বড়াই
একদা কোনো এক স্থানের একটি লোক তার বাড়ি ছেড়ে অনেক দূরের দেশের একটা জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিল। পুরো একটা বছর সে সেখানে কাটালো। অবশেষে বাড়ি ফিরে এসে নিজের গ্রামের লোকের কাছে দিনরাত কেবলি সে জায়গাটার কথা বলে প্রশংসা করতো, বক্ বক্ করে যেত।
গ্রামের লোকেরা এসব শুনে বলাবলি করতো – আচ্ছা কে শুনতে চাইছে ঐ সব কথা। ফালতু বক্ বক্ করার স্বভাব। বিরক্ত হয়ে একদিন একজন তাকে জিজ্ঞাসা করে বসলো জায়গাটা এতই যদি তোমার ভালো লেগেছিল তো সেখানে থেকে গেলেই তো পারতে? এখানে মরতে এলে কেন?
লোকটি বললো – এলাম কেন? এলাম তোমাদের কাছে জায়গাটার কথা বলবো বলে না হলে আসতামই না। ওখানকার লোকেরা কি দারুণ লাফ দিতে পারে জানো? এমন লাফ দেওয়া তোমরা বাপের জন্মেও দেখনি। একদিন ওখানে লাফ দেওয়ার প্রতিযোগিতা হলো। কে সবচেয়ে বেশি লাফাতে পারে। এই প্রতিযোগিতায় আমি এমন লাফ দিলাম সব্বাই তা দেখে একেবারে অবাক হয়ে গেল। কেউ আমার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারলো না। তোমরা যদি সেখানে হাজির থাকতে তাহলে দেখতে কি দারুণ আমার সে লাফ।
লোকটির মুখে এইসব কথা শুনে একজন অমনি বলে উঠলো – তোমার লাফ দেখতে অতো দূরে আমাদের যাবার দরকার নেই, তুমি একবার এখানে লাফ দিয়ে দেখিয়েই দাও না, দাদা।
বলা বাহুল্য, লোকটি তেমন লাফ দিতে পারলো না। তারপর থেকে সে আর নিজেকে বড়াই করতো না, আর তার বক্বক্ করাও বন্ধ হয়ে গেল।
বড়াই গল্পটির উপদেশ
বড়াই গল্পটির উপদেশ হল “বাক্চাতুরীর বেশীদিন চলে না”।
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-