পবন আর সূর্যের মধ্যে একদিন প্রচণ্ড তর্ক শুরু হলো। দু’জনের মধ্যে কার শক্তি বেশি এই ছিল তাদের তর্কের বিষয়। তর্কের শেষ কিছুতেই হয় না। এ বলে আমি বড় ও বলে আমি বড়। কিন্তু কেউই হার স্বীকার করতে চায় না।
অবশেষে দু’জনেই ঠিক করল – এরকমভাবে আমাদের কথা কাটাকাটি করে লাভ নেই। হাতে কলমে পরীক্ষা করে দেখা যাক, কার শক্তি সবচেয়ে বেশি। পবন বলল – ঐ দেখো, রাস্তা দিয়ে একটা লোক যাচ্ছে। প্রতিযোগিতা শুরু হোক। যে ঐ লোকটার জামা কাপড় জোর করে খোলাতে পারবে, সেই-ই প্রতিযোগিতায় জয়ী হবে এবং তারই শক্তি বেশি আছে বলে মেনে নিতে হবে।
প্রথমে পবনকেই শুরু করতে অনুরোধ করল। পবন এবার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জোরে বাতাস ছেড়ে লোকটার জামাকাপড় ছাড়াতে চেষ্টা করল। কিন্তু বাতাস একটু জোরে বইতেই লোকটা তার জামাকাপড় একটু এঁটে গায়ে জড়াল। বাতাস আরও জোরে বইতে শুরু করলে লোকটা তার গায়ে আরও ভালো করে জামাকাপড় জড়ালো। তারপর বাতাস যখন দারুণ জোরে হাড় কাঁপিয়ে বইতে শুরু করল তখন লোকটা যে জামাকাপড় পরা ছিল তাতে না কুলোনোতে তার ওপর আরও একটা মোটা কোট পরে নিল। ব্যাপার দেখে পবন হাল ছেড়ে দিল। কিছুতেই লোকটার গায়ের থেকে জামাকাপড় খোলাতে পারলো না।
এবার সূর্যের পালা। সূর্য তার শক্তির পরিচয় দেওয়া শুরু করল। সূর্য একটু তাপ বাড়াতেই লোকটা গায়ের কোটটা খুলে ফেলল। এরপর সূর্য আরও তাপ বাড়াতে লাগল। তাপ যখন প্রচণ্ড বাড়লো লোকটি তখন একের পর এক জামাকাপড় খুলতে লাগল। আরও তাপ বাড়াতেই লোকটা আর সহ্য করতে না পেরে অবশেষে গায়ের সব জামা কাপড় ছেড়ে ফেলে পাশের এক নদীতে গা ঠাণ্ডা করতে নেমে গেল।
সূর্য ও পবন গল্পটির উপদেশ
সূর্য ও পবন গল্পটির উপদেশ হল “জবরদস্তি করে কোনো কাজ হাসিল করা যায় না”।
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-