স্বার্থপর ঘোড়া
একদা কোনো স্থানে একটা ঘোড়া আর একটা গাধা নিয়ে একটি লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। গাধাটার পিঠে ছিল মস্ত দু’টো ভারী বোঝা। সে আর বইতে পারছিল না। সে তখন ঘোড়াকে বলল ভাই, আমি যে আর পারছি না, আমি যে মারা যেতে বসেছি। আমাকে বাঁচাতে চাও তো এ বোঝার কিছুটা মাল তুমি তোমার পিঠে নাও। কিন্তু ঘোড়া এ প্রস্তাবে রাজী হলো না।
একটু পরেই বোঝার ভার সইতে না পেরে গাধাটা পথের মাঝখানে মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়ে মারা গেল। লোকটি তখন গাধা যে বোঝা বইছিল তা তো ঘোড়ার পিঠে চাপালোই উপরন্তু মরা গাধার ছাল ছাড়িয়ে সেটাও ঘোড়ার পিঠে চাপালো।
এরপর ভারের চোটে ঘোড়া কোঁকাতে কোঁকাতে করুণ সুরে বিলাপ করতে করতে বলতে লাগলো আমার দুর্মতির জন্যই আজ এই দশা হলো। গাধার বোঝার খানিকটা আমি বইতে রাজি হইনি, তাই এখন তার পুরো বোঝা এমন কি তার চামড়া পর্যন্তও আমাকে বইতে হচ্ছে।
স্বার্থপর ঘোড়া গল্পটির উপদেশ
স্বার্থপর ঘোড়া গল্পটির উপদেশ হল “অল্প দায়িত্বের ভার এড়িয়ে গেলে অনেক সময় বড় দায়িত্বের বোঝা ঘাড়ে এসে পড়ে”।
একসাথে ঈশপের গল্পগুলির উপদেশ বা নীতি কথাগুলি পড়ুন-