যোগাসন: শবাসন

শবাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। শবাসন করার পদ্ধতি, শবাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

শবাসন

আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন শবাসন করার পদ্ধতি ও শবাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।

শবাসন করার পদ্ধতি

প্রণালী – চিৎ হয়ে শুয়ে হাত

দু’পাশে রেখে সমস্ত দেহ শিথিল করে দিন। হাতের তালু ওপর দিকে এবং দু’পায়ের মাঝে কিছুটা ফাক থাকবে। চোখ বন্ধ রেখে মন চিন্তা-শূন্য করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নিবদ্ধ করুন। শ্বাসকার্য ক্রমশঃ ধীর হয়ে আসবে ও দেহ অত্যন্ত হালকা বোধ হবে।

শবাসন করার উপকারিতা

সাধারণভাবে, প্রতিটি আসন অভ্যাসের পরে অল্প সময় এবং সবশেষে একটু বেশী সময় শবাসন করা দরকার। দেহের সমস্ত অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়, অধিক কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। বিশেষতঃ ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড বিশ্রাম পায়। সমস্ত দেহে রক্ত চলাচল ভালভাবে হয়। মানসিক উৎকণ্ঠা, চঞ্চলতা, অনিদ্রা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করতে বিশেষ কার্যকরী। মন অত্যন্ত ধীর-স্থির হয়, মানসিক একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। দৈহিক ক্লান্তি দূর করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শবাসন অবশ্য করণীয়।

আসন্ন ঘটনা সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় মানসিক উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনা হ্রাস করতে শবাসন বিশেষ কার্যকরী। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে ছাত্রছাত্রীদের শবাসন অভ্যাস করিয়ে দেখা গেছে, পরীক্ষার হলে তারা মানসিক চাপে (Mental Tension) ভুগেছে অনেক কম এবং প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় উদ্বেগহীনভাবে। স্বভাবতঃই পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

Leave a Comment