ডুমুর ও দাঁড়কাক
একদা কোনো এক স্থানে এক দাঁড়কাক ছিল। তার খুব ক্ষিধে পেয়েছিল। সে একটা ডুমুর গাছের ডালে এসে বসল। তার ইচ্ছে হল পাকা পাকা ডুমুরগুলো খাবো। কিন্তু তার ভাগ্য খারাপ ছিল, গাছের ডুমুরগুলো ছিল দস্তুর মতো কাঁচা। আর বেশ শক্ত ছিল। কাকের কিন্তু নড়বার নাম নেই। সে গাছের ডালে বসেই রইলো। ডুমুর পাকলেই সে খাবে।
সেই সময় এক খ্যাঁকশিয়াল সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ তার নজরে পড়লো একটা দাঁড়কাক ডুমুর গাছের ডালে বসে আছে। সে কিছু না বলে চলে গেল। সন্ধেবেলা খ্যাঁকশিয়ালটি আবার ঐ পথ ধরেই বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ তখন তার ঐ ডুমুর গাছটির দিকে নজর পড়ল। সে দেখল সেই দাঁড়কাকটা তখনো ডুমুরগাছের ডালে বসে আছে। এবার আর খ্যাঁকশিয়াল চুপ করে না থেকে ঠায় বসে থাকা দাঁড়কাককে জিজ্ঞাসা করলো তুমি ওখানে অমন করে বসে আছো কেন?
দাঁড়কাক বললো – আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে। ডুমুরগুলো পাকলেই পাকা ডুমুর খেয়ে ক্ষিধে মেটাবো। এই কথা শুনে খ্যাঁকশিয়ালটি হো হো করে হাসতে লাগলো। সে বললো, আরে ভাই তুমি মিথ্যা আশার ফাঁদে পড়েছো। কবে ডুমুর পাকবে তার আশায় তুমি বসে আছো? দূর, দূর, বোকা কাহেকা।
ডুমুর ও দাঁড়কাক গল্পটির উপদেশ
ডুমুর ও দাঁড়কাক গল্পটির উপদেশ হল “অনেকেই আশার কুহকে ভুলে বৃথা সময় নষ্ট করে”।
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-