ঈশপের গল্প সমগ্র থেকে মোরগ ও বেড়াল গল্পটি এবং মোরগ ও বেড়াল গল্পটির উপদেশ দেওয়া হল। যা পাঠ করলে তোমরা অনেক আনন্দ পাবে ও সেই সাথে গল্পটির উপদেশ জানতে পারবে।
মোরগ ও বেড়াল
একদা গ্রামে এক বেড়াল ছিল। সে গৃহস্থের বাড়িতে এটা ওটা চুরি করে খেতো। একবার বেড়ালটা এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে একটা মোরগ ধরে নিয়ে এলো। এখন সে মোরগটাকে মেরে খেতে চাইল। কিন্তু শুধু শুধু তো একজনকে মারা যায় না। একটা অজুহাত থাকা চাই তো। সে তখন মোরগকে বললো, তুই মারাত্মক একটা আপদ, রাতে ডেকে মানুষকে স্বস্তিতে ঘুমোতে দিস্ না। মোরগটি উত্তরে বললে, এ তো আমি ভালো উদ্দেশ্যেই করি। রাত্রি শেষে আমার ডাকে ঘুম ভাঙলে মানুষরা সকাল সকাল তাদের দিনের কাজ শুরু করতে পারে।
বেড়াল তখন ভাবল মোরগ কথাটা ঠিকই বলছে। তাই কথাটা উড়িয়ে দিয়ে অন্য একটা দোষ ধরে বলল, তুই তোর মা বোনেদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করিস্। অত্যাচার করিস্ ।
মোরগ তখন শান্ত স্বরে উত্তর দিল – এতেই আমার মালিক খুশি হয়, বুঝে দেখো কথাটা, মালিকের সম্পদ বাড়ে।
বেড়াল তখন বিরক্তি প্রকাশ করে বলল—নাঃ তোর সঙ্গে মেলা ফ্যাচ ফ্যাচ করার সময় আমার নেই। কিন্তু তাই বলে আমার যে খিদে পুষে রাখতে হবে পেটে। তারও কোনো মানে নেই—তোকে আমি খাবোই। এই বলে বেড়াল মোরগটার টুটি চেপে ধরে মেরে খেয়ে ফেলল।
মোরগ ও বেড়াল গল্পটির উপদেশ
মোরগ ও বেড়াল গল্পটির উপদেশ হল- “দুর্জনের ছলের অভাব হয় না।”
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-
ঈশপের আরোও গল্প পড়ুন
এরপর আমরা ঈশপের অন্য গল্পগুলি সম্পর্কে জানবো।