ঈশপের গল্প সমগ্র থেকে শিয়ালের চালাকি গল্পটি এবং শিয়ালের চালাকি গল্পটির উপদেশ দেওয়া হল। যা পাঠ করলে তোমরা অনেক আনন্দ পাবে ও সেই সাথে গল্পটির উপদেশ জানতে পারবে।
শিয়ালের চালাকি
একদা কোনো এক স্থানে এক শিয়াল ছিল। সে এতই লোভী ছিল যে যার কাছে যা দেখতো তাই-ই চুরি করতো। এভাবেই একদিন সে এক শহুরে বাবুর কাছ থেকে এক জোড়া নতুন জুতো চুরি করল। কিন্তু শিয়াল তো বনে বাদাড়ে থাকে। নতুন জুতো পরে সে কি করবে। তাই শিয়াল ভাবলো জুতো জোড়াকে অন্য কাজে লাগাতে হবে। এই জুতোর লোভ দেখিয়ে মানুষকে ঠকাতে হবে।
এরপর একদিন সে দেখল একটা চোর দু’টো নাদুস-নুদুস হাঁস নিয়ে জঙ্গলের পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাই দেখে তার ঐ হাঁস দুটো খেতে বড় লোভ হলো। সে ভাবল চোরের উপর বাটপারি করবে। তখন সে এক বুদ্ধি বের করল। চোরটা যে পথ দিয়ে যাচ্ছে শিয়াল সেই পথের খানিক আগে এক পাটি জুতো রেখে দিল।
চোর হাঁস দুটো নিয়ে যেতে যেতে পথে নতুন জুতোটা পড়ে থাকতে দেখে ভাবল – এক পাটি জুতো দিয়ে আর কি হবে। দুটো হলে না হয় পায়ে দেওয়া যেতো। তাই চোর আর জুতোটা না তুলে এগিয়ে গেল। শিয়াল তখন সেই জুতোটা তুলে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আরো খানিকটা এগিয়ে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আরো খানিকটা এগিয়ে গিয়ে চোরের যাবার পথে অন্য পাটি জুতো রেখে দিল।
চোর যেতে যেতে পথে আর একটা জুতো পড়ে থাকতে দেখে ভাবল – আরে, আসার পথে যে জুতোটা দেখে এসেছি সেটা তুলে আনলে তো এক জোড়া নতুন জুতো হয়। তাই সে একটা গাছের সঙ্গে হাঁস দুটোকে বেঁধে রেখে উল্টোপথে আগের জুতোটার জন্যে দৌড় দিল। এদিকে চালাক শিয়াল এ জুতোটাও তুলে নিয়ে হাঁস দুটোকে খাবার জন্য গাছের দিকে এগিয়ে গেল।
এই সময় হাঁস-চোরকে ধরতে গাঁয়ের লোক লাঠি সোটা নিয়ে জঙ্গলের পথে বেরিয়ে পড়েছিল। তারা দেখলে একটা শিয়াল হাঁস দুটোকে খাবার চেষ্টা করছে। তারা বুঝতে পারল যে শিয়ালই চুরি করেছে হাঁস দুটো। তখন তারা হুড়মুড় করে এসে শিয়ালকে উত্তম-মধ্যম পেটাতে শুরু করলো। মার খেয়ে শেষ পর্যন্ত শিয়ালটা মরেই গেল।
শিয়ালের চালাকি গল্পটির উপদেশ
গল্পটির উপদেশ হল- “বেশি চালাকি করতে গেলে বিপদে পড়তে হয়।”
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-