জার প্রথম নিকোলাস

রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাস -এর সিংহাসনে আরোহণ, সময়কাল, ডিসেমব্রিস্ট বিদ্রোহ, চরিত্র, মতাদর্শ, শাসন নীতির বৈশিষ্ট্য, আভ্যন্তরীন নীতি, দমননীতি, পশ্চিম ভাবধারা রোধ, ধর্ম, গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে আইন সংহিতা, কৃষক উন্নয়ন, শিল্প বিস্তার, সাহিত্য, রুশীকরণ নীতি, বিদেশ নীতি, দুঃস্বপ্নের অধ্যায়, স্বৈরাচারী ও রক্ষণশীল ধারা, উদার ভাবধারার প্রবেশ ও তার মৃত্যু সম্পর্কে জানবো।

রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাস প্রসঙ্গে প্রথম নিকোলাসের সিংহাসনে আরোহণ, প্রথম নিকোলাসের রাজত্বকাল, প্রথম নিকোলাসের চরিত্র, প্রথম নিকোলাসের আমলে ডিসেমব্রিস্ট বা ডেকাব্রিস্ট বিদ্রোহ, প্রথম নিকোলাসের মতাদর্শ, প্রথম নিকোলাসের শাসন নীতির বৈশিষ্ট্য, প্রথম নিকোলাসের আভ্যন্তরীণ নীতি, প্রথম নিকোলাসের দমননীতি, প্রথম নিকোলাসের ধর্ম, প্রথম নিকোলাসের গুরুত্বপূর্ণ অবদান, প্রথম নিকোলাসের বিদেশ নীতি, প্রথম নিকোলাসের শাসনকাল দুঃস্বপ্নের অধ্যায়, প্রথম নিকোলাসের স্বৈরাচারী ও রক্ষণশীল ধারা ও জার প্রথম নিকোলাসের মৃত্যু।

Table of Contents

জার প্রথম নিকোলাস

ঐতিহাসিক চরিত্রজার প্রথম নিকোলাস
সময়কাল১৮২৫-১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ
পূর্বসূরিজার প্রথম আলেকজান্ডার
উত্তরসূরিজার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার
উল্লেখযোগ্য ঘটনাডিসেমব্রিস্ট বিদ্রোহ
জার প্রথম নিকোলাস

ভূমিকা:- ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে জার প্রথম আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে গোলমাল দেখা দেয়। প্রথম আলেকজান্ডার ছিলেন অপুত্রক। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দুই ভাই – কনস্টানটাইন এবং নিকোলাস সিংহাসনের বৈধ উত্তরাধিকারী হন। জার আলেকজান্ডার অবশ্য মৃত্যুর পূর্বে নিকোলাসকেই তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান।

জার পদের দাবিদার কনস্টানটাইন

বয়সের দাবিতে কনস্টানটাইন বড়ো হওয়ায় সিংহাসনের উপর তাঁর দাবি ছিল জোরালো। এছাড়া তিনি ছিলেন উদার, সৎ ও নিষ্ঠাবান। রুশ দেশপ্রেমিকরা তাই কনস্টানটাইনকে সিংহাসনে বসাতে সচেষ্ট হন। তাঁদের দাবি ছিল ‘কনস্টানটাইন ও কনস্টিটিউশন’।

জার প্রথম নিকোলাসের সিংহাসনে আরোহণ

নিকোলাস ছিলেন প্রতিক্রিয়াশীল, সংস্কার-বিরোধী এবং ষড়যন্ত্রপ্রিয়। কৈশোর থেকেই তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই কারণে সৈনিক-সুলভ কঠোরতা ও সংকীর্ণতা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস সিংহাসনে বসেন।

জার প্রথম নিকোলাসের শাসন কাল

১৮২৫-১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাশিয়ার জারের দায়িত্ব পালন করেন জার প্রথম নিকোলাস।

জার প্রথম নিকোলাসের আমলে ডিসেমব্রিস্ট আন্দোলন

বহু ক্ষুব্ধ দেশপ্রেমিক ও একদল রুশ সেনা ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর পেট্রোগ্রাড শহরে নতুন জারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সেখানকার মস্কো রেজিমেন্ট নতুন জারের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে অস্বীকার করে। ডিসেম্বর মাসে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হওয়ায় তা ডিসেমব্রিস্ট বা ডেকাব্রিস্ট বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

জার প্রথম নিকোলাসের চরিত্র

প্রথম নিকোলাস ছিলেন একজন ঘোরতর প্রতিক্রিয়াশীল শাসক। তিনি ছিলেন ঘোর রক্ষণশীল, সংস্কার-বিরোধী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি। তিনি সৈনিক হিসেবে জীবন শুরু করেন এবং স্বাভাবিকভাবেই সৈনিক-সুলভ কঠোরতা, সংকীর্ণতা ও বাস্তববোধ তাঁর চরিত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল।

জার প্রথম নিকোলাসের মতাদর্শ

মেটারনিখের মতো তিনি রক্ষণশীল রাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করতেন। বিপ্লব বা বিপ্লব থেকে উদ্ভূত কোনও মতাদর্শ বা পরিবর্তনকে তিনি মানতে পারেন নি। তাঁর মতে রাশিয়ার সকল সংকটের মূল হল পাশ্চাত্যকরণ।

জার প্রথম নিকোলাসের শাসন নীতির বৈশিষ্ট্য

তাঁর শাসননীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ছিল দৈবানুগৃহীত স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র, রক্ষণশীল ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ।

জার প্রথম নিকোলাসের অভ্যন্তরীণ নীতি

  • (১) তিনি ঈশ্বরানুগৃহীত রাজক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর মতে রাজা হলেন সর্বশক্তিমান, ঈশ্বরের প্রতিনিধি এবং অভ্রান্ত। শাসনকার্যে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল তাঁর স্বপ্নেরও অগোচর।
  • (২) তিনি রক্ষণশীল গোঁড়া গ্রিক খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। এই ধর্মমত প্রচার করেছিল যে, ক্যাথলিক বা প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্ম নিঃশেষিত। রাশিয়ার গ্রিক ধর্মই একমাত্র খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
  • (৩) এই সময় স্লাভ জাতি, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে রাশিয়ায় এক ধরনের নতুন জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠছিল। জাররা নিজেদের স্লাভ জাতির রক্ষক বলে দাবি করতেন এবং রাশিয়ার জনগণকে স্লাভ জাতীয়তাবাদ গ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হত।

জার প্রথম নিকোলাসের দমননীতি

  • (১) তাঁর শাসনব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল সর্বপ্রকার স্বাধীন চিন্তা ও কর্মের পথ বন্ধ করে দেওয়া। এই উদ্দেশ্যে ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘থার্ড সেকশন অব দি জারস্ ইম্পিরিয়াল চ্যান্সেলারি’ নামে গোয়েন্দা ও পুলিশ বিভাগের পুনঃপ্রবর্তন করে রাশিয়ায় চূড়ান্ত পুলিশরাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
  • (২) জেনারেল বেঙ্কেনডর্ফ-এর নেতৃত্বে এই গুপ্তবাহিনী সারা দেশে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে। বিনা বিচারে কারাদণ্ড, হত্যা ও নির্বাসন দ্বারা এই বাহিনী বিপ্লবী গুপ্ত সমিতিগুলির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়।
  • (৩) অধ্যাপক লিপসন ‘থার্ড সেকশন’-কে ‘রাশিয়ার শাসন ইতিহাসে অন্ধকারতম প্রতিষ্ঠান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর মতে, স্পেন -এর ইনকুইজিসন’-এর তুলনায় এই প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী কোনও অংশে কম নৃশংস ছিল না।
  • (৪) স্বাধীন চিন্তা ও সমালোচনার পথ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি ‘বোর্ড অব সেন্সরশিপ’ বা নিয়ন্ত্রণ পরিষদ স্থাপন করেন। শিক্ষামন্ত্রী কাউন্ট উভারভ ছিলেন এর সর্বেসর্বা। সংবাদপত্র ও স্বাধীন মতামত প্রকাশের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। সরকারের বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনার শাস্তি ছিল সাইবেরিয়ায় নির্বাসন।
  • (৫) স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হয়। শিক্ষার পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ছাত্রদের বিদেশে পঠন-পাঠন, বিদেশি অধ্যাপকদের রুশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উদারনৈতিক পাঠ্যবস্তুর চর্চা নিষিদ্ধ হয়।
  • (৬) তিনি দরিদ্র শ্রেণির মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের বিরোধী ছিলেন। কারণ, তিনি মনে করতেন যে, শিক্ষার বিস্তার তাদের মধ্যে জাগরণ আনবে। তিনি সামরিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন।

পশ্চিমী ভাবধারা রোধে জার প্রথম নিকোলাসের ভূমিকা

তিনি পশ্চিমী উদারতন্ত্রকে তাঁর প্রধান শত্রু বলে মনে করতেন। এই কারণে রাশিয়ায় পশ্চিমী ভাবধারার অনুপ্রবেশ রোধের দিকে তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল। বিদেশি পর্যটক ও পত্র-পত্রিকার রাশিয়ায় প্রবেশ এবং রুশ যুবকদের বিদেশ ভ্রমণ বা বিদেশে শিক্ষাগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। রাশিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবিধানিক আইন ও দর্শন-চর্চা নিষিদ্ধ হয়।

জার প্রথম নিকোলাসের ধর্ম

  • (১) ধর্মবিষয়ে রাশিয়ায় কোনও স্বাধীনতা ছিল না। তিনি গ্রিক গির্জার একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। এই ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হত এবং তার দীর্ঘ কারাদণ্ড হত। রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
  • (২) এক কথায় বলা যায় যে, মেটারনিখ যেমন জার্মানিঅস্ট্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করে স্বাধীন মতামত গঠন ও প্রকাশের পথ বন্ধ করেন, জার নিকোলাসও রাশিয়াতে তাই করেন। যুগধর্ম ও যুগচেতনাকে উপেক্ষা করে ক্ষয়িষ্ণু স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে এই সংগ্রামের জন্য অধ্যাপক লিপসন জার নিকোলাসকে ‘স্বৈরতন্ত্রের ডন কুইকজোট’ বলে অভিহিত করেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ অবদান

দেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল। যেমন –

(১) আইন সংহিতা

স্পেরানস্কি ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় তিনি রুশ আইনের একটি সংকলন গ্রন্থ বা আইন সংহিতা প্রস্তুত করেন।

(২) কৃষক উন্নয়ন

  • (ক) ব্যক্তিগতভাবে ভূমিদাস প্রথার বিরোধী হলেও এক্ষেত্রে তিনি কোনও মৌলিক পরিবর্তন সাধন বা ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। তিনি মনে করতেন যে, এই মুহূর্তে ভূমিদাস প্রথার উচ্ছেদ ঘটালে, তা রাশিয়ার পক্ষে ক্ষতিকারক হবে।
  • (খ) তিনি সম্রাটের খাস জমির ভূমিদাসদের জন্য কিছু কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বেশ কিছু বিদ্যালয়, চিকিৎসা-কেন্দ্র এবং উন্নয়ন-কেন্দ্র স্থাপন করেন। তার সত্ত্বেও কিন্তু তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করা সম্ভব হয় নি। পরবর্তীকালে এই পথ ধরে দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ভূমিদাসদের মুক্তি দিয়ে কৃতিত্বের অধিকারী হন।

(৩) শিল্পবিস্তার

তিনি শিল্প বিস্তারের কাজেও মন দেন। তাঁর শাসনকালে ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন ৭ গুণ বৃদ্ধি পায়। সুতিবস্ত্র ও চিনি শিল্পের যথেষ্ট বিকাশ ঘটে।

(৪) সাহিত্য

নিকোলাসের দমননীতির ফলে রুশ বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই যুগ হল এক সৃজনশীল অধ্যায়। এই আমলকে অনেকে রুশ সাহিত্যের অগাস্টিয়ান যুগ বলে অভিহিত করেছেন। নিকোলাস রুশ সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। এই সময় রুশ সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে দুটি ধারা দেখা যায়। যথা –

  • (ক) প্রাচীনপন্থী স্লাভ ধারা স্লাভেফিলদের আদর্শ ছিল রাশিয়ার প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। প্রথম ধারার সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দস্তয়েভস্কি, পুশকিন, গোগোল প্রমুখ।
  • (খ) পশ্চিমী গণতান্ত্রিক ও উদারনৈতিক ধারা এই গোষ্ঠী পাশ্চাত্য আদর্শে রাশিয়ার গণতান্ত্রিক সংস্কারের উপর জোর দিতেন। এই গোষ্ঠীর মধ্যে ছিলেন তুর্গেনিভ, বাকুনিন, হার্জেন প্রমুখ।

(৫) রুশীকরণ নীতি

প্রথম নিকোলাস ঘোরতর জাতীয়তাবাদী ছিলেন। তিনি রাশিয়ায় বসবাসকারী অ-রুশদের রুশীকরণের চেষ্টা করেন। পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও অন্যান্য অ-রুশ অঞ্চলে রুশ ভাষায় পঠন-পাঠন চালু করা হয়। বলা বাহুল্য, এর ফলে অ-রুশ জনগণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

জার প্রথম নিকোলাসের বিদেশ নীতি

প্রথম নিকোলাস পররাষ্ট্রনীতির বা বিদেশ নীতির ক্ষেত্রেও ঘোরতর রক্ষণশীল ও সাম্রাজ্যবাদী নীতি অনুসরণ করেন।

জার প্রথম নিকোলাসের শাসনকাল দুঃস্বপ্নের অধ্যায়

সমকালীন রুশ ঐতিহাসিকরা নিকোলাসের শাসনকালকে ‘দুঃস্বপ্নের অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন। সমকালীন ঐতিহাসিক গ্রানোভস্কি-র মতে, এই শাসনকাল ছিল “দুর্নীতি, অপরাধ ও দমন-পীড়নের অধ্যায়।”

জার প্রথম নিকোলাসের স্বৈরাচারী ও রক্ষণশীল ধারা

বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে তিনি স্বৈরাচারী ও রক্ষণশীল ধারা অব্যাহত রাখেন। তা সত্ত্বেও রাশিয়ায় পশ্চিম ইউরোপ -এর উদারনৈতিক চিন্তাধারার গতিরোধ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় নি।

রাশিয়ায় উদার ভাবধারা প্রবেশ

নিয়মতান্ত্রিক শাসন, ব্যক্তি-স্বাধীনতা, মানবিক অধিকার, ফরাসি সমাজতন্ত্র ও জার্মান দর্শন রাশিয়ায় প্রবেশ করছিল। রাশিয়ায় শিল্পায়নও শুরু হয়েছিল।

জার প্রথম নিকোলাসের মৃত্যু

১৮৫৫ সালে জার প্রথম নিকোলাসের মৃত্যু হলে দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার সিংহাসনে আরোহণ করেন।

উপসংহার:- এক কথায়, জার প্রথম নিকোলাসের শাসনের শেষদিকে রাশিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করে, যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর উত্তরাধিকারী দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের আমলে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “জার প্রথম নিকোলাস” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) জার প্রথম নিকোলাস সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. রাশিয়ার কোন জারের আমলে ডিসেমব্রিস্ট আন্দোলন হয়?

জার প্রথম নিকোলাস।

২. রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাসের সময়কাল কত?

১৮২৫-১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ।

৩. জার প্রথম নিকোলাসের পূর্বসূরি কে ছিলেন?

জার প্রথম আলেকজান্ডার।

৪. জার প্রথম নিকোলাসের উত্তরসূরি কে ছিলেন?

জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার।

অন্যান্য ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি

    Leave a Comment