শলভাসন হল যোগাসন গুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। শলভাসন করার পদ্ধতি, শলভাসন করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
শলভাসন
আমরা এখন যোগাসন গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন শলভাসন করার পদ্ধতি ও শলভাসন করলে কি কি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানবো।
শলভাসন করার পদ্ধতি বা প্রণালী
উপুড় হয়ে শুয়ে হাতের তালু মেঝের দিকে করে দু’হাত উরুর নীচে রাখুন, কনুই যেন না ভাঙ্গে। দু’হাঁটু জোড়া ও সোজা রেখে দু’পা মাটি থেকে এক/দেড় ফুটের মত তুলুন। পায়ের আঙ্গুল বেশ টানটানভাবে রাখুন। চিবুক মাটিতে ঠেকে থাকবে। ২০/২৫ সে করে ৪/৫ বার করুন। শ্বাস- প্রশ্বাস স্বাভাবিক।
শলভাসন করার উপকারিতা
কোমরে বেশ চাপ পড়ে এবং দেহের নিম্নাংশের সুন্দর ব্যায়াম হয়। কোমরের ব্যথায় এই আসন খুবই কার্যকরী। লাম্বার স্পণ্ডিলাইটিস্ ও স্লিপড ডিস্ক সারাতে সাহায্য করে। পায়ের জোর বাড়ে। সায়াটিকার ব্যথা আরোগ্য হয়। পেট, পিঠ ও কোমরের গঠন ভাল হয়; অতিরিক্ত মেদ কমায়। পেট ও বুকের মাঝখানে অবস্থিত মধ্যচ্ছদা (ডায়াফ্রাম) পর্দার কাজ ভাল হওয়ায় পেট ও বুকের অভ্যন্তরস্থ যন্ত্রাদির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম ভাল হয়। ভুজঙ্গাসন ও শলভাসন মেয়েদের পক্ষে বিশেষ উপকারী।