৌর্বল্য, মাথাধরা, অনিদ্রা দূর করে। ঘাড় ও কাঁধের পেশীর গঠন ভাল হয়। ভেরিকোজ ভেইনস্ আরোগ্যের সহায়ক।

Leave a Comment