নেকড়ে বাঘ ও ভেড়ার বাচ্চা
একদা কোনো এক স্থানে এক ভেড়ার বাচ্চা ছিল। সে একদিন একটা পাহাড়ী নদীতে জল খাচ্ছিলো। দূর থেকে তাকে একটা নেকড়ে বাঘ দেখতে পেল। নাদুস-নুদুস ভেড়ার বাচ্চাটিকে দেখে নেকড়ের জিভ দিয়ে জল পড়তে লাগলো। কিন্তু লোভ হলে কি হবে। ভেড়ার বাচ্চাটাকে ধরতে হলে একটা অজুহাত তো থাকা চাই। মনে মনে এক ফন্দি আঁটলো নেকড়ে। হ্যাঁ, একটা অজুহাত তার মাথায় এসেও গেল।
নেকড়ে তখন ভেড়ার বাচ্চাটাকে ডেকে বললো – এই তুই আমার জল ঘোলা করছিস কেন? ভেড়ার বাচ্চাটি বললো – বারে, আমি তো শুধু নদীতে মুখ লাগিয়ে জল খাচ্ছি। তাছাড়া আপনি রয়েছেন নদীর উপরে আর আমি রয়েছি মাটিতে, এতে আপনার খাবার জল ঘোলা হবে কি করে? নেকড়ে বললো – ওঃ তাই বুঝি। তা তুই গত বছর আমাকে বারবার গালাগালি করেছিলি কেন? তাই বল?
এরপর ভেড়ার বাচ্চাটা উত্তর দিল – একি বলছেন আপনি। আমার বয়স তো মাত্র ছয় মাস। গেল বছর তো আমি জন্মাই নি। নেকড়ে তখন মুখ খিঁচিয়ে বললো জন্মই হয়নি। আবার বড়দের মুখে মুখে তর্ক করা। খুব ডেঁপো হয়ে গেছিস তাই না। তা ও সব কথাতে ভুলছি না আমি, তোকে আমি খাবোই। এই বলে নেকড়ে ভেড়ার বাচ্চার ওপর লাফিয়ে পড়ে কচমচ্ করে কচি মাংস চিবিয়ে খেতে লাগলো।
নেকড়ে বাঘ ও ভেড়ার বাচ্চা গল্পটির উপদেশ
নেকড়ে বাঘ ও ভেড়ার বাচ্চা গল্পটির উপদেশ হল “দুর্জন ব্যক্তি মাত্রই নানা ছল করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে থাকে”।
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-